প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
পশুর কামড় নিয়ে সব সময়ই মানুষের মধ্যে ভয় ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে মেসোপটেমিয়ায় ‘কুকুরের মন্ত্র’ নামে পরিচিত বিভিন্ন মন্ত্র পাথরে খোদাই করা হতো। এসব মন্ত্রে কুকুরের লালা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, এটি বিষের মতো কাজ করে। কারণ কুকুর কামড় দিলে মানুষের মৃত্যু হতো। এই জলাতঙ্কের কারণেই এই মৃত্যু হতো। রোগটি বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫৮ হাজার মানুষ মারা যেত।
জলাতঙ্কের জন্য কুকুরের লালার মধ্যে থাকে র্যাবিস ভাইরাস (আরএবিভি)। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) ও প্রোটিন নিয়ে গঠিত। র্যাবিসকে লাইসা ভাইরাস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। লাইসা ভাইরাস হলো—সাতটি নিউরোট্রপিক (স্নায়ুতন্ত্রে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস) প্রজাতির ভাইরাসের একটি শ্রেণি, যা তাদের জেনেটিক উপাদান হিসেবে আরএনএ বহন করে। নিউরোট্রপিক ভাইরাস হিসেবে আরএবিভি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমিত করে।
কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস ভাইরাস কিছুদিন সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এক থেকে তিন মাস কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরে জ্বর আসে এবং কামড় বা আঁচড়ের জায়গায় অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হয়।
জলাতঙ্কের সবচেয়ে অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো অসুস্থতার দুই থেকে তিন দিনব্যাপী তীব্র পর্যায়ে থাকে। রোগীরা বাতাস ও পানিকে ভয় পেয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। এই লক্ষণ ‘এরোফোবিয়া’ ও ‘হাইড্রোফোবিয়া’ নামে পরিচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিরা আসলে এসব উপাদানকে ভয় পায় না বরং তাঁদের মস্তিষ্ক একটি ভ্রম সৃষ্টি করে।
কোনো কিছু গিলে ফেলা ও শ্বাস নেওয়া উভয়ই মস্তিষ্কের নিউরাল সার্কিট (মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর জটিল নেটওয়ার্ক) নিয়ন্ত্রণ করে। একে সেন্ট্রাল প্যাটার্ন জেনারেটর (সিপিজিস) বলা হয়। এগুলো খাবার গেলা ও শ্বাস নেওয়ার ছন্দ বজায় রাখে, দেহকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেয় এবং দুটি প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ না করে। এ কারণেই শ্বাস নেওয়ার সময় খাবার গেলা প্রায় অসম্ভব মনে হয়।
র্যাবিস ভাইরাস নিউরোট্রপিক হওয়ার কারণে এটি মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, যেখানে সিপিজিগুলো পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, মস্তিষ্কের ‘ব্রেন স্টেম রেসপিরেটরি নিউরন’ ও ‘ডোরসাল রেসপিরেটরি’তে সংক্রমিত হয়। ফলে খাবার গেলার পেশি সংকোচনের সূক্ষ্ম সময় ব্যবধানকে ব্যাহত করে। গলা ও স্বরযন্ত্রের বেদনাদায়ক খিঁচুনি হয়। এ ঘটনাকে ভয়েস বক্স বলে।
এ জন্য খাবার গেলার মতো সহজ কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে কষ্টদায়ক খিঁচুনি র্যাবিস ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের খাওয়ার পানি বা তরল পান করতে ভয় সৃষ্টি করে। রোগটি তীব্র আকার ধারণ করলে শুধু পানি নিয়ে চিন্তা করলেই রোগীদের পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিঁচুনি হতে পারে। একই ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়, যখন সংক্রমিত ব্যক্তি দমকা বাতাসের সম্মুখীন হয়—একে ‘এ্যারোফোবিয়া’ বলা হয়। একইভাবে র্যাবিস ভাইরাস শ্বাস–প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী সিপিজির ক্ষতি করে। ফলে বাতাসের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিরা একইভাবে সাড়া দেয়। বাতাসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজক খিঁচুনি হয়। মনে হয় যেন ত্বকের মধ্যে আগুন জ্বলছে।
মস্তিষ্কের স্টেম রেসপিরেটরি নিউরোন ও ডোরসাল রেসপিরেটরি উভয় নিউরোনকে কীভাবে র্যাবিস ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। এই ভাইরাসে ফসফোপ্রোটিন রয়েছে। একে ‘আরএবিভি পি’ বলা হয়। এই প্রোটিন ফসফরাস পরমাণু ও তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর নেগেটিভ চার্জের রাসায়নিক গ্রুপ যুক্ত হয়ে পরিবর্তিত হয়।
আরএবিভি পি নিউরোনের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি করে। কারণ এটি মাইটোকন্ড্রিয়ার ‘জটিল আই’ প্রোটিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে। এটি অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুকুরের কামড়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ লালা থাকলে র্যাবিস ভাইরাস মধ্যে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। হাইড্রোফোবিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বাধা দেয়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন পানি পান করার চেষ্টা করে, তখন প্যারালাইসিস ও পেশির খিঁচুনি হওয়ার কারণে পানি গেলার কাজটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও কঠিন হয়ে পড়ে। পানি পানের সময় এই কষ্টদায়ক অনুভূতি রোগীর মধ্যে অমূলক ভয় তৈরি করে। এই ভয় এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে এমনকি পানির দৃশ্য বা শব্দ জলাতঙ্ক রোগীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্কের জন্ম দিতে পারে। মানুষের মুখেও লালার পরিমাণ কমে যায় এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে আরএবিভির ঘনত্ব বেড়ে যায়। দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে এরোফোবিয়া রোগী যে কোনো মূল্যে বাতাস বা দমকা হাওয়া এড়াতে বাধ্য করে। মুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায় রোগী। সেই সঙ্গে মুখের লালা উৎপাদনও বাড়াতে চায়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে মুখে ফেনাও সৃষ্টি হয়।
অবিলম্বে এই ভাইরাসের টিকা না দিলে র্যাবিস ভাইরাস পুরো দেহে সংক্রমিত হয়। হাইড্রোফোবিয়া ও অ্যারোফোবিয়া দেখা দিলে রোগীর বেঁচে থাকার ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
তথ্যসূত্র: দ্য অক্সফোর্ড সায়েন্টিস্ট

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
পশুর কামড় নিয়ে সব সময়ই মানুষের মধ্যে ভয় ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে মেসোপটেমিয়ায় ‘কুকুরের মন্ত্র’ নামে পরিচিত বিভিন্ন মন্ত্র পাথরে খোদাই করা হতো। এসব মন্ত্রে কুকুরের লালা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, এটি বিষের মতো কাজ করে। কারণ কুকুর কামড় দিলে মানুষের মৃত্যু হতো। এই জলাতঙ্কের কারণেই এই মৃত্যু হতো। রোগটি বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫৮ হাজার মানুষ মারা যেত।
জলাতঙ্কের জন্য কুকুরের লালার মধ্যে থাকে র্যাবিস ভাইরাস (আরএবিভি)। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) ও প্রোটিন নিয়ে গঠিত। র্যাবিসকে লাইসা ভাইরাস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। লাইসা ভাইরাস হলো—সাতটি নিউরোট্রপিক (স্নায়ুতন্ত্রে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস) প্রজাতির ভাইরাসের একটি শ্রেণি, যা তাদের জেনেটিক উপাদান হিসেবে আরএনএ বহন করে। নিউরোট্রপিক ভাইরাস হিসেবে আরএবিভি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমিত করে।
কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস ভাইরাস কিছুদিন সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এক থেকে তিন মাস কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরে জ্বর আসে এবং কামড় বা আঁচড়ের জায়গায় অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হয়।
জলাতঙ্কের সবচেয়ে অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো অসুস্থতার দুই থেকে তিন দিনব্যাপী তীব্র পর্যায়ে থাকে। রোগীরা বাতাস ও পানিকে ভয় পেয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। এই লক্ষণ ‘এরোফোবিয়া’ ও ‘হাইড্রোফোবিয়া’ নামে পরিচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিরা আসলে এসব উপাদানকে ভয় পায় না বরং তাঁদের মস্তিষ্ক একটি ভ্রম সৃষ্টি করে।
কোনো কিছু গিলে ফেলা ও শ্বাস নেওয়া উভয়ই মস্তিষ্কের নিউরাল সার্কিট (মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর জটিল নেটওয়ার্ক) নিয়ন্ত্রণ করে। একে সেন্ট্রাল প্যাটার্ন জেনারেটর (সিপিজিস) বলা হয়। এগুলো খাবার গেলা ও শ্বাস নেওয়ার ছন্দ বজায় রাখে, দেহকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেয় এবং দুটি প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ না করে। এ কারণেই শ্বাস নেওয়ার সময় খাবার গেলা প্রায় অসম্ভব মনে হয়।
র্যাবিস ভাইরাস নিউরোট্রপিক হওয়ার কারণে এটি মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, যেখানে সিপিজিগুলো পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, মস্তিষ্কের ‘ব্রেন স্টেম রেসপিরেটরি নিউরন’ ও ‘ডোরসাল রেসপিরেটরি’তে সংক্রমিত হয়। ফলে খাবার গেলার পেশি সংকোচনের সূক্ষ্ম সময় ব্যবধানকে ব্যাহত করে। গলা ও স্বরযন্ত্রের বেদনাদায়ক খিঁচুনি হয়। এ ঘটনাকে ভয়েস বক্স বলে।
এ জন্য খাবার গেলার মতো সহজ কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে কষ্টদায়ক খিঁচুনি র্যাবিস ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের খাওয়ার পানি বা তরল পান করতে ভয় সৃষ্টি করে। রোগটি তীব্র আকার ধারণ করলে শুধু পানি নিয়ে চিন্তা করলেই রোগীদের পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিঁচুনি হতে পারে। একই ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়, যখন সংক্রমিত ব্যক্তি দমকা বাতাসের সম্মুখীন হয়—একে ‘এ্যারোফোবিয়া’ বলা হয়। একইভাবে র্যাবিস ভাইরাস শ্বাস–প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী সিপিজির ক্ষতি করে। ফলে বাতাসের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিরা একইভাবে সাড়া দেয়। বাতাসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজক খিঁচুনি হয়। মনে হয় যেন ত্বকের মধ্যে আগুন জ্বলছে।
মস্তিষ্কের স্টেম রেসপিরেটরি নিউরোন ও ডোরসাল রেসপিরেটরি উভয় নিউরোনকে কীভাবে র্যাবিস ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। এই ভাইরাসে ফসফোপ্রোটিন রয়েছে। একে ‘আরএবিভি পি’ বলা হয়। এই প্রোটিন ফসফরাস পরমাণু ও তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর নেগেটিভ চার্জের রাসায়নিক গ্রুপ যুক্ত হয়ে পরিবর্তিত হয়।
আরএবিভি পি নিউরোনের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি করে। কারণ এটি মাইটোকন্ড্রিয়ার ‘জটিল আই’ প্রোটিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে। এটি অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুকুরের কামড়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ লালা থাকলে র্যাবিস ভাইরাস মধ্যে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। হাইড্রোফোবিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বাধা দেয়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন পানি পান করার চেষ্টা করে, তখন প্যারালাইসিস ও পেশির খিঁচুনি হওয়ার কারণে পানি গেলার কাজটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও কঠিন হয়ে পড়ে। পানি পানের সময় এই কষ্টদায়ক অনুভূতি রোগীর মধ্যে অমূলক ভয় তৈরি করে। এই ভয় এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে এমনকি পানির দৃশ্য বা শব্দ জলাতঙ্ক রোগীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্কের জন্ম দিতে পারে। মানুষের মুখেও লালার পরিমাণ কমে যায় এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে আরএবিভির ঘনত্ব বেড়ে যায়। দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে এরোফোবিয়া রোগী যে কোনো মূল্যে বাতাস বা দমকা হাওয়া এড়াতে বাধ্য করে। মুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায় রোগী। সেই সঙ্গে মুখের লালা উৎপাদনও বাড়াতে চায়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে মুখে ফেনাও সৃষ্টি হয়।
অবিলম্বে এই ভাইরাসের টিকা না দিলে র্যাবিস ভাইরাস পুরো দেহে সংক্রমিত হয়। হাইড্রোফোবিয়া ও অ্যারোফোবিয়া দেখা দিলে রোগীর বেঁচে থাকার ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
তথ্যসূত্র: দ্য অক্সফোর্ড সায়েন্টিস্ট

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা দেয়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
১৬ জুন ২০২৪
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা দেয়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
১৬ জুন ২০২৪
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা দেয়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
১৬ জুন ২০২৪
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা দেয়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
১৬ জুন ২০২৪
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে