প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
পশুর কামড় নিয়ে সব সময়ই মানুষের মধ্যে ভয় ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে মেসোপটেমিয়ায় ‘কুকুরের মন্ত্র’ নামে পরিচিত বিভিন্ন মন্ত্র পাথরে খোদাই করা হতো। এসব মন্ত্রে কুকুরের লালা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, এটি বিষের মতো কাজ করে। কারণ কুকুর কামড় দিলে মানুষের মৃত্যু হতো। এই জলাতঙ্কের কারণেই এই মৃত্যু হতো। রোগটি বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫৮ হাজার মানুষ মারা যেত।
জলাতঙ্কের জন্য কুকুরের লালার মধ্যে থাকে র্যাবিস ভাইরাস (আরএবিভি)। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) ও প্রোটিন নিয়ে গঠিত। র্যাবিসকে লাইসা ভাইরাস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। লাইসা ভাইরাস হলো—সাতটি নিউরোট্রপিক (স্নায়ুতন্ত্রে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস) প্রজাতির ভাইরাসের একটি শ্রেণি, যা তাদের জেনেটিক উপাদান হিসেবে আরএনএ বহন করে। নিউরোট্রপিক ভাইরাস হিসেবে আরএবিভি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমিত করে।
কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস ভাইরাস কিছুদিন সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এক থেকে তিন মাস কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরে জ্বর আসে এবং কামড় বা আঁচড়ের জায়গায় অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হয়।
জলাতঙ্কের সবচেয়ে অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো অসুস্থতার দুই থেকে তিন দিনব্যাপী তীব্র পর্যায়ে থাকে। রোগীরা বাতাস ও পানিকে ভয় পেয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। এই লক্ষণ ‘এরোফোবিয়া’ ও ‘হাইড্রোফোবিয়া’ নামে পরিচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিরা আসলে এসব উপাদানকে ভয় পায় না বরং তাঁদের মস্তিষ্ক একটি ভ্রম সৃষ্টি করে।
কোনো কিছু গিলে ফেলা ও শ্বাস নেওয়া উভয়ই মস্তিষ্কের নিউরাল সার্কিট (মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর জটিল নেটওয়ার্ক) নিয়ন্ত্রণ করে। একে সেন্ট্রাল প্যাটার্ন জেনারেটর (সিপিজিস) বলা হয়। এগুলো খাবার গেলা ও শ্বাস নেওয়ার ছন্দ বজায় রাখে, দেহকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেয় এবং দুটি প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ না করে। এ কারণেই শ্বাস নেওয়ার সময় খাবার গেলা প্রায় অসম্ভব মনে হয়।
র্যাবিস ভাইরাস নিউরোট্রপিক হওয়ার কারণে এটি মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, যেখানে সিপিজিগুলো পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, মস্তিষ্কের ‘ব্রেন স্টেম রেসপিরেটরি নিউরন’ ও ‘ডোরসাল রেসপিরেটরি’তে সংক্রমিত হয়। ফলে খাবার গেলার পেশি সংকোচনের সূক্ষ্ম সময় ব্যবধানকে ব্যাহত করে। গলা ও স্বরযন্ত্রের বেদনাদায়ক খিঁচুনি হয়। এ ঘটনাকে ভয়েস বক্স বলে।
এ জন্য খাবার গেলার মতো সহজ কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে কষ্টদায়ক খিঁচুনি র্যাবিস ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের খাওয়ার পানি বা তরল পান করতে ভয় সৃষ্টি করে। রোগটি তীব্র আকার ধারণ করলে শুধু পানি নিয়ে চিন্তা করলেই রোগীদের পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিঁচুনি হতে পারে। একই ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়, যখন সংক্রমিত ব্যক্তি দমকা বাতাসের সম্মুখীন হয়—একে ‘এ্যারোফোবিয়া’ বলা হয়। একইভাবে র্যাবিস ভাইরাস শ্বাস–প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী সিপিজির ক্ষতি করে। ফলে বাতাসের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিরা একইভাবে সাড়া দেয়। বাতাসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজক খিঁচুনি হয়। মনে হয় যেন ত্বকের মধ্যে আগুন জ্বলছে।
মস্তিষ্কের স্টেম রেসপিরেটরি নিউরোন ও ডোরসাল রেসপিরেটরি উভয় নিউরোনকে কীভাবে র্যাবিস ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। এই ভাইরাসে ফসফোপ্রোটিন রয়েছে। একে ‘আরএবিভি পি’ বলা হয়। এই প্রোটিন ফসফরাস পরমাণু ও তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর নেগেটিভ চার্জের রাসায়নিক গ্রুপ যুক্ত হয়ে পরিবর্তিত হয়।
আরএবিভি পি নিউরোনের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি করে। কারণ এটি মাইটোকন্ড্রিয়ার ‘জটিল আই’ প্রোটিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে। এটি অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুকুরের কামড়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ লালা থাকলে র্যাবিস ভাইরাস মধ্যে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। হাইড্রোফোবিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বাধা দেয়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন পানি পান করার চেষ্টা করে, তখন প্যারালাইসিস ও পেশির খিঁচুনি হওয়ার কারণে পানি গেলার কাজটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও কঠিন হয়ে পড়ে। পানি পানের সময় এই কষ্টদায়ক অনুভূতি রোগীর মধ্যে অমূলক ভয় তৈরি করে। এই ভয় এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে এমনকি পানির দৃশ্য বা শব্দ জলাতঙ্ক রোগীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্কের জন্ম দিতে পারে। মানুষের মুখেও লালার পরিমাণ কমে যায় এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে আরএবিভির ঘনত্ব বেড়ে যায়। দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে এরোফোবিয়া রোগী যে কোনো মূল্যে বাতাস বা দমকা হাওয়া এড়াতে বাধ্য করে। মুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায় রোগী। সেই সঙ্গে মুখের লালা উৎপাদনও বাড়াতে চায়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে মুখে ফেনাও সৃষ্টি হয়।
অবিলম্বে এই ভাইরাসের টিকা না দিলে র্যাবিস ভাইরাস পুরো দেহে সংক্রমিত হয়। হাইড্রোফোবিয়া ও অ্যারোফোবিয়া দেখা দিলে রোগীর বেঁচে থাকার ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
তথ্যসূত্র: দ্য অক্সফোর্ড সায়েন্টিস্ট
জলাতঙ্ক একটি ভাইরাল রোগ, যা মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। এটিকে ঐতিহাসিকভাবে হাইড্রোফোবিয়া (পানির ভয়) হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে পানি নিয়ে আতঙ্ক থাকে।
পশুর কামড় নিয়ে সব সময়ই মানুষের মধ্যে ভয় ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে মেসোপটেমিয়ায় ‘কুকুরের মন্ত্র’ নামে পরিচিত বিভিন্ন মন্ত্র পাথরে খোদাই করা হতো। এসব মন্ত্রে কুকুরের লালা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, এটি বিষের মতো কাজ করে। কারণ কুকুর কামড় দিলে মানুষের মৃত্যু হতো। এই জলাতঙ্কের কারণেই এই মৃত্যু হতো। রোগটি বিশ্বব্যাপী হুমকি হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫৮ হাজার মানুষ মারা যেত।
জলাতঙ্কের জন্য কুকুরের লালার মধ্যে থাকে র্যাবিস ভাইরাস (আরএবিভি)। এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস, যা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (আরএনএ) ও প্রোটিন নিয়ে গঠিত। র্যাবিসকে লাইসা ভাইরাস হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। লাইসা ভাইরাস হলো—সাতটি নিউরোট্রপিক (স্নায়ুতন্ত্রে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস) প্রজাতির ভাইরাসের একটি শ্রেণি, যা তাদের জেনেটিক উপাদান হিসেবে আরএনএ বহন করে। নিউরোট্রপিক ভাইরাস হিসেবে আরএবিভি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সংক্রমিত করে।
কুকুর কামড়ানোর পর র্যাবিস ভাইরাস কিছুদিন সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এক থেকে তিন মাস কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এর পরে জ্বর আসে এবং কামড় বা আঁচড়ের জায়গায় অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হয়।
জলাতঙ্কের সবচেয়ে অস্বস্তিকর লক্ষণগুলো অসুস্থতার দুই থেকে তিন দিনব্যাপী তীব্র পর্যায়ে থাকে। রোগীরা বাতাস ও পানিকে ভয় পেয়ে কোনো কাজ করতে পারে না। এই লক্ষণ ‘এরোফোবিয়া’ ও ‘হাইড্রোফোবিয়া’ নামে পরিচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিরা আসলে এসব উপাদানকে ভয় পায় না বরং তাঁদের মস্তিষ্ক একটি ভ্রম সৃষ্টি করে।
কোনো কিছু গিলে ফেলা ও শ্বাস নেওয়া উভয়ই মস্তিষ্কের নিউরাল সার্কিট (মানুষের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষগুলোর জটিল নেটওয়ার্ক) নিয়ন্ত্রণ করে। একে সেন্ট্রাল প্যাটার্ন জেনারেটর (সিপিজিস) বলা হয়। এগুলো খাবার গেলা ও শ্বাস নেওয়ার ছন্দ বজায় রাখে, দেহকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেয় এবং দুটি প্রক্রিয়াকে সমন্বয় করে, যাতে তারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ না করে। এ কারণেই শ্বাস নেওয়ার সময় খাবার গেলা প্রায় অসম্ভব মনে হয়।
র্যাবিস ভাইরাস নিউরোট্রপিক হওয়ার কারণে এটি মস্তিষ্কের এমন অঞ্চলকে সংক্রামিত করে, যেখানে সিপিজিগুলো পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, মস্তিষ্কের ‘ব্রেন স্টেম রেসপিরেটরি নিউরন’ ও ‘ডোরসাল রেসপিরেটরি’তে সংক্রমিত হয়। ফলে খাবার গেলার পেশি সংকোচনের সূক্ষ্ম সময় ব্যবধানকে ব্যাহত করে। গলা ও স্বরযন্ত্রের বেদনাদায়ক খিঁচুনি হয়। এ ঘটনাকে ভয়েস বক্স বলে।
এ জন্য খাবার গেলার মতো সহজ কাজ কঠিন হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে কষ্টদায়ক খিঁচুনি র্যাবিস ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিদের খাওয়ার পানি বা তরল পান করতে ভয় সৃষ্টি করে। রোগটি তীব্র আকার ধারণ করলে শুধু পানি নিয়ে চিন্তা করলেই রোগীদের পেশিতে যন্ত্রণাদায়ক খিঁচুনি হতে পারে। একই ধরনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়, যখন সংক্রমিত ব্যক্তি দমকা বাতাসের সম্মুখীন হয়—একে ‘এ্যারোফোবিয়া’ বলা হয়। একইভাবে র্যাবিস ভাইরাস শ্বাস–প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী সিপিজির ক্ষতি করে। ফলে বাতাসের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিরা একইভাবে সাড়া দেয়। বাতাসের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে উত্তেজক খিঁচুনি হয়। মনে হয় যেন ত্বকের মধ্যে আগুন জ্বলছে।
মস্তিষ্কের স্টেম রেসপিরেটরি নিউরোন ও ডোরসাল রেসপিরেটরি উভয় নিউরোনকে কীভাবে র্যাবিস ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। এই ভাইরাসে ফসফোপ্রোটিন রয়েছে। একে ‘আরএবিভি পি’ বলা হয়। এই প্রোটিন ফসফরাস পরমাণু ও তিনটি অক্সিজেন পরমাণুর নেগেটিভ চার্জের রাসায়নিক গ্রুপ যুক্ত হয়ে পরিবর্তিত হয়।
আরএবিভি পি নিউরোনের মধ্যে ধ্বংসযজ্ঞ তৈরি করে। কারণ এটি মাইটোকন্ড্রিয়ার ‘জটিল আই’ প্রোটিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে। এটি অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুকুরের কামড়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ লালা থাকলে র্যাবিস ভাইরাস মধ্যে মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। হাইড্রোফোবিয়া রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বাধা দেয়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন পানি পান করার চেষ্টা করে, তখন প্যারালাইসিস ও পেশির খিঁচুনি হওয়ার কারণে পানি গেলার কাজটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক ও কঠিন হয়ে পড়ে। পানি পানের সময় এই কষ্টদায়ক অনুভূতি রোগীর মধ্যে অমূলক ভয় তৈরি করে। এই ভয় এতটাই তীব্র হয়ে উঠতে পারে যে এমনকি পানির দৃশ্য বা শব্দ জলাতঙ্ক রোগীর মধ্যে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্কের জন্ম দিতে পারে। মানুষের মুখেও লালার পরিমাণ কমে যায় এবং খাবার গিলতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে আরএবিভির ঘনত্ব বেড়ে যায়। দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণ আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
একইভাবে এরোফোবিয়া রোগী যে কোনো মূল্যে বাতাস বা দমকা হাওয়া এড়াতে বাধ্য করে। মুখ শুকিয়ে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চায় রোগী। সেই সঙ্গে মুখের লালা উৎপাদনও বাড়াতে চায়। জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে মুখে ফেনাও সৃষ্টি হয়।
অবিলম্বে এই ভাইরাসের টিকা না দিলে র্যাবিস ভাইরাস পুরো দেহে সংক্রমিত হয়। হাইড্রোফোবিয়া ও অ্যারোফোবিয়া দেখা দিলে রোগীর বেঁচে থাকার ক্ষমতা খুবই কম থাকে।
তথ্যসূত্র: দ্য অক্সফোর্ড সায়েন্টিস্ট
প্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২১ ঘণ্টা আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগেপ্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫ দিন আগে