মহাশূন্যে হারিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান ভয়েজার-২। পৃথিবী থেকে কয়েক শ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা মহাকাশযানটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পৃথিবীতে থাকা মানুষের। তবে আশার কথা হলো, দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি মহাকাশযানটি থেকে ‘হৃৎস্পন্দনের’ মতো দুটি স্পন্দনের আওয়াজ শোনা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার যে দলটি পৃথিবীর বুকে বসে ভয়েজার-২ মহাকাশযানটিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তাদের একটি ভুল নির্দেশনা পাঠানোর কারণে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কী এমন ছিল সেই নির্দেশনায়, যার কারণে ভয়েজার পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করাই বন্ধ করে দিল? বিষয়টি নিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়েজার-২-এর ফ্লাইট কন্ট্রোলার মহাকাশযানটির অ্যানটেনা ঘোরানোর একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছিলেন ভয়েজারে। কিন্তু হিসাবে একটু গরমিল হয়ে যাওয়ায় সেই অ্যানটেনার পৃথিবীমুখী না হয়ে ঠিক এর উল্টোমুখী হয়ে যায়। ফলে পৃথিবীর দিকে পাঠানো সব বার্তার তরঙ্গ পৃথিবীর দিকে না এসে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। এবং এ কারণেই পৃথিবীর সঙ্গে মহাকাশযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
তবে সম্প্রতি ৪৬ বছরের পুরোনো মহাকাশযান ভয়েজার থেকে ‘হৃৎস্পন্দনের’ মতো দুটি স্পন্দনের আওয়াজ শোনা গেছে। নাসার অতিকায় রেডিও অ্যানটেনা নেটওয়ার্ক ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক’ সর্বপ্রথম ওই হৃৎস্পন্দন শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে ভয়েজার-২ মহাকাশ মিশনের প্রকল্প পরিচালক সুজান ডড বলছেন, এই ‘হৃৎস্পন্দন’ পাওয়ার অর্থ হলো, মহাকাশযানটি এখনো ঠিক আছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এখন ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ফ্লাইট কন্ট্রোলারেরা ভয়েজার-২-এর অ্যানটেনা আবারও পৃথিবীমুখী করার চেষ্টা করবেন।’
তবে এখন ফ্লাইট কন্ট্রোলারেরা অ্যানটেনা ঠিক করতে ব্যর্থ হলেও খুব আশঙ্কা নেই। সুজান ডড জানান, আমাদের কন্ট্রোলাররা আশঙ্কা করছেন যে, এখন ভয়েজারে কোনো নির্দেশনা পাঠালে তা কাজে আসবে না। তবে কাজে না এলেও কোনো সমস্যা নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের আগামী অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ অক্টোবর মাসে গিয়ে মহাকাশযানটি নিজেই তার সব সেটিংস আগের মতো করে নেবে।
সুজান ডড বলেন, ‘তবে অক্টোবর পর্যন্ত খুবই লম্বা সময়। তাই আমরা এখনই বেশ কয়েকবার কমান্ড পাঠানোর চেষ্টা করতে চাই।
উল্লেখ্য, ভয়েজার-২ মহাকাশযানটি মহাশূন্যে রয়েছে ১৯৭৭ সাল থেকে। ভয়েজার-১-এর পাশাপাশি ভয়েজার-২ মিশনও মহাবিশ্বে অন্য গ্রহের খোঁজ করছে সেই ৪৬ বছর ধরে। পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৯০০ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকলেও এখনো তা পৃথিবীতে বিভিন্ন বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভয়েজার-১ ও পৃথিবী ২ হাজার ৪০০ কোটি কিলোমিটার দূরে থেকে পৃথিবীতে তথ্য-বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে।
মহাশূন্যে হারিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান ভয়েজার-২। পৃথিবী থেকে কয়েক শ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা মহাকাশযানটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পৃথিবীতে থাকা মানুষের। তবে আশার কথা হলো, দীর্ঘ বিরতির পর সম্প্রতি মহাকাশযানটি থেকে ‘হৃৎস্পন্দনের’ মতো দুটি স্পন্দনের আওয়াজ শোনা গেছে।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার যে দলটি পৃথিবীর বুকে বসে ভয়েজার-২ মহাকাশযানটিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তাদের একটি ভুল নির্দেশনা পাঠানোর কারণে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কী এমন ছিল সেই নির্দেশনায়, যার কারণে ভয়েজার পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করাই বন্ধ করে দিল? বিষয়টি নিয়ে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভয়েজার-২-এর ফ্লাইট কন্ট্রোলার মহাকাশযানটির অ্যানটেনা ঘোরানোর একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছিলেন ভয়েজারে। কিন্তু হিসাবে একটু গরমিল হয়ে যাওয়ায় সেই অ্যানটেনার পৃথিবীমুখী না হয়ে ঠিক এর উল্টোমুখী হয়ে যায়। ফলে পৃথিবীর দিকে পাঠানো সব বার্তার তরঙ্গ পৃথিবীর দিকে না এসে অন্য দিকে চলে যাচ্ছে। এবং এ কারণেই পৃথিবীর সঙ্গে মহাকাশযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
তবে সম্প্রতি ৪৬ বছরের পুরোনো মহাকাশযান ভয়েজার থেকে ‘হৃৎস্পন্দনের’ মতো দুটি স্পন্দনের আওয়াজ শোনা গেছে। নাসার অতিকায় রেডিও অ্যানটেনা নেটওয়ার্ক ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক’ সর্বপ্রথম ওই হৃৎস্পন্দন শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে ভয়েজার-২ মহাকাশ মিশনের প্রকল্প পরিচালক সুজান ডড বলছেন, এই ‘হৃৎস্পন্দন’ পাওয়ার অর্থ হলো, মহাকাশযানটি এখনো ঠিক আছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। এখন ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ফ্লাইট কন্ট্রোলারেরা ভয়েজার-২-এর অ্যানটেনা আবারও পৃথিবীমুখী করার চেষ্টা করবেন।’
তবে এখন ফ্লাইট কন্ট্রোলারেরা অ্যানটেনা ঠিক করতে ব্যর্থ হলেও খুব আশঙ্কা নেই। সুজান ডড জানান, আমাদের কন্ট্রোলাররা আশঙ্কা করছেন যে, এখন ভয়েজারে কোনো নির্দেশনা পাঠালে তা কাজে আসবে না। তবে কাজে না এলেও কোনো সমস্যা নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের আগামী অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ অক্টোবর মাসে গিয়ে মহাকাশযানটি নিজেই তার সব সেটিংস আগের মতো করে নেবে।
সুজান ডড বলেন, ‘তবে অক্টোবর পর্যন্ত খুবই লম্বা সময়। তাই আমরা এখনই বেশ কয়েকবার কমান্ড পাঠানোর চেষ্টা করতে চাই।
উল্লেখ্য, ভয়েজার-২ মহাকাশযানটি মহাশূন্যে রয়েছে ১৯৭৭ সাল থেকে। ভয়েজার-১-এর পাশাপাশি ভয়েজার-২ মিশনও মহাবিশ্বে অন্য গ্রহের খোঁজ করছে সেই ৪৬ বছর ধরে। পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৯০০ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকলেও এখনো তা পৃথিবীতে বিভিন্ন বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভয়েজার-১ ও পৃথিবী ২ হাজার ৪০০ কোটি কিলোমিটার দূরে থেকে পৃথিবীতে তথ্য-বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে।
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৪ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
১ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগে