যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সংগৃহীত ডেটা সংরক্ষণকারী সার্ভারগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব সার্ভার নাসার দুটি সৌর পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ধারণ করে। তবে সার্ভারগুলোর কার্যক্রম কখন আবার শুরু হবে, তা এখনো জানাতে পারেনি সংস্থাটি। সার্ভারগুলো যেখানে রাখা হয়েছিল, সেই স্থাপনায় একটি চার ইঞ্চির ঠান্ডা পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার স্ট্যানফোর্ডের জয়েন্ট সায়েন্স অপারেশনস সেন্টারের (জেএসওসি) একটি পাইপ ফেটে যায়। সেখানে সৌর গতিশীলতা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এসডিও) এবং রিজিয়ন ইমেজিং স্পেকট্রোগ্রাফ (আইআরআইএস) থেকে ডেটা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত অবকাঠামো রাখা হয়। সেন্টারটি এসডিওর তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মধ্যে দুটি যন্ত্রের ডেটা পরিচালনা করে—হেলিওসেসমিক এবং ম্যাগনেটিক ইমেজার (এইচএমআই) যন্ত্র এবং অ্যাটমোস্ফেরিক ইমেজিং অ্যারে (এআইএ)।
জেএসওসি সার্ভার রুমে কয়েক ইঞ্চি পানি জমে গিয়েছিল। পরদিন তা নিষ্কাশন করা হলেও যন্ত্রপাতিগুলো শুকানোর প্রয়োজন ছিল। তবে সেগুলো রোদে শুকানো সম্ভব ছিল না।
এক ব্লগ পোস্টে নাসা বলে, সেন্টারটির অনেকগুলো সিস্টেমকে প্রভাবিত করেছে পানি। তবে সেবা পুনরায় চালু হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
এই ক্ষতিকে ‘ব্যাপক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জিএসওসি। আগামী বছরের আগে পূর্ণ পুনরুদ্ধার হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। তবে কতটুকু সময় বা সম্পদ প্রয়োজন হতে পারে তার কোনো হিসাব জানানো হয়নি।
কোন কোন যন্ত্রপাতি ভিজে গেছে তা এখনো বিস্তারিত জানায়নি নাসা। তবে এসডিও প্রতি মাসে প্রায় ৪২ টিবি ডেটা সরবরাহ করে। এই সংখ্যা এখন তুচ্ছ মনে হতে পারে। কারণ বর্তমান প্রযুক্তিতে অনেক বেশি ডেটা উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে ২০১০ সালে যখন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল, তখন এই ডেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যন্ত্রপাতি এখনো আপগ্রেড করা না হলে এই পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রচুর র্যাক স্পেসের (যেখানে সার্ভার ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়) প্রয়োজন হতে পারে।
যদিও ডেটাগুলো এখন অ্যাক্সেসযোগ্য নয়, তা হারিয়ে যায়নি। এটি এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে শুধু প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, এইচএমআই ডেটা বর্তমানে নিউ মেক্সিকোতে সংরক্ষিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে মহাকাশের আবহাওয়া, মহাকাশ পরিবেশের ডেটা এবং মিশন পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটার অ্যাকসেস পাওয়া এখন সম্ভব নয়।
আইআরআইএস রিয়েল-টাইম ডেটা অনলাইনে দেখায়। তবে পাইপ ফেটে যাওয়ার চার দিন আগের ডেটা এখনো পাওয়া যাচ্ছে। অসম্পূর্ণ এআইএ এবং এইচএমআই ডেটাও বিভিন্ন উৎস থেকে অ্যাকসেস করা যেতে পারে।
সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করে মহাকাশভিত্তিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এসডিও। বিশেষভাবে এর চৌম্বক ক্ষেত্র, কার্যকলাপের চক্র এবং সৌর ব্যবস্থায় এর প্রভাবগুলোর নিয়ে গবেষণা করে। এটি বিশেষভাবে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে সম্পর্কের ওপর মনোযোগ দেয়, যাতে সূর্যের কার্যকলাপের প্রভাব পৃথিবীসহ পুরো সৌর ব্যবস্থায় কীভাবে পড়ে তা বোঝা যায়।
২০১৩ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল আইআরএএস। এটি একটি মহাকাশ গবেষণা উপগ্রহ, যা সূর্যের বাইরের অংশ, বিশেষ করে সূর্যের ‘করোনা’ এবং ‘হেলিওস্ফিয়ার’ নামক অঞ্চলে কীভাবে প্লাজমা (গরম গ্যাস) প্রবাহিত হয়, তা অধ্যয়ন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সংগৃহীত ডেটা সংরক্ষণকারী সার্ভারগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এসব সার্ভার নাসার দুটি সৌর পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ধারণ করে। তবে সার্ভারগুলোর কার্যক্রম কখন আবার শুরু হবে, তা এখনো জানাতে পারেনি সংস্থাটি। সার্ভারগুলো যেখানে রাখা হয়েছিল, সেই স্থাপনায় একটি চার ইঞ্চির ঠান্ডা পানির পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার স্ট্যানফোর্ডের জয়েন্ট সায়েন্স অপারেশনস সেন্টারের (জেএসওসি) একটি পাইপ ফেটে যায়। সেখানে সৌর গতিশীলতা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এসডিও) এবং রিজিয়ন ইমেজিং স্পেকট্রোগ্রাফ (আইআরআইএস) থেকে ডেটা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত অবকাঠামো রাখা হয়। সেন্টারটি এসডিওর তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের মধ্যে দুটি যন্ত্রের ডেটা পরিচালনা করে—হেলিওসেসমিক এবং ম্যাগনেটিক ইমেজার (এইচএমআই) যন্ত্র এবং অ্যাটমোস্ফেরিক ইমেজিং অ্যারে (এআইএ)।
জেএসওসি সার্ভার রুমে কয়েক ইঞ্চি পানি জমে গিয়েছিল। পরদিন তা নিষ্কাশন করা হলেও যন্ত্রপাতিগুলো শুকানোর প্রয়োজন ছিল। তবে সেগুলো রোদে শুকানো সম্ভব ছিল না।
এক ব্লগ পোস্টে নাসা বলে, সেন্টারটির অনেকগুলো সিস্টেমকে প্রভাবিত করেছে পানি। তবে সেবা পুনরায় চালু হওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
এই ক্ষতিকে ‘ব্যাপক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে জিএসওসি। আগামী বছরের আগে পূর্ণ পুনরুদ্ধার হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। তবে কতটুকু সময় বা সম্পদ প্রয়োজন হতে পারে তার কোনো হিসাব জানানো হয়নি।
কোন কোন যন্ত্রপাতি ভিজে গেছে তা এখনো বিস্তারিত জানায়নি নাসা। তবে এসডিও প্রতি মাসে প্রায় ৪২ টিবি ডেটা সরবরাহ করে। এই সংখ্যা এখন তুচ্ছ মনে হতে পারে। কারণ বর্তমান প্রযুক্তিতে অনেক বেশি ডেটা উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে ২০১০ সালে যখন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটি চালু হয়েছিল, তখন এই ডেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যন্ত্রপাতি এখনো আপগ্রেড করা না হলে এই পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রচুর র্যাক স্পেসের (যেখানে সার্ভার ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়) প্রয়োজন হতে পারে।
যদিও ডেটাগুলো এখন অ্যাক্সেসযোগ্য নয়, তা হারিয়ে যায়নি। এটি এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে শুধু প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, এইচএমআই ডেটা বর্তমানে নিউ মেক্সিকোতে সংরক্ষিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে মহাকাশের আবহাওয়া, মহাকাশ পরিবেশের ডেটা এবং মিশন পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটার অ্যাকসেস পাওয়া এখন সম্ভব নয়।
আইআরআইএস রিয়েল-টাইম ডেটা অনলাইনে দেখায়। তবে পাইপ ফেটে যাওয়ার চার দিন আগের ডেটা এখনো পাওয়া যাচ্ছে। অসম্পূর্ণ এআইএ এবং এইচএমআই ডেটাও বিভিন্ন উৎস থেকে অ্যাকসেস করা যেতে পারে।
সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করে মহাকাশভিত্তিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এসডিও। বিশেষভাবে এর চৌম্বক ক্ষেত্র, কার্যকলাপের চক্র এবং সৌর ব্যবস্থায় এর প্রভাবগুলোর নিয়ে গবেষণা করে। এটি বিশেষভাবে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে সম্পর্কের ওপর মনোযোগ দেয়, যাতে সূর্যের কার্যকলাপের প্রভাব পৃথিবীসহ পুরো সৌর ব্যবস্থায় কীভাবে পড়ে তা বোঝা যায়।
২০১৩ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল আইআরএএস। এটি একটি মহাকাশ গবেষণা উপগ্রহ, যা সূর্যের বাইরের অংশ, বিশেষ করে সূর্যের ‘করোনা’ এবং ‘হেলিওস্ফিয়ার’ নামক অঞ্চলে কীভাবে প্লাজমা (গরম গ্যাস) প্রবাহিত হয়, তা অধ্যয়ন করে।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৪ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে