আগুন নেভানোর জন্য পানি ব্যবহার করার বিষয়টি ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়। আগুন নেভানোর জন্য এর গুরুত্ব বোঝানো হলেও পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে আগুন নেভে তা বোঝানো কিন্তু কঠিন!
যুক্তরাষ্ট্রের মনটানা রাজ্যে অবস্থিত ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের সায়েন্স ল্যাবরেটরির অগ্নিনির্বাপণ বিশেষজ্ঞ সারা ম্যাকঅ্যালিস্টারের বলেন, ‘পানি আগুন নেভাতে পারে কারণ এটি খুব ভালো তাপ শোষক। অর্থাৎ আগুনের তাপ ভালোভাবে শুষে নিতে পারে পানি।’
পানি কিন্তু সরাসরি আগুন নেভায় না। আগুন জ্বলার জন্য তিনটি জিনিস প্রয়োজন—জ্বালানি, অক্সিজেন ও তাপের উৎস বা তাপ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার দহন বিক্রিয়া বিশেষজ্ঞ মিখায়েল গলনার বলেন, সরাসরি আগুন নেভানোর পরিবর্তে পানি আগুন জ্বালানোর উপাদানের ওপর কাজ করে। পানি কাঠ, কাগজ বা কয়লার মতো যেকোনো জ্বালানির দহন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাঠ পোড়ার সময় আগুনের তাপ কাঠের উপাদানকে বাষ্পীভূত করে গ্যাসে রূপান্তরিত করে। এই গ্যাস আবার আগুনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। আর পানি তাপ শোষণ করে। আগুনের যথেষ্ট শক্তি না থাকলে কাঠে পানি ঢাললে তা আগুনের প্রায় সব তাপ শুষে নেয়। ফলে কাঠ কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যায়। সেসময় জ্বলার মতো যথেষ্ট তাপশক্তি থাকে না, ফলে আগুন নিভে যায়।
সম্ভাব্য জ্বালানিকে ভিজিয়ে রাখলেও আগুন জ্বলার সম্ভাবনা কমে যায়। আগুন লাগলেও বেশি ছড়াতে পারে না। তাই বিভিন্ন দেশের ভবনে স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহার হয়। আগুন লেগেছে এমন সংকেত পেলে পাইপের মাধ্যমে সব জায়গায় পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সম্ভাব্য জ্বালানি ভিজে যায়। দমকল বাহিনী আসার আগে পর্যন্ত আগুনের তেজ কম রাখতে এই কৌশল বেশ কাজে দেয়।
মিখায়েল বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর জন্য পানির বদলে জলীয় বাষ্প ব্যবহার করতে হয়। যেমন: কোনো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সার্ভার রুমের কথা কল্পনা করুন। সেখানে আগুন লাগলে, তা নেভানোর জন্য পানি ব্যবহার করলে হিতে–বিপরীত হতে পারে। কারণ আগুনের মতো পানিও বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ক্ষতি করে, এতে এগুলো বিস্ফোরিত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সরাসরি পানির বদলে জলীয় বাষ্প ব্যবহার করা বেশি কার্যকর। জলীয় বাষ্পের কণাগুলো অনেক ছোট হয় যা অক্সিজেনকে স্থানচ্যুত করতে পারে। সেই সঙ্গে আগুনের জ্বালানিকে ঠান্ডা করে।
সারা ম্যাকঅ্যালিস্টার বলেন, সাধারণ আগুন হলে নেভানোর জন্য পানিই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু সব ধরনের আগুন নেভানোর জন্য পানি উপযুক্ত নয়। যেমন—দাবানল। এ ক্ষেত্রে আগুনের উত্তাপ এত বেশি থাকে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় দাবানলের আগুনে পানি ছিটানো হয়। তবে সেটি আগুন নেভানোর জন্য না। এটি যেন ধীর গতিতে ছড়ায়, এ জন্য পানি ব্যবহার করা হয়। এতে অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে জ্বালানি সরিয়ে ফেলে বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কিন্তু আগুনের শিখার উচ্চতা ৫০ ফুটের (১৫ মিটার) বেশি হলে সেখানে আর কিছু করার থাকে না।
সবক্ষেত্রে পানি দিয়েই আগুন নেভানো সঠিক কৌশল নয়। ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট বা গোলযোগ থেকে আগুন ধরলে কখনোই সেই আগুন নেভাতে পানি ছিটানো যাবে না। এতে করে যে ব্যক্তি পানি দেবেন তিনিও বিদ্যুতায়িত হতে পারেন।
রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন খুব সতর্কতার সঙ্গে নেভাতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে থাকেন তাঁরা।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ধরলে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে গ্যাসের লাইন বন্ধ করার। এরপর ভেজা (সম্ভব হলে) বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও বিবিসি
আগুন নেভানোর জন্য পানি ব্যবহার করার বিষয়টি ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়। আগুন নেভানোর জন্য এর গুরুত্ব বোঝানো হলেও পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে আগুন নেভে তা বোঝানো কিন্তু কঠিন!
যুক্তরাষ্ট্রের মনটানা রাজ্যে অবস্থিত ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের সায়েন্স ল্যাবরেটরির অগ্নিনির্বাপণ বিশেষজ্ঞ সারা ম্যাকঅ্যালিস্টারের বলেন, ‘পানি আগুন নেভাতে পারে কারণ এটি খুব ভালো তাপ শোষক। অর্থাৎ আগুনের তাপ ভালোভাবে শুষে নিতে পারে পানি।’
পানি কিন্তু সরাসরি আগুন নেভায় না। আগুন জ্বলার জন্য তিনটি জিনিস প্রয়োজন—জ্বালানি, অক্সিজেন ও তাপের উৎস বা তাপ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার দহন বিক্রিয়া বিশেষজ্ঞ মিখায়েল গলনার বলেন, সরাসরি আগুন নেভানোর পরিবর্তে পানি আগুন জ্বালানোর উপাদানের ওপর কাজ করে। পানি কাঠ, কাগজ বা কয়লার মতো যেকোনো জ্বালানির দহন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কাঠ পোড়ার সময় আগুনের তাপ কাঠের উপাদানকে বাষ্পীভূত করে গ্যাসে রূপান্তরিত করে। এই গ্যাস আবার আগুনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। আর পানি তাপ শোষণ করে। আগুনের যথেষ্ট শক্তি না থাকলে কাঠে পানি ঢাললে তা আগুনের প্রায় সব তাপ শুষে নেয়। ফলে কাঠ কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যায়। সেসময় জ্বলার মতো যথেষ্ট তাপশক্তি থাকে না, ফলে আগুন নিভে যায়।
সম্ভাব্য জ্বালানিকে ভিজিয়ে রাখলেও আগুন জ্বলার সম্ভাবনা কমে যায়। আগুন লাগলেও বেশি ছড়াতে পারে না। তাই বিভিন্ন দেশের ভবনে স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহার হয়। আগুন লেগেছে এমন সংকেত পেলে পাইপের মাধ্যমে সব জায়গায় পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সম্ভাব্য জ্বালানি ভিজে যায়। দমকল বাহিনী আসার আগে পর্যন্ত আগুনের তেজ কম রাখতে এই কৌশল বেশ কাজে দেয়।
মিখায়েল বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে আগুন নেভানোর জন্য পানির বদলে জলীয় বাষ্প ব্যবহার করতে হয়। যেমন: কোনো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সার্ভার রুমের কথা কল্পনা করুন। সেখানে আগুন লাগলে, তা নেভানোর জন্য পানি ব্যবহার করলে হিতে–বিপরীত হতে পারে। কারণ আগুনের মতো পানিও বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ক্ষতি করে, এতে এগুলো বিস্ফোরিত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সরাসরি পানির বদলে জলীয় বাষ্প ব্যবহার করা বেশি কার্যকর। জলীয় বাষ্পের কণাগুলো অনেক ছোট হয় যা অক্সিজেনকে স্থানচ্যুত করতে পারে। সেই সঙ্গে আগুনের জ্বালানিকে ঠান্ডা করে।
সারা ম্যাকঅ্যালিস্টার বলেন, সাধারণ আগুন হলে নেভানোর জন্য পানিই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু সব ধরনের আগুন নেভানোর জন্য পানি উপযুক্ত নয়। যেমন—দাবানল। এ ক্ষেত্রে আগুনের উত্তাপ এত বেশি থাকে যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় দাবানলের আগুনে পানি ছিটানো হয়। তবে সেটি আগুন নেভানোর জন্য না। এটি যেন ধীর গতিতে ছড়ায়, এ জন্য পানি ব্যবহার করা হয়। এতে অগ্নিনির্বাপণ কাজের জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে জ্বালানি সরিয়ে ফেলে বালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। কিন্তু আগুনের শিখার উচ্চতা ৫০ ফুটের (১৫ মিটার) বেশি হলে সেখানে আর কিছু করার থাকে না।
সবক্ষেত্রে পানি দিয়েই আগুন নেভানো সঠিক কৌশল নয়। ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট বা গোলযোগ থেকে আগুন ধরলে কখনোই সেই আগুন নেভাতে পানি ছিটানো যাবে না। এতে করে যে ব্যক্তি পানি দেবেন তিনিও বিদ্যুতায়িত হতে পারেন।
রাসায়নিক থেকে সৃষ্ট আগুন খুব সতর্কতার সঙ্গে নেভাতে হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে থাকেন তাঁরা।
গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন ধরলে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে গ্যাসের লাইন বন্ধ করার। এরপর ভেজা (সম্ভব হলে) বস্তা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স ও বিবিসি
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
২ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৩ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৩ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৫ দিন আগে