আধুনিক স্মার্টফোনের যুগে তারযুক্ত টেলিফোনের ব্যবহার প্রায় উঠেই গেছে। তবে উনিশ শতকে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল টেলিফোন। এটি কে উদ্ভাবন করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে বেশির ভাগ মানুষই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের নাম বলেন। কিন্তু এই উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দাবিদার কিন্তু বেশ কয়েকজন। বলা হয়, সবাই স্বাধীনভাবেই টেলিফোন উদ্ভাবন করেছেন।
তবে স্কটিশ প্রকৌশলী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন উদ্ভাবনের কৃতিত্ব পেয়েছেন। টেলিফোন তৈরির পরেই গ্রাহাম বেল তাঁর সহকারী ওয়াটসনকে আরেক ডিভাইসের মাধ্যমে পাশের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। তিনি ১৮৭৬ সালের ৭ মার্চ বিশ্বের প্রথম টেলিফোন পেটেন্ট করেন।
পেটেন্ট বেলের নামে থাকলেও টেলিফোন আবিষ্কারের পুরো কৃতিত্ব তার নয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। তবে এটি সত্য যে, সমসাময়িক অন্য বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের অবদান বাদ দিলে, এই যন্ত্র হয়তো আরও দেরিতে পেতাম। অন্য উত্তরসূরি বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের জ্ঞানকে পুঁজি করেই গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে টেলিফোনের নকশা তৈরি করেন।
ইতালির অনেকেই দাবি করেন, আন্তোনিও মুচি টেলিফোনের আসল উদ্ভাবক। আবার জার্মানিরা জোর দিয়ে বলেন, টেলিফোনের উদ্ভাবক জোহান ফিলিপ রেইস।
টেলিফোনের উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবকদের মধ্য একজন যুক্তরাষ্ট্রের এলিশা গ্রে। ‘স্পিকিং টেলিগ্রাফের’ জন্য ১৮৭৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি পেটেন্ট জমা দেন এলিশা গ্রে। একই দিনে গ্রাহাম বেলও টেলিফোনের পেটেন্ট জমা দেন।
ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স জার্নালে বেঞ্জামিন ল্যাথ্রপ ব্রাউন বলেন, স্পিকিং টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন প্রায় একই ধরনের লিকুইড টেলিফোন ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
এ কারণে অভিযোগ করা হয়, গ্রাহাম বেল স্পিকিং টেলিগ্রাফের নকশা চুরি করেছেন। বেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠলেও ব্রাউন ব্যাখ্যা করেন, ইঞ্জিনিয়ারিং নকশাগুলো থেকে বোঝা যায় বেল ও গ্রে তরল ট্রান্সমিটার টেলিফোন স্বাধীনভাবে উদ্ভাবন করেছেন।
গ্রে–এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বেলের আইনজীবীরা পেটেন্ট জমা দেন। এ কারণে বেলের পেটেন্টকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আন্তোনিও মুচি
ইতালিতে টেলিফোন উদ্ভাবক হিসেবে আন্তোনিও মুচির নাম উল্লেখ করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য ১৮৪৯ সালের প্রথম দিকে টকিং টেলিগ্রাফের ধারণা আনেন আন্তোনিও। এরপর তিনি একটি পেটেন্ট আপত্তি জমা দেন।
যে পরীক্ষাগারে টকিং টেলিগ্রাফের জন্য আন্তোনিও সরঞ্জাম সংরক্ষণ করেন, সেই একই পরীক্ষাগারে বেল তাঁর টেলিফোন নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছিলেন। বিনিয়োগের অভাবে আন্তোনিও টকিং টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করা বন্ধ করার দুই বছর পর বেলের পেটেন্টটি গ্রহণ করা হয়।
১৮৮৭ সালে এই দুই পেটেন্ট নিয়ে আদালতে লড়াই হয়। আন্তোনিও ১৮৮৯ সালে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার বহু বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার টেলিফোন উদ্ভাবনে আন্তোনিওর অবদান স্বীকার করে।
জোহান ফিলিপ রেইস
১৮৫৭ সালে রেইস নামের একটি টেলিফোন তৈরি শুরু করেন জার্মান উদ্ভাবক জোহান ফিলিপ রেইস। আন্তোনিও এ সময় টকিং টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করছিলেন।
১৮৬১ সালে রেইস টেলিফোন তৈরি হয় এবং কার্বন মাইক্রোফোন তৈরির সময় টমাস আলভা এডিসন এটি ব্যবহার করেন। রেইস ফোনে নিরবচ্ছিন্নভাবে আলাপ করা যেত না। তবে বেলের টেলিফোনে এই সীমাবদ্ধতা ছিল না।
আধুনিক স্মার্টফোনের যুগে তারযুক্ত টেলিফোনের ব্যবহার প্রায় উঠেই গেছে। তবে উনিশ শতকে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন ছিল টেলিফোন। এটি কে উদ্ভাবন করেছেন, এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে বেশির ভাগ মানুষই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের নাম বলেন। কিন্তু এই উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দাবিদার কিন্তু বেশ কয়েকজন। বলা হয়, সবাই স্বাধীনভাবেই টেলিফোন উদ্ভাবন করেছেন।
তবে স্কটিশ প্রকৌশলী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল টেলিফোন উদ্ভাবনের কৃতিত্ব পেয়েছেন। টেলিফোন তৈরির পরেই গ্রাহাম বেল তাঁর সহকারী ওয়াটসনকে আরেক ডিভাইসের মাধ্যমে পাশের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। তিনি ১৮৭৬ সালের ৭ মার্চ বিশ্বের প্রথম টেলিফোন পেটেন্ট করেন।
পেটেন্ট বেলের নামে থাকলেও টেলিফোন আবিষ্কারের পুরো কৃতিত্ব তার নয়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। তবে এটি সত্য যে, সমসাময়িক অন্য বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের অবদান বাদ দিলে, এই যন্ত্র হয়তো আরও দেরিতে পেতাম। অন্য উত্তরসূরি বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের জ্ঞানকে পুঁজি করেই গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে টেলিফোনের নকশা তৈরি করেন।
ইতালির অনেকেই দাবি করেন, আন্তোনিও মুচি টেলিফোনের আসল উদ্ভাবক। আবার জার্মানিরা জোর দিয়ে বলেন, টেলিফোনের উদ্ভাবক জোহান ফিলিপ রেইস।
টেলিফোনের উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবকদের মধ্য একজন যুক্তরাষ্ট্রের এলিশা গ্রে। ‘স্পিকিং টেলিগ্রাফের’ জন্য ১৮৭৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি পেটেন্ট জমা দেন এলিশা গ্রে। একই দিনে গ্রাহাম বেলও টেলিফোনের পেটেন্ট জমা দেন।
ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স জার্নালে বেঞ্জামিন ল্যাথ্রপ ব্রাউন বলেন, স্পিকিং টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন প্রায় একই ধরনের লিকুইড টেলিফোন ট্রান্সমিটার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়।
এ কারণে অভিযোগ করা হয়, গ্রাহাম বেল স্পিকিং টেলিগ্রাফের নকশা চুরি করেছেন। বেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠলেও ব্রাউন ব্যাখ্যা করেন, ইঞ্জিনিয়ারিং নকশাগুলো থেকে বোঝা যায় বেল ও গ্রে তরল ট্রান্সমিটার টেলিফোন স্বাধীনভাবে উদ্ভাবন করেছেন।
গ্রে–এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বেলের আইনজীবীরা পেটেন্ট জমা দেন। এ কারণে বেলের পেটেন্টকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আন্তোনিও মুচি
ইতালিতে টেলিফোন উদ্ভাবক হিসেবে আন্তোনিও মুচির নাম উল্লেখ করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে সাহায্য করার জন্য ১৮৪৯ সালের প্রথম দিকে টকিং টেলিগ্রাফের ধারণা আনেন আন্তোনিও। এরপর তিনি একটি পেটেন্ট আপত্তি জমা দেন।
যে পরীক্ষাগারে টকিং টেলিগ্রাফের জন্য আন্তোনিও সরঞ্জাম সংরক্ষণ করেন, সেই একই পরীক্ষাগারে বেল তাঁর টেলিফোন নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছিলেন। বিনিয়োগের অভাবে আন্তোনিও টকিং টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করা বন্ধ করার দুই বছর পর বেলের পেটেন্টটি গ্রহণ করা হয়।
১৮৮৭ সালে এই দুই পেটেন্ট নিয়ে আদালতে লড়াই হয়। আন্তোনিও ১৮৮৯ সালে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার বহু বছর পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার টেলিফোন উদ্ভাবনে আন্তোনিওর অবদান স্বীকার করে।
জোহান ফিলিপ রেইস
১৮৫৭ সালে রেইস নামের একটি টেলিফোন তৈরি শুরু করেন জার্মান উদ্ভাবক জোহান ফিলিপ রেইস। আন্তোনিও এ সময় টকিং টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করছিলেন।
১৮৬১ সালে রেইস টেলিফোন তৈরি হয় এবং কার্বন মাইক্রোফোন তৈরির সময় টমাস আলভা এডিসন এটি ব্যবহার করেন। রেইস ফোনে নিরবচ্ছিন্নভাবে আলাপ করা যেত না। তবে বেলের টেলিফোনে এই সীমাবদ্ধতা ছিল না।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে