২০২১ সালে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ উৎপাদিত হয়েছে বায়ু কল (ওয়াইন্ড মিল) এবং সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাম্বারের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের ৫০টি দেশ তাদের বিদ্যুৎ শক্তির এক দশমাংশেরও বেশি উৎপাদিত হয় বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে পায়।
২০২১ সালে বিগত দুই বছরে তুলনায় শক্তির চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি কবলিত বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রতিটি দেশই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় শক্তির এই চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে রেকর্ড গতিতে। অ্যাম্বারের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত বছরে বিশ্বে বিদ্যুতের যে পরিমাণ চাহিদা বৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তা সমগ্র ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান। আর এই বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ১৯৮৫ সালের পর বিশ্বে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের হার সবচেয়ে দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে কয়লার পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু কল এবং অন্যান্য ‘ক্লিন এনার্জি’ উৎসগুলো ২০২১ সালে বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট ৩৮ শতাংশ উৎপন্ন করেছে এবং কেবল বায়ু টারবাইন এবং সোলার প্যানেলগুলো বিশ্বের মোট বিদ্যুতের অন্তত ১০ শতাংশ উৎপন্ন করেছে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে বায়ু ও সূর্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা অন্তত দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে বায়ু ও সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গতি দ্রুততার সঙ্গে ইতিবাচক দিকে বদলে গেছে। দ্রুততম পরিবর্তন ঘটেছে। এবং সৌর ও বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানোর ফলাফল হিসেবে দেশ তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার অন্তত ১০ ভাগের ১ ভাগ কমিয়েছে।
অ্যাম্বারের গবেষক হানা ব্রডবেন্ট বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস দেখিয়ে দিয়েছে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কেবল সূর্যের আলোর দরকার নয়, দরকার একটি সঠিক পরিবেশ নীতির যা মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রথাগত এবং নতুন পদ্ধতির মধ্যে একটি পার্থক্য গড়ে দেয়।’
কেবল নেদারল্যান্ডস নয় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে চমক দেখিয়েছে। দেশটিতে বিগত বছরের তুলনায় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে অ্যাম্বারের বৈশ্বিক প্রধান ডেভ জোনস বলেছেন, ‘ভিয়েতনামে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে। এমনকি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারের তরফ থেকে ঋণ সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এবং সরকারের তরফ থেকে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তুলতে আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মূলত এসব সুযোগ-সুবিধাই প্রচুর পরিমাণ সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করেছে।’
ডেভ জোনস আরও বলেন, ‘আমরা এখানে (ভিয়েতনামে) যা দেখেছি তা হলো—গত বছর এখানে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক বিশাল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যা কেবল বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদাই মেটায়নি একই সঙ্গে এটি কয়লা ও গ্যাস উভয়ের ব্যবহার কমানোর পথও দেখিয়েছে।’
তবে, ইউরোপে ডেনমার্কের মতো কিছু দেশ এখনো তাদের ৫০ শতাংশরও বেশি বিদ্যুৎ বায়ু ও সৌর থেকে পেলেও দেশটিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও ২০২১ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদার সিংহভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে দ্বারা পূরণ করা হয়েছে এবং কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিমাণ ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৮৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে দ্রুততম হার। কয়লা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারতসহ এশীয় দেশগুলো অন্যতম। কয়লা ব্যবহার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে।
ডেভ জোনস বলেন, ‘গত বছর বিশ্বজুড়ে সত্যিই গ্যাসের উচ্চমূল্য দেখা গেছে বিপরীতে কয়লা তুলনামূলক সস্তা হিসেবেই পাওয়া হয়ে গেছে। আমরা এখন যা দেখছি তা হলো—ইউরোপজুড়ে এবং এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে গ্যাসের দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যেখানে বেড়েছ ১০ গুণ এবং সেখানে কয়লার দাম বেড়েছে মাত্র ৩ গুণ।’ তবে ডেভ জোনস গ্যাস ও কয়লা উভয়ের দাম বৃদ্ধিকে অভিহিত করেছেন, বিদ্যুৎ শক্তির ক্ষেত্রে “ক্লিন এনার্জি’র চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে।
গবেষকেরা আরও বলছেন, ২০২১ সালে কয়লার ব্যবহার বৃদ্ধি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং কানাডাসহ বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো আগামী ১৫ বছরের মধ্যে তাদের গ্রিডগুলোতে শতভাগ কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য রাখছে। তবে গবেষকেরা বলছেন এই লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর প্রায় ২০ শতাংশ হারে বায়ু ও সৌরশক্তি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। অ্যাম্বারের গবেষকেরা বলছেন, এটি এখন ‘শর্তসাপেক্ষে সম্ভব’।
হানা ব্রডবেন্ট বলেন, ‘বায়ু ও সৌরশক্তি বিশ্ব বর্তমানে জ্বালানি নিয়ে যে একাধিক সংকটের মুখোমুখি তার একটি সুন্দর সমাধানের প্রস্তাব দেয়। এটি জলবায়ু সংকট কাটিয়ে উঠতে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি সত্যিকারের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’
বিবিসি বাংলা থেকে অনুবাদ: আব্দুর রহমান
২০২১ সালে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ উৎপাদিত হয়েছে বায়ু কল (ওয়াইন্ড মিল) এবং সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যাম্বারের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাম্বারের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের ৫০টি দেশ তাদের বিদ্যুৎ শক্তির এক দশমাংশেরও বেশি উৎপাদিত হয় বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে পায়।
২০২১ সালে বিগত দুই বছরে তুলনায় শক্তির চাহিদা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি কবলিত বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রতিটি দেশই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় শক্তির এই চাহিদা বেড়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে রেকর্ড গতিতে। অ্যাম্বারের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত বছরে বিশ্বে বিদ্যুতের যে পরিমাণ চাহিদা বৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে তা সমগ্র ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান। আর এই বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ১৯৮৫ সালের পর বিশ্বে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের হার সবচেয়ে দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে কয়লার পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু কল এবং অন্যান্য ‘ক্লিন এনার্জি’ উৎসগুলো ২০২১ সালে বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মোট ৩৮ শতাংশ উৎপন্ন করেছে এবং কেবল বায়ু টারবাইন এবং সোলার প্যানেলগুলো বিশ্বের মোট বিদ্যুতের অন্তত ১০ শতাংশ উৎপন্ন করেছে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে বায়ু ও সূর্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা অন্তত দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোতে বায়ু ও সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের গতি দ্রুততার সঙ্গে ইতিবাচক দিকে বদলে গেছে। দ্রুততম পরিবর্তন ঘটেছে। এবং সৌর ও বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানোর ফলাফল হিসেবে দেশ তিনটি জীবাশ্ম জ্বালানি কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার অন্তত ১০ ভাগের ১ ভাগ কমিয়েছে।
অ্যাম্বারের গবেষক হানা ব্রডবেন্ট বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস দেখিয়ে দিয়েছে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কেবল সূর্যের আলোর দরকার নয়, দরকার একটি সঠিক পরিবেশ নীতির যা মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রথাগত এবং নতুন পদ্ধতির মধ্যে একটি পার্থক্য গড়ে দেয়।’
কেবল নেদারল্যান্ডস নয় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে চমক দেখিয়েছে। দেশটিতে বিগত বছরের তুলনায় সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার ৩০০ শতাংশ বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে অ্যাম্বারের বৈশ্বিক প্রধান ডেভ জোনস বলেছেন, ‘ভিয়েতনামে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে। এমনকি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারের তরফ থেকে ঋণ সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এবং সরকারের তরফ থেকে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তুলতে আরও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মূলত এসব সুযোগ-সুবিধাই প্রচুর পরিমাণ সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করেছে।’
ডেভ জোনস আরও বলেন, ‘আমরা এখানে (ভিয়েতনামে) যা দেখেছি তা হলো—গত বছর এখানে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক বিশাল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যা কেবল বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদাই মেটায়নি একই সঙ্গে এটি কয়লা ও গ্যাস উভয়ের ব্যবহার কমানোর পথও দেখিয়েছে।’
তবে, ইউরোপে ডেনমার্কের মতো কিছু দেশ এখনো তাদের ৫০ শতাংশরও বেশি বিদ্যুৎ বায়ু ও সৌর থেকে পেলেও দেশটিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও ২০২১ সালে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদার সিংহভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে দ্বারা পূরণ করা হয়েছে এবং কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিমাণ ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ১৯৮৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে দ্রুততম হার। কয়লা ব্যবহারের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে চীন ও ভারতসহ এশীয় দেশগুলো অন্যতম। কয়লা ব্যবহার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে গ্যাসের দাম বৃদ্ধিকে।
ডেভ জোনস বলেন, ‘গত বছর বিশ্বজুড়ে সত্যিই গ্যাসের উচ্চমূল্য দেখা গেছে বিপরীতে কয়লা তুলনামূলক সস্তা হিসেবেই পাওয়া হয়ে গেছে। আমরা এখন যা দেখছি তা হলো—ইউরোপজুড়ে এবং এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে গ্যাসের দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যেখানে বেড়েছ ১০ গুণ এবং সেখানে কয়লার দাম বেড়েছে মাত্র ৩ গুণ।’ তবে ডেভ জোনস গ্যাস ও কয়লা উভয়ের দাম বৃদ্ধিকে অভিহিত করেছেন, বিদ্যুৎ শক্তির ক্ষেত্রে “ক্লিন এনার্জি’র চাহিদা দ্বিগুণ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে।
গবেষকেরা আরও বলছেন, ২০২১ সালে কয়লার ব্যবহার বৃদ্ধি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং কানাডাসহ বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো আগামী ১৫ বছরের মধ্যে তাদের গ্রিডগুলোতে শতভাগ কার্বনমুক্ত বিদ্যুৎ প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য রাখছে। তবে গবেষকেরা বলছেন এই লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর প্রায় ২০ শতাংশ হারে বায়ু ও সৌরশক্তি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। অ্যাম্বারের গবেষকেরা বলছেন, এটি এখন ‘শর্তসাপেক্ষে সম্ভব’।
হানা ব্রডবেন্ট বলেন, ‘বায়ু ও সৌরশক্তি বিশ্ব বর্তমানে জ্বালানি নিয়ে যে একাধিক সংকটের মুখোমুখি তার একটি সুন্দর সমাধানের প্রস্তাব দেয়। এটি জলবায়ু সংকট কাটিয়ে উঠতে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে একটি সত্যিকারের টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’
বিবিসি বাংলা থেকে অনুবাদ: আব্দুর রহমান
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
১৭ ঘণ্টা আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১৯ ঘণ্টা আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগেপ্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি বছর আগে গঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘূর্ণনের গতি কমছে পৃথিবীর। এর ফলে দীর্ঘ হচ্ছে দিনগুলোও। মানবজীবনের সময়কাল অনুযায়ী এই পরিবর্তন খুব একটা দৃশ্যমান না হলেও দীর্ঘ সময় পর তা পৃথিবীর পরিবেশে বড় পরিবর্তন এনেছে।
৩ দিন আগে