আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রোবট নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছড়াছড়ি। মানুষের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, কোনো কোনো রোবটের রয়েছে মানুষের মতোই অনুভূতি।
কিন্তু আদতে রোবটকে দিয়ে কত ধরনের কাজ করানো যায়, সে বিষয়ে এখনো শেষ কথা বলে দেওয়ার সময় হয়নি। তবে দারুণ এক উদ্ধারকাজবিষয়ক প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক দল রোবট, সে কথাই বলা হবে আজ।
মানবসত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ‘প্রতিযোগিতা’ শব্দটি। রোবটদের এই প্রতিযোগিতা যেন অন্য এক অলিম্পিক। হারাতে হবে উসাইন বোল্টকেও! তবে জিতে যাওয়ার পর অলিম্পিক প্রতিযোগীদের মতো সোনার মেডেলে কামড় বসানো যায় না হয়তো।
মানুষই আবিষ্কার করেছে তাঁদের মতো কাজ করতে পারা রোবট নামক যন্ত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকেও ছাড়িয়ে যায় এরা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক ছবি কিংবা বইয়ে যেমন রোবটের দেখা মেলে, বাস্তবে সেগুলো বানানোর প্রাথমিক পর্যায় চলছে এখন। তো, এরা থেমে থাকবে কেন? এদের মধ্যেও তো অন্যের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার ‘বাসনা’ জাগে।
বিজ্ঞানীরাই তো এসব মেশিন বানিয়েছেন। তাই তাঁরা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন। এদের নিয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয় রোবটের প্রতিযোগিতা। ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা) নামের যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও উন্নয়নমূলক সংস্থার অর্থায়নে এতে অংশ নেয় আধুনিক প্রযুক্তির অনেক রোবট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডারপা সাবটেরিয়ান চ্যালেঞ্জ’। ভূগর্ভের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উদ্ধারকাজ করবে এরা। মানুষ পৌঁছাতে পারবে না–এমন জায়গায় যেতে হবে।
তবু প্রথম দুই রাউন্ডে নিজেদের কারিশমা দেখিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে যোগ্যতম ৮টি দল। তৃতীয় রাউন্ড করোনার কারণে হয়নি। এবার শেষ পর্ব অর্থাৎ ফাইনাল শুরু হয়েছে। গতকাল ছিল এ পর্বের প্রথম দিন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে কৌশলের বিভিন্ন প্রদর্শনী।
টানেল, গুহা এবং শহরের কোনো জায়গার ভূগর্ভে চালাতে হবে উদ্ধারকাজ। স্বয়ংক্রিয় এসব রোবটের কেউ উড়বে, কেউ পায়ে-পায়ে হেঁটে যাবে, আবার কেউ মানুষের মতো ছোট গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যাবে। উদ্ধারকাজে মাত্র একজন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে এরা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কাজ করতে হবে নিজের মতো করে।
৩০ মিনিটের দুটি প্রিলিমিনারি রাউন্ড শেষে প্রতিটি দলকে অংশ নিতে হবে ৬০ মিনিটের ফাইনালে। এই ৬০ মিনিটেই উদ্ধার করতে হবে ৪০টি জিনিস। এতে থাকতে পারে মানুষ। গ্যাসে আবদ্ধ স্থান কিংবা মাটির নিচের অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে খুঁজে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে জিতে গেলে অলিম্পিকের মতো সোনার মেডেল পাওয়া যাবে না। জয়ী দল পাবে ২০ লাখ ডলার, যা আরও বিস্তর গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে। সবার মধ্যে ৫০ লাখ ডলার ভাগ করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে ফল।
অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে থাকা নাভিন্দা কটেগে বলেন, ‘এটা আমাদের রোবটের জন্য একটি অলিম্পিক প্রতিযোগিতাই। দীর্ঘ তিন বছর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এরা। নিজেকে এ কাজে সেরা প্রমাণ করার জন্যই।’ দলটি ছয়টি রোবট নিয়ে মাঠে নামবে।
আয়োজকেরা বলছেন, উদ্ধারকাজের এ প্রতিযোগিতা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রোবট নিয়ে মানুষের যেসব ভুল ধারণা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে এমন প্রতিযোগিতা আরও বেশি হওয়া দরকার।
রোবট নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছড়াছড়ি। মানুষের চেয়ে ভালো কাজ করতে পারে। তার চেয়ে বড় কথা, কোনো কোনো রোবটের রয়েছে মানুষের মতোই অনুভূতি।
কিন্তু আদতে রোবটকে দিয়ে কত ধরনের কাজ করানো যায়, সে বিষয়ে এখনো শেষ কথা বলে দেওয়ার সময় হয়নি। তবে দারুণ এক উদ্ধারকাজবিষয়ক প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক দল রোবট, সে কথাই বলা হবে আজ।
মানবসত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ‘প্রতিযোগিতা’ শব্দটি। রোবটদের এই প্রতিযোগিতা যেন অন্য এক অলিম্পিক। হারাতে হবে উসাইন বোল্টকেও! তবে জিতে যাওয়ার পর অলিম্পিক প্রতিযোগীদের মতো সোনার মেডেলে কামড় বসানো যায় না হয়তো।
মানুষই আবিষ্কার করেছে তাঁদের মতো কাজ করতে পারা রোবট নামক যন্ত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকেও ছাড়িয়ে যায় এরা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক ছবি কিংবা বইয়ে যেমন রোবটের দেখা মেলে, বাস্তবে সেগুলো বানানোর প্রাথমিক পর্যায় চলছে এখন। তো, এরা থেমে থাকবে কেন? এদের মধ্যেও তো অন্যের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার ‘বাসনা’ জাগে।
বিজ্ঞানীরাই তো এসব মেশিন বানিয়েছেন। তাই তাঁরা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন। এদের নিয়ে ২০১৮ সালে শুরু হয় রোবটের প্রতিযোগিতা। ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি (ডারপা) নামের যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ও উন্নয়নমূলক সংস্থার অর্থায়নে এতে অংশ নেয় আধুনিক প্রযুক্তির অনেক রোবট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডারপা সাবটেরিয়ান চ্যালেঞ্জ’। ভূগর্ভের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উদ্ধারকাজ করবে এরা। মানুষ পৌঁছাতে পারবে না–এমন জায়গায় যেতে হবে।
তবু প্রথম দুই রাউন্ডে নিজেদের কারিশমা দেখিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে যোগ্যতম ৮টি দল। তৃতীয় রাউন্ড করোনার কারণে হয়নি। এবার শেষ পর্ব অর্থাৎ ফাইনাল শুরু হয়েছে। গতকাল ছিল এ পর্বের প্রথম দিন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে কৌশলের বিভিন্ন প্রদর্শনী।
টানেল, গুহা এবং শহরের কোনো জায়গার ভূগর্ভে চালাতে হবে উদ্ধারকাজ। স্বয়ংক্রিয় এসব রোবটের কেউ উড়বে, কেউ পায়ে-পায়ে হেঁটে যাবে, আবার কেউ মানুষের মতো ছোট গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যাবে। উদ্ধারকাজে মাত্র একজন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে এরা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কাজ করতে হবে নিজের মতো করে।
৩০ মিনিটের দুটি প্রিলিমিনারি রাউন্ড শেষে প্রতিটি দলকে অংশ নিতে হবে ৬০ মিনিটের ফাইনালে। এই ৬০ মিনিটেই উদ্ধার করতে হবে ৪০টি জিনিস। এতে থাকতে পারে মানুষ। গ্যাসে আবদ্ধ স্থান কিংবা মাটির নিচের অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে খুঁজে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে জিতে গেলে অলিম্পিকের মতো সোনার মেডেল পাওয়া যাবে না। জয়ী দল পাবে ২০ লাখ ডলার, যা আরও বিস্তর গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যাবে। সবার মধ্যে ৫০ লাখ ডলার ভাগ করে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে ফল।
অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্বে থাকা নাভিন্দা কটেগে বলেন, ‘এটা আমাদের রোবটের জন্য একটি অলিম্পিক প্রতিযোগিতাই। দীর্ঘ তিন বছর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এরা। নিজেকে এ কাজে সেরা প্রমাণ করার জন্যই।’ দলটি ছয়টি রোবট নিয়ে মাঠে নামবে।
আয়োজকেরা বলছেন, উদ্ধারকাজের এ প্রতিযোগিতা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। রোবট নিয়ে মানুষের যেসব ভুল ধারণা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে এমন প্রতিযোগিতা আরও বেশি হওয়া দরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েই বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তির এর ড্রোন আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
৯ ঘণ্টা আগেমহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৪ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৫ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৫ দিন আগে