Ajker Patrika

বিদেশি নাগরিক কীভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি হন, প্রশ্ন বিএনপি নেতা রিপনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ৩১
বিদেশি নাগরিক কীভাবে দেশের রাষ্ট্রপতি হন, প্রশ্ন বিএনপি নেতা রিপনের

বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বার্বাডোজের নাগরিক। অন্য দেশের নাগরিক কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘একমাত্র বাংলাদেশেই এমন অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’ 

আজ বুধবার ইতালি বিএনপির নেতা আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বক্তারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন। 

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যেকোনো সময় পদত্যাগ করবেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। তাঁর রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হয়। চুপ্পু সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এসব জায়গায় নাগরিক হতে হলে অনেক টাকা লাগে। এসব টাকা কীভাবে পেলেন? মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যম ছাড়া এসব টাকা নেওয়া সম্ভব না।’ 

রিপন বলেন, ‘আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোজের নাগরিক হয়েছেন। এটা মনে হয় শুধু বাংলাদেশেই হয়। অন্য দেশের নাগরিক এ দেশের রাষ্ট্রপতি হয়। চুপ্পু সাহেব দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল, কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে, এটা জেনেই শেখ হাসিনা চুপ্পুকে ওখানে বসিয়ে দিলেন। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে ওনাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল। উনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানে না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না।’ 

তিনি বলেন, ‘এই যে না জানা, এটা একটা সিন্ডিকেট। বিচার বিভাগ, পুলিশ—সব জায়গাতেই তারা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল, যাতে তারা ভিন্নমত দমন করতে পারে।’ 

রিপন বলেন, ‘একটা ডামি সরকার পদত্যাগ করবে কি করবে না, এটা নিয়ে এত আলোচনার কী আছে! উনি (শেখ হাসিনা) তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলেই উনি পদত্যাগ করেছেন। উনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত ছিলেন না। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না, সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নাই।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাঁকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়ছিল। সেখানে হয়তো এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তাই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এর মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে।’ 

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমার সামনে যাঁরা আছেন, তখন অনেকেই ছোট ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোনো সংবাদপত্র কিছু লিখতে পারত না। একটা-দুইটা সংবাদপত্র কোনো রকম চেপেচুপে নিউজ করত। যদি ’৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসতে না পারতেন বা কর্নেল তাহেররা ক্ষমতা নিতেন, তাহলে কী হতো এই জাতির জানা নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কাছে আমরা দুইভাবে ঋণী। একটা হলো—২৭ মার্চে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণা। আরেকটি হলো—তিনি ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় আসতে পেরেছেন। তিনি গণতন্ত্র এনেছেন। এখন সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারবেন। জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা এখন লেখা উচিত। এই জাতীয় প্রেসক্লাবও তাঁর অবদান।’ 

আমিনুর রহমান সালাম বলেন, ‘দেশ স্বাধীন! বুক ভরে নিশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে। একটা বর্বর জাতি ১৮ বছর পর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন নিশ্বাস নিতে পারছে।’ 

তিনি বলেন, ‘খুব শিগগির আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ফ্যাসিস্ট, বর্বর দলটি যেন আর ফিরে আসতে না পারে। সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ 

বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সংবাদপত্রের কাজ হচ্ছে সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করা। তবে গত ১৮ বছর কেউ সেটা করতে পারেনি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু মাত্র চারটি পত্রিকা রেখেছিল। বাকি সব বন্ধ করে রেখেছিল। যে কথা বলত, তাকে গুম করা হতো, মেরে ফেলা হতো। সেই একই চিত্র গত ১৮ বছর ধরে চলেছে। বাপ-বেটির একই চরিত্র।’ 

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সময় সাংবাদিকেরা স্বাধীন ছিল। তারা ঠিকভাবে সংবাদ সংগ্রহ ও পাঠাতে পারত। শেখ হাসিনা পালানোর পর অনেক মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনারা সঠিক সংবাদ প্রকাশ করবেন। কিছু দোসর এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। এদেরকে আন্দোলন করে তাড়াতে হবে। না হলে মানুষ শান্তি পাবে না।’ 

প্রজন্ম দলের নেত্রী পারভীন কাউসার মুন্নী বলেন, ‘সাংবাদিকতা কতটুকু কুক্ষিগত করা হয়েছে তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমেই বোঝা গেছে। সেটা সংশোধন করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—হুমকির ৩ দিন পরেই বাবলাকে হত্যা

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৪
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি
জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ফাইল ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনায় বসতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির এই নেতাকে ফোন করেন তিনি।

আজ সন্ধ্যায় ফোন করার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন জামায়াত নেতা তাহের।

সৈয়দ তাহের বলেন, ‘আমিই বিএনপির মহাসচিবকে ফোন করেছিলাম। ওনাকে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি।’ জবাবে উনি বলেছেন জানাবেন।

গত সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে একমত হয়ে সরকারকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয় এবং আজ ফোনকল করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—হুমকির ৩ দিন পরেই বাবলাকে হত্যা

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘যাঁরা নিজেদের লোক হত্যা করেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুন্সিগঞ্জ শহরে আজ বৃহস্পতিবার পাঁচ দফা দাবিতে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই খুনাখুনি শুরু করেছে। নিজেদের মধ্যে নিজেরাই খুনাখুনি করছে। যাঁরা নিজেদের লোককে নিজেরা হত্যা করেন, সেই দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকার ডিসি পার্ক-সংলগ্ন প্রধান সড়কে ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে এ সমাবেশ হয়।

ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ অতীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ—দুই দলকেই ক্ষমতায় এনেছে। একাধিকবার তারা পরীক্ষায় ফেল করেছে। দেশের মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে। তাদের কাছে সমাধান নেই।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ভালো মানুষ ছিলেন, এই গুণকীর্তনের কারণে দেশের মানুষ ১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিল; থাকতে পারেননি। আবার শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের গুণকীর্তনের কারণে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছিলেন। কী উপহার দিয়েছেন, তা দেশবাসী জানে।’

ফয়জুল করীম বলেন, ‘দুই দল মিলে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। শুধু ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিএনপি তিনবার বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব দলকে পরীক্ষা করা হয়েছে, শুধু ইসলামকে পরীক্ষা করা হয়নি। ইসলামী আন্দোলনকে একবার পরীক্ষা করে দেখুন।’

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—হুমকির ৩ দিন পরেই বাবলাকে হত্যা

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮ দল নিয়ে রাজনৈতিক জোট করতে পারে এনসিপি: নাসীরুদ্দীন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আটটি দল নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

যে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হতে চাইছে, সেগুলো হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা ছয়টি দল জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই আট দলের সঙ্গে আমাদের একটা পলিটিক্যাল জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ গণতন্ত্র মঞ্চ প্লাস যে দুই দল রয়েছে, তাদের নিয়ে রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোট হচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘যেহেতু দেশ সংকটকালীন মুহূর্তে আছে, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যদি সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে এক জায়গায় আসে এবং তারা যদি সংস্কারগুলো ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে বিএনপি এবং জামায়াত যে কারও সাথেই আমাদের জোট হতে পারে।’

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক শর্ত—বিচার এবং সংস্কার। এই বিষয়ে যদি সমাধান না হয়, তাহলে কারও সাথেই জোটে যাব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—হুমকির ৩ দিন পরেই বাবলাকে হত্যা

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোটের আগে গণভোট নয়, বিএনপি ভেসে আসেনি— ফখরুলের কড়া হুঁশিয়ারি

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৮
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিকে অবজ্ঞা করলে ফল ভালো হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি ভেসে আসা দল নয়। বিএনপিকে খাটো করে দেখবেন না। আমরা যদি মাঠে নামি, তাহলে রাজনৈতিক বিষয়গুলো ভিন্নভাবে আসবে।’

যশোরে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর টাউন হল ময়দানে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘উপদেষ্টা পরিষদ পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন’ মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাঁরা ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দিয়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক দল তো হাতের খেলনার মতো নয়। সংস্কার কমিশনের সব সভায় আমরা গিয়েছি। মতামত দিয়েছি। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলো হয়নি, সেগুলো পরবর্তী পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা না করে তাঁরা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

উপদেষ্টাদের ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। চব্বিশের আন্দোলনের পর সুযোগ হয়েছে গণতন্ত্রের পথে ফেরার। দয়া করে পানি ঘোলা করবেন না। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন না।’

মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে, এর আগে নয়। সংস্কার কমিশনে আমরা যেসব বিষয়ে একমত হয়েছি, তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করুন। যেগুলো হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে হবে। দ্রুত তফসিল ঘোষণা করুন। নির্বাচন দিয়ে দিন। অন্যথায় আপনারা ব্যর্থ হবেন। সে ক্ষেত্রে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’

প্রয়াত তরিকুল ইসলামকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিস্টের বিয়োগাত্মক বিদায় তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তাঁর বিদায়ে জাতি একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে। তিনি একটি ইনস্টিটিউট ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; কিন্তু জনগণকে ছেড়ে যাননি। তাঁর মতো নেতার এখন খুব প্রয়োজন।

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির সাবেক তথ্যবিষয়ক সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, যশোর বারের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসহক, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ইমাম পরিষদের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাওলানা আমানুল্লাহ কাসেমী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, ছেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—হুমকির ৩ দিন পরেই বাবলাকে হত্যা

‘চিটাংঅর মইদ্যে সরোয়াইজ্জা মরিব’— ফোনে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের চেলা রায়হানের হুমকি

সরকারি ছুটি ২৮ দিন, ১১ দিনই শুক্র-শনিবার

বিএনপি মহাসচিবকে ফোন করে বলেছিলাম, আমরা একটু আলোচনায় বসি: জামায়াত নেতা তাহের

জাহানারার যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিসিবি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত