Ajker Patrika

খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৪১
খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে

প্রায় চার মাস পর আবারও হাসপাতালে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৪টার পরে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে হাসপাতালে উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। 

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৫৪ দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ১৯ জুন বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার পর শুরুতে কিছুটা ভালোই ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনার টিকাও নিয়েছেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ম্যাডামের বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়াই ভালো। কিন্তু উনি রাজি হবেন কি-না জানি না। তিনি রাজি থাকলে আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে চাই। 

খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ একজন জানান, পুরোনো জটিলতা বিশেষ করে লিভার, কিডনি ও হার্টের জটিলতার পাশাপাশি শরীরে ব্যথাসহ আরও কিছু সমস্যা তাঁর নিত্য সঙ্গী হিসেবে রয়েই গেছে। লিভার আর কিডনিৱ সমস্যাটা এখন বেশি ভোগাচ্ছে। করোনার টিকা নেওয়ার পরে বেশ কিছুদিন তিনি ভালোই ‍ছিলেন। তবে এখন মাঝে মাঝেই জ্বর আসছে, শরীরে দুর্বলতাও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা আরও আগে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি রাজি হচ্ছিলেন না। 

চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানানো হয়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ১৯ জুন বাড়ি ফেরার পরে করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। চিকিৎসকেরা তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরামর্শ অনুযায়ী অনুমতি নিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে পরিবার। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। 

 ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তাঁর ছয় মাসের দণ্ড স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফা তাঁর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ বাড়াতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে শর্তসাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সরকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত