Ajker Patrika

করোনা ইস্যুতে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে: হাসানুল হক ইনু 

নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ইস্যুতে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে: হাসানুল হক ইনু 

ঢাকা: করোনাভাইরাস ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, সরকারের ভেতরে আমি অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। গত কয়েক দিনে লকডাউন-শাটডাউন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি এবং তা ঘনঘন সংশোধন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অদলবদল করা। এসব বক্তব্য বিবৃতির মধ্য দিয়ে অস্থিরতাই প্রকাশ পাচ্ছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রজ্ঞাপনে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যও রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। একই সঙ্গে আমি যতটুকু জানি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ নয়টি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। এই নয়টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতাও লক্ষণীয়। 

করোনার টিকার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, সর্বোচ্চ টিকা কূটনীতি প্রয়োগ করে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। দেশের ভেতরে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব সকলকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি টিকাই মানুষকে বাঁচাবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক মন্ত্রী ইনু বলেন, করোনায় মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। শুধু শহরেই নয় জেলা উপজেলা শহরে সংক্রমণ ঘটেছে। ঘরে ঘরে অনেক অসুস্থ। জেলা-উপজেলায় রোগীর জন্য বেড পাওয়া যায় না। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, সংক্রমণ বিস্তাররোধে লকডাউন এবং শাটডাউনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে দুই-তিন দিনের মধ্যে খাদ্যের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার শুরু হয়। সংকট দেখা দেয়। অপরদিকে সংক্রমিত ব্যক্তির জন্য বেড, অক্সিজেনের চাহিদা ও আইসিইউর জন্য দৌড়াদৌড়ি।

জাসদ সভাপতি বলেন, এ ক্ষেত্রে জেলা-উপজেলার হাসপাতালে অবিলম্বে কিছু বেড বাড়ানো উচিত। আইসিইউ হয় তো বাড়ানো যাবে না। কিন্তু হাইফ্লো নজেলা ক্যানোলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পোর্টেবল অক্সিজেন জোগাড় করার সুযোগ রয়েছে। আমার দাবি থাকবে একটা রোগীও যেন হাসপাতাল থেকে ফিরে না যায় তার চেষ্টা করতে কবে।

ইনু বলেন, কোভিড মোকাবিলায় যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে, যারা প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করছেন, তাদের গত নয় মাসে নির্ধারিত কোন দৈনিক ভাতা দেওয়া হয়নি। আমি জানি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তাদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার। একই সঙ্গে নীতিমালা পরিবর্তন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতা-প্রণোদনা দেওয়া উচিত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত