নাগরিক কোয়ালিশনের সংলাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।
আলোচিত লন্ডন বৈঠকের পরপরই আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। এর মধ্যে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই সে প্রস্তুতির গতি আরও বেড়েছে। এর অংশ হিসেবে সমমনা দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩৩ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ কেউ আবার হয়েছেন দল থেকে বহিষ্কার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবল সমালোচনা করলেও চাঁদাবাজির অভিযোগে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএনপির রা
১ ঘণ্টা আগেচব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা ও একটি নতুন প্রজন্ম আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা একাত্তরকে অতিক্রম করেছি এবং চব্বিশে পৌঁছেছি।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ১৮টি হলে গত বছর ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) ওই ১৮ হলে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। নতুন করে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
৬ ঘণ্টা আগে