নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মহান মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ, যে আন্দোলন সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘১৯৭১ আমাদের জন্য একটা অত্যন্ত আবেগের ঘটনা’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা করেছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল। যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তার জন্য আজ পর্যন্ত ক্ষমা চায় নাই। এই কথাগুলো কেন বলছি? কারণ এখন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ, কিছু কিছু দল, কিছু কিছু গোষ্ঠী বোঝানোর চেষ্টা করছে যে-৭১ কোনো ঘটনাই ছিল না এবং মুক্তিযুদ্ধের যে আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের যে যুদ্ধ, লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ, সেই অবস্থা যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি, ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা সেদিন সহযোগিতা করেছে, সেই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছে, তারা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলে। আমি কারও নাম বলতে চাই না, তিক্ততা সৃষ্টি করতে চাই না। কিন্তু ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ বিকৃত করতে পারবে না।’
সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রচারণার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে কিছু কিছু নতুন কুতুব আবির্ভূত হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, আমি জানি না। তাদের ভাষা, তাদের বাক্য, তাদের বক্তব্য বাংলাদেশকে একটা নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চায় না। আজকে আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘দেশে সংকট চলছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এমন সংকট তৈরি হয়েছে যে- আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, তাদেরকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন (নির্বাচনী প্রচারণা) করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের প্রজন্ম অনেক কথা জানে না। কত বড় ধৃষ্টতা- তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে! ধিক্কার তাদের! যারা ইতিহাস জানে না, তারা জনগণের কোনো কল্যাণও করতে পারবে না। ইতিহাস জানতে হবে।’
দলটির মহাসচিব ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটা ভিন্ন প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হচ্ছে। জিয়াউর রহমান সেই মানুষ- তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসেছিলেন, সৈনিক ছিলেন। তার তো গণতন্ত্র দেবার কথা ছিল না, তাঁর তো স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল না! যাদের (আওয়ামী লীগ) দেওয়ার কথা ছিল, তারা তো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, সেটা ছিল দুঃশাসনের একটা সময়। একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাকে অখ্যাত বলেছে, সেই আমাদের নেতা ( জিয়াউর রহমান) বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আর আমরা যাকে অবিসংবাদিত নেতা (শেখ মুজিবুর রহমান) হিসেবে জেনেছি, তিনি ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। আজকের জনগণের তাড়া খেয়ে শেখ হাসিনা টুপ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা ওদের (আওয়ামী লীগ) চরিত্র। তারা যখন দেখে যে জনগণ ক্ষেপে উঠেছে, আর সামলানো যাচ্ছে না, তখন তারা পালিয়ে যায়।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতন্ত্রের সুযোগ দেওয়ার কথা আমরা আর চিন্তা করতে পারি না।’
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ, যে আন্দোলন সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘১৯৭১ আমাদের জন্য একটা অত্যন্ত আবেগের ঘটনা’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা করেছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল। যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তার জন্য আজ পর্যন্ত ক্ষমা চায় নাই। এই কথাগুলো কেন বলছি? কারণ এখন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ, কিছু কিছু দল, কিছু কিছু গোষ্ঠী বোঝানোর চেষ্টা করছে যে-৭১ কোনো ঘটনাই ছিল না এবং মুক্তিযুদ্ধের যে আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের যে যুদ্ধ, লক্ষ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ, সেই অবস্থা যেন আমরা ভুলে যাচ্ছি, ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা সেদিন সহযোগিতা করেছে, সেই হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছে, তারা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলে। আমি কারও নাম বলতে চাই না, তিক্ততা সৃষ্টি করতে চাই না। কিন্তু ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ বিকৃত করতে পারবে না।’
সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রচারণার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে কিছু কিছু নতুন কুতুব আবির্ভূত হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, আমি জানি না। তাদের ভাষা, তাদের বাক্য, তাদের বক্তব্য বাংলাদেশকে একটা নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তারা গণতন্ত্রের দিকে নিয়ে যেতে চায় না। আজকে আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
‘দেশে সংকট চলছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এমন সংকট তৈরি হয়েছে যে- আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, তাদেরকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন (নির্বাচনী প্রচারণা) করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের প্রজন্ম অনেক কথা জানে না। কত বড় ধৃষ্টতা- তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে! ধিক্কার তাদের! যারা ইতিহাস জানে না, তারা জনগণের কোনো কল্যাণও করতে পারবে না। ইতিহাস জানতে হবে।’
দলটির মহাসচিব ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটা ভিন্ন প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হচ্ছে। জিয়াউর রহমান সেই মানুষ- তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসেছিলেন, সৈনিক ছিলেন। তার তো গণতন্ত্র দেবার কথা ছিল না, তাঁর তো স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল না! যাদের (আওয়ামী লীগ) দেওয়ার কথা ছিল, তারা তো ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, সেটা ছিল দুঃশাসনের একটা সময়। একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাকে অখ্যাত বলেছে, সেই আমাদের নেতা ( জিয়াউর রহমান) বিদ্রোহ ঘোষণা করে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আর আমরা যাকে অবিসংবাদিত নেতা (শেখ মুজিবুর রহমান) হিসেবে জেনেছি, তিনি ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সব নেতৃবৃন্দ পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। আজকের জনগণের তাড়া খেয়ে শেখ হাসিনা টুপ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা ওদের (আওয়ামী লীগ) চরিত্র। তারা যখন দেখে যে জনগণ ক্ষেপে উঠেছে, আর সামলানো যাচ্ছে না, তখন তারা পালিয়ে যায়।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতো না। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। সুতরাং আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতন্ত্রের সুযোগ দেওয়ার কথা আমরা আর চিন্তা করতে পারি না।’
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ-সংক্রান্ত মামলা ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’-এর রায় এবং এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ও কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা
৯ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ, এই লাশ নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ হবে না। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই মরা লাশকে কবর দেওয়া, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।’ আজ মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে। নানা ধরনের অবাস্তব অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়লার গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলার মতো অভিযোগও আছে। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। প্রায় তিন বছর কারাবন্দী ছিলাম।’ আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদরের মোলানি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির গণসংযোগ
১২ ঘণ্টা আগে