Ajker Patrika

নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ গণতন্ত্রের জন্য অশুভ: বাসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আজ রোববার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ এই মন্তব্য করেন।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রকারান্তরে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের প্রতিই মানুষের সহানুভূতি সৃষ্টি করবে। তিনি বিচারে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা না দিয়ে ঢালাও মামলা দিয়ে মামলাকে প্রহসনে পরিণত করার চক্রান্ত বন্ধ করে জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ীদের এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করার দাবি জানান।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যাসহ তাদের বিগত কর্মকাণ্ডের জন্য ন্যূনতম অনুশোচনাও নেই। কিন্তু তারপরও সন্ত্রাস দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মতো অগণতান্ত্রিক আইনের মাধ্যমে নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা অথবা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার মতো যেকোনো সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে জুলাই গণহত্যাসহ সব রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করার মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

গত ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ একাত্তরের গণহত্যার দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে বিচার করার দাবি জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, কিন্তু কোনো সরকার এই উদ্যোগ নেয়নি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারও এই দাবিকে উপেক্ষা করে জামায়াতে ইসলামীর যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে তাদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেছে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকালে সেই ফ্যাসিবাদী সরকারও সন্ত্রাস দমন আইনে নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে জনগণের মনযোগ ভিন্ন দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমাবেশে যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে স্লোগান উচ্চারণ করেছে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে আন্দোলনকারীদের বাধা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারপূর্বক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এই বাসদ নেতা।

বজলুর রশীদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, প্রকৃত দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার এবং প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কার করে অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু আমরা সরকারের দিক থেকে এর জন্য আস্থাশীল কোনো ভূমিকা লক্ষ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত