Ajker Patrika

বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বান ব্যাপক সাড়া পেয়েছে: রিজভী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বান ব্যাপক সাড়া পেয়েছে: রিজভী 

আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোট প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান এই ভোট বর্জনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটা ব্যাপকভাবে সাড়া পেয়েছে। মানুষ মনে করে এই ডামি সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানে-গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া, সত্য ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া।’ 

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

রিজভী বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে আমাদের আহ্বানে যেমন জনগণ সাড়া দিয়েছে এবং ভোট বর্জনের আহ্বান যেমন সফল হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও (বর্জন) সফল হবে।’ 
 
ভোট বর্জনের ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে রিজভী আরও বলেন, ‘এই ভোট বর্জনের জন্য আমাদের নেতা-কর্মীরা জনগণের কাছে যাচ্ছেন, আহ্বান জানাচ্ছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন। বর্জনের যে প্রস্তুতি, সেটা সমান তালে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর প্রতিফলন ইতিমধ্যে হয়েছে, আবারও হবে।’ 
 
গত ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের একটি বিদ্যালয়ে অবস্থানরত নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা হয়। সেখানে টয়লেট নির্মাণে কর্মরত দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে সহায়তা তুলে দেন রিজভী। 

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন বলেন, ‘অর্থ পাচারকারীদের তথ্য যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’ 

 ‘সাংবাদিকেরা বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকবে কেন?’ , আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিষিদ্ধ পল্লি? বাংলাদেশ ব্যাংক কি একেবারে রেস্ট্রিক্টেড ক্যান্টনমেন্ট? ক্যান্টনমেন্টেও যদি বৈধ মানুষ যেতে চায়, তাদের তো কোনো অসুবিধা হয় না। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো জনগণের আমানত রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান। এটা তো সব সময় জবাবদিহির মধ্যে থাকবে, এখানে সাংবাদিকেরা তো যেতে পারে।’ 
 
দেশের অর্থনীতির চালচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে। এখন তলানির দিকে আসছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে সরকারের হাতে। যারা সচেতন জনগণ, বিজ্ঞ মানুষ-তারা বলছেন, ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের পাওনা পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার চলে যাবে, ডলার তো তলানিতেই।’ 

রিজভী বলেন, ‘আমরা একটা শূন্য গহ্বরের ভেতরে বসবাস করছি, আমাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। কীসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি, তা নিজেরাই বলতে পারব না। শুধু ব্যাংক থেকেই ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না, এটা সিডিপির বক্তব্য। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী কারা? এরা সবাই ক্ষমতাঘনিষ্ঠ মানুষ, আওয়ামী লীগের লোকজন বা আওয়ামী লীগের অর্থ প্রদানকারী, আর্থিক সহায়তাকারী অথবা তাদের যারা, দলের যারা আজকে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে তারা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিজের প্রস্রাব পান করে ‘আশিকি’ অভিনেত্রী অনু আগারওয়াল বললেন, ‘আহা অমৃত’

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত