ঢাবি প্রতিনিধি
ছিনতাই, হলে সিট নিয়ে সংঘর্ষ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এই বহিষ্কারকে ‘আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাইদ খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ‘শিবির সন্দেহে’ চার শিক্ষার্থীকে মারধরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
আসিফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী দ্বারা আবরার স্টাইলে ছাত্র নির্যাতন এবং চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং দেশীয় আইনে ফৌজদারি অপরাধ। নাগরিক নিরাপত্তার এমন চরম বিপর্যয়েও আইন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌনতা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। একদিকে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত নেতাদের বহিষ্কার দেখিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, অন্যদিকে চমেকে তাদের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই বহিষ্কারকাণ্ড যে আইওয়াশ ব্যতীত আর কিছু নয় তা আর বুঝতে বাকি থাকে না।’
ছাত্রলীগের বর্বর নির্যাতনের ফলে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যু দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে রাতভর নির্যাতন এবং চিকিৎসায় বাধা প্রদানের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
নেতৃদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র নির্যাতন বন্ধের নিমিত্তে ‘গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন’ পাসের দাবি জানান এবং একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বর্বরতা বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ৪ শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে রাতভর নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তী সময়ে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দিতে তাঁরা আহতদের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। তার মধ্যে নির্যাতিত দুইজন শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন ওরফে ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে চমেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করানো হয়েছিল এবং বাকিরাও চিকিৎসাধীন। এমনকি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নির্যাতনকারীদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রশাসন অথবা আইন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক সঞ্চার করছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
ছিনতাই, হলে সিট নিয়ে সংঘর্ষ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল শাখার বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এই বহিষ্কারকে ‘আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাইদ খান এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ‘শিবির সন্দেহে’ চার শিক্ষার্থীকে মারধরের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
আসিফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী দ্বারা আবরার স্টাইলে ছাত্র নির্যাতন এবং চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং দেশীয় আইনে ফৌজদারি অপরাধ। নাগরিক নিরাপত্তার এমন চরম বিপর্যয়েও আইন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌনতা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। একদিকে ছাত্রলীগ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত নেতাদের বহিষ্কার দেখিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে, অন্যদিকে চমেকে তাদের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই বহিষ্কারকাণ্ড যে আইওয়াশ ব্যতীত আর কিছু নয় তা আর বুঝতে বাকি থাকে না।’
ছাত্রলীগের বর্বর নির্যাতনের ফলে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মৃত্যু দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে রাতভর নির্যাতন এবং চিকিৎসায় বাধা প্রদানের তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
নেতৃদ্বয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র নির্যাতন বন্ধের নিমিত্তে ‘গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন’ পাসের দাবি জানান এবং একই সঙ্গে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই বর্বরতা বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ৪ শিক্ষার্থীকে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে রাতভর নির্যাতন করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরবর্তী সময়ে আহতদের চিকিৎসায় বাধা দিতে তাঁরা আহতদের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। তার মধ্যে নির্যাতিত দুইজন শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন ওরফে ওয়াকিল ও সাকিব হোসেনকে চমেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করানো হয়েছিল এবং বাকিরাও চিকিৎসাধীন। এমনকি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নির্যাতনকারীদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রশাসন অথবা আইন বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক সঞ্চার করছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অসুস্থবোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টায় তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতির ঘোষণার (প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন) মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। বিকল্প হিসেবে গণভোটের মাধ্যমেও সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া যেতে পারে, এমনটা মনে করে দলটি। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয়...
১০ ঘণ্টা আগেবর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
১৪ ঘণ্টা আগেসংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত নয়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নয় বিএনপি।’
১৬ ঘণ্টা আগে