শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রতিটি থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানা পর্যায়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ধরনের হয়রানি, মামলা করতে নয়; রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারেন। এ জন্য তাঁরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই আশঙ্কা থেকে তাঁদের গতিবিধি অনুসরণ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব থানা থেকে তাঁদের তালিকা সংগ্রহ করে সদর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর বলেন, মামলার আসামিদের খোঁজখবর রাখা মামলা তদারকির নিয়মিত অংশ। তবে ছাত্রলীগের তালিকার চিঠির বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপাররা বিস্তারিত বলতে পারবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সারা দেশে অসংখ্য মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৩০ জনের বেশি সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির অনেক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া ছাত্রলীগের নেতারা গ্রেপ্তার হননি।
পুলিশের সূত্র বলছে, আত্মগোপনে থাকা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তাই তাঁদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরিতে পুলিশ সদর দপ্তর নির্দেশনা দেওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে থানায় থানায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফ্যাক্স ও ই-মেইলে পাঠানো এমন একটি চিঠিতে দেখা গেছে, থানা পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাদের পাঁচ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি ছকে থানা শাখা ছাত্রলীগের নেতার পূর্ণ নাম ও পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিবরণ, জিডি বা মামলা থাকলে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন পুলিশ সুপার বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এটি কোনো দমন-পীড়নের অংশ নয়, বরং নিরাপত্তার স্বার্থে করা হচ্ছে।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর সংগঠনটির পুনর্গঠন বা বিকল্প শক্তি তৈরির সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই ছাত্রলীগ নেতাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রের জন্য কেউ হুমকিস্বরূপ হলে পুলিশ তালিকা করবে, ব্যবস্থা নিবে–এটা খুব স্বাভাবিক। শুধু কোনো দলের জন্য নয়, যেকোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্যই এটা প্রযোজ্য।
আরও খবর পড়ুন:
নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রতিটি থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানা পর্যায়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ধরনের হয়রানি, মামলা করতে নয়; রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারেন। এ জন্য তাঁরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই আশঙ্কা থেকে তাঁদের গতিবিধি অনুসরণ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব থানা থেকে তাঁদের তালিকা সংগ্রহ করে সদর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মুখপাত্র) ইনামুল হক সাগর বলেন, মামলার আসামিদের খোঁজখবর রাখা মামলা তদারকির নিয়মিত অংশ। তবে ছাত্রলীগের তালিকার চিঠির বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপাররা বিস্তারিত বলতে পারবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সারা দেশে অসংখ্য মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ৩০ জনের বেশি সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির অনেক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া ছাত্রলীগের নেতারা গ্রেপ্তার হননি।
পুলিশের সূত্র বলছে, আত্মগোপনে থাকা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তাই তাঁদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরিতে পুলিশ সদর দপ্তর নির্দেশনা দেওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে থানায় থানায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফ্যাক্স ও ই-মেইলে পাঠানো এমন একটি চিঠিতে দেখা গেছে, থানা পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাদের পাঁচ ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি ছকে থানা শাখা ছাত্রলীগের নেতার পূর্ণ নাম ও পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিবরণ, জিডি বা মামলা থাকলে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম রেঞ্জের একজন পুলিশ সুপার বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে এটি কোনো দমন-পীড়নের অংশ নয়, বরং নিরাপত্তার স্বার্থে করা হচ্ছে।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর সংগঠনটির পুনর্গঠন বা বিকল্প শক্তি তৈরির সম্ভাবনা পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই ছাত্রলীগ নেতাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রের জন্য কেউ হুমকিস্বরূপ হলে পুলিশ তালিকা করবে, ব্যবস্থা নিবে–এটা খুব স্বাভাবিক। শুধু কোনো দলের জন্য নয়, যেকোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের জন্যই এটা প্রযোজ্য।
আরও খবর পড়ুন:
বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল নিজাম উদ্দিন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির এই সমর্থকের খোঁজ নিতে বলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১১ ঘণ্টা আগেঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ-সংক্রান্ত মামলা ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’-এর রায় এবং এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলছে, এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ও কমিশনের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ এবং তা নির্বাচন ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা
১১ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ, এই লাশ নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ হবে না। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই মরা লাশকে কবর দেওয়া, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।’ আজ মঙ্গলবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে। নানা ধরনের অবাস্তব অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়লার গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলার মতো অভিযোগও আছে। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। প্রায় তিন বছর কারাবন্দী ছিলাম।’ আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদরের মোলানি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির গণসংযোগ
১৪ ঘণ্টা আগে