অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ডিলিট করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করছেন, একজন উপদেষ্টা কী এমন পোস্ট দিয়েছেন যে সেটি আবার ডিলিট করে দিতে হলো। চলুন দেখি, মাহফুজ আলমের সেই পোস্টে কী ছিল। তথ্য উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফায়েড আইডির পোস্টে লিখেছিলেন—
‘আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা। যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহনাগরিক মনে করিনা। পাকিস্তানপন্থীরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু! ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!’
ধারণা করা হচ্ছে, গতকালের একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আজ তিনি এই পোস্ট দেন। গতকালের ওই পোস্টে তিনি যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। মাহফুজ আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “১. ’৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি।) ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।...........................................”
আজ তিনি যে পোস্ট ডিলিট করেছেন, সেখানে তাঁর বক্তব্য দেখে মনে হয়েছে, গতকালের পোস্টের পর কোনো একটি পক্ষ হয়তো তাঁর সমালোচনা করেছে। তাঁর পরিবার নিয়ে কথা বলেছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় তিনি আজ এমন পোস্ট দেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন উপদেষ্টার এমন পোস্ট কেউই স্বাভাবিকভাবে নেননি। অনেকেই তাঁর এই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছেন। বিভিন্নজন বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই নেতিবাচক। যেমন—হাবিবুল্লাহ মিসবাহ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মাহফুজ আলমের মনে যদি এইরকম ব্যাক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন থাকে তাইলে তো তাকে নেতা বা উপদেষ্টা মানাটা একটু কঠিনই হয়া গেল। যদিও মাহফুজ আলম পোস্ট ডিলিট দিসেন। কিন্তু পোস্ট ডিলিট করলে তো মন ডিলিট হয়া যায়না। Mahfuj Alam কী এই বিষয়ে ক্ষমা চাইবেন? পুনশ্চঃ পোস্ট ডিলিট করা মানে কিন্তু ক্ষমা চাওয়া না।’
সবুজ আলম ফিরোজ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এখনো ম্যাচুরিটি হয়নি। এমন নন ম্যাচুরিটি ব্যক্তি কিভাবে উপদেষ্টা হয় এবং এখনো টিকে থাকে বুঝে আসে না। একটা স্ট্যাটাস দিয়ে আবার ৩ মিনিট পর ডিলিট দিয়ে দেয়। সারাক্ষণ ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকা ব্যক্তি রাষ্ট্রের মন্ত্রী পদমর্যাদায় বসে থেকে কাজ করে কখন?? যত্তসব ফালতু।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে নিয়ে মানুষ কম সমালোচনা করেনি কিন্তু তিনি মুহুর্তে মুহুর্তে পোস্ট দিয়ে আবার ডিলিট করে নাই’
আরিফ জেবতিক নামের একজন লিখেছেন, ‘বেচারা মন্ত্রীই নাকি ১০ মিনিট পোস্ট ধরে রাখতে পারছে না; ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে এ কোন নতুন ফ্যাসাদে পড়লাম নাদের আলী!! এ কেমন নয়া বন্দোবস্তু??’
ফাইয়াজ ইফতি নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘মাহফুজ অসুস্থ হলে তাকে মানসিক চিকিৎসা নিতে হবে। আর সুস্থ হলে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নাও মাহফুজ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ডিলিট করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করছেন, একজন উপদেষ্টা কী এমন পোস্ট দিয়েছেন যে সেটি আবার ডিলিট করে দিতে হলো। চলুন দেখি, মাহফুজ আলমের সেই পোস্টে কী ছিল। তথ্য উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফায়েড আইডির পোস্টে লিখেছিলেন—
‘আমাকে নিয়ে নোংরামি করতেসো, ঝামেলা নাই। ফ্যামিলি টাইনো না, যুদ্ধাপরাধের সহযোগী রাজাকারেরা। এটা লাস্ট ওয়ার্নিং। আর, যে চুপা শিবিররা এ সরকারে পদ বাগাইসো আর বিভিন্ন সুশীল ব্যানার খুলে পাকিস্তানপন্থা জারি রাখসো, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ রাজাকার আর দালালদের তুলনায় আরো অধিক ভুগবা। যারা বিতর্কের এবং গালাগালির লিমিট জানে না, তাদের আমি সহনাগরিক মনে করিনা। পাকিস্তানপন্থীরা যেখানেই থাকবে, সেখানেই আঘাত করা হবে। আমৃত্যু! ঢাবিতে এ রাজাকারদের আগে ঠেকানো হবে, যারা এদের স্পেস দিসে তাদের জন্য গত পঞ্চাশ বছরের তুলনায় অধিক জিল্লতি অপেক্ষা করসে!’
ধারণা করা হচ্ছে, গতকালের একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আজ তিনি এই পোস্ট দেন। গতকালের ওই পোস্টে তিনি যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। মাহফুজ আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “১. ’৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি।) ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।...........................................”
আজ তিনি যে পোস্ট ডিলিট করেছেন, সেখানে তাঁর বক্তব্য দেখে মনে হয়েছে, গতকালের পোস্টের পর কোনো একটি পক্ষ হয়তো তাঁর সমালোচনা করেছে। তাঁর পরিবার নিয়ে কথা বলেছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় তিনি আজ এমন পোস্ট দেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন উপদেষ্টার এমন পোস্ট কেউই স্বাভাবিকভাবে নেননি। অনেকেই তাঁর এই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে পাল্টা পোস্ট করেছেন। বিভিন্নজন বিভিন্ন ক্যাপশন দিয়ে সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই নেতিবাচক। যেমন—হাবিবুল্লাহ মিসবাহ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মাহফুজ আলমের মনে যদি এইরকম ব্যাক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন থাকে তাইলে তো তাকে নেতা বা উপদেষ্টা মানাটা একটু কঠিনই হয়া গেল। যদিও মাহফুজ আলম পোস্ট ডিলিট দিসেন। কিন্তু পোস্ট ডিলিট করলে তো মন ডিলিট হয়া যায়না। Mahfuj Alam কী এই বিষয়ে ক্ষমা চাইবেন? পুনশ্চঃ পোস্ট ডিলিট করা মানে কিন্তু ক্ষমা চাওয়া না।’
সবুজ আলম ফিরোজ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এখনো ম্যাচুরিটি হয়নি। এমন নন ম্যাচুরিটি ব্যক্তি কিভাবে উপদেষ্টা হয় এবং এখনো টিকে থাকে বুঝে আসে না। একটা স্ট্যাটাস দিয়ে আবার ৩ মিনিট পর ডিলিট দিয়ে দেয়। সারাক্ষণ ফেসবুক নিয়ে পড়ে থাকা ব্যক্তি রাষ্ট্রের মন্ত্রী পদমর্যাদায় বসে থেকে কাজ করে কখন?? যত্তসব ফালতু।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে নিয়ে মানুষ কম সমালোচনা করেনি কিন্তু তিনি মুহুর্তে মুহুর্তে পোস্ট দিয়ে আবার ডিলিট করে নাই’
আরিফ জেবতিক নামের একজন লিখেছেন, ‘বেচারা মন্ত্রীই নাকি ১০ মিনিট পোস্ট ধরে রাখতে পারছে না; ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে এ কোন নতুন ফ্যাসাদে পড়লাম নাদের আলী!! এ কেমন নয়া বন্দোবস্তু??’
ফাইয়াজ ইফতি নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘মাহফুজ অসুস্থ হলে তাকে মানসিক চিকিৎসা নিতে হবে। আর সুস্থ হলে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত নাও মাহফুজ।’
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ জোটভুক্ত ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)। আজ সোমবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কাছে লিখিত আবেদন তুলে দেন।
১ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন ধরে শাহবাগে নাটক চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কীভাবে আন্দোলন করে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এ বিএনপি নেতা। এনসিপিকে ‘সরকারি দল’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিচার ও দল হিসেবে নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ‘আপত্তিকর স্লোগান’ ওঠার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি পক্ষ সচেতনভাবে এটি করেছে। এর দায় এনসিপি নেবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জা
৬ ঘণ্টা আগেনব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
১৫ ঘণ্টা আগে