বাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, যে সরকার নির্বাচিত হবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে।’
দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে অন্যায় করে, সে কোনো দলের হতে পারে না। অন্যায় যে করে, সে অন্যায়কারী। কাজেই, যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কঠোর হস্তে দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করে না, কথার ফুলঝুড়ি যদি দিতে হয়, অনেক কথা আমরা বলতে পারি; কিন্তু জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে—আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব? পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘‘ডিটেইল প্ল্যানিং’’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন—সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব। যদি আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। কাজেই, আপনাদেরকে এখন সজাগ হতে হবে। ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই, মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এর আগে সকালে একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ জন উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ জন উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো, ৪৪ ভাগ। আর অন্য যারা, তারা তো অনেক অনেক কম আরকি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল, তারা শতকরা এক ভাগও না। এরচেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে, নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু যে জনগণ তাদের মনস্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা, এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধইরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না ইনশা আল্লাহ।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট
এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন। খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পিছনে সেই একই কারণ—দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
আগামী দিনের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে-ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সংগত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, যে সরকার নির্বাচিত হবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে।’
দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে অন্যায় করে, সে কোনো দলের হতে পারে না। অন্যায় যে করে, সে অন্যায়কারী। কাজেই, যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কঠোর হস্তে দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করে না, কথার ফুলঝুড়ি যদি দিতে হয়, অনেক কথা আমরা বলতে পারি; কিন্তু জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে—আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব? পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘‘ডিটেইল প্ল্যানিং’’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন—সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব। যদি আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। কাজেই, আপনাদেরকে এখন সজাগ হতে হবে। ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই, মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এর আগে সকালে একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ জন উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ জন উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো, ৪৪ ভাগ। আর অন্য যারা, তারা তো অনেক অনেক কম আরকি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল, তারা শতকরা এক ভাগও না। এরচেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে, নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু যে জনগণ তাদের মনস্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা, এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধইরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না ইনশা আল্লাহ।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট
এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন। খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পিছনে সেই একই কারণ—দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
আগামী দিনের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে-ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সংগত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
বাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, যে সরকার নির্বাচিত হবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে।’
দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে অন্যায় করে, সে কোনো দলের হতে পারে না। অন্যায় যে করে, সে অন্যায়কারী। কাজেই, যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কঠোর হস্তে দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করে না, কথার ফুলঝুড়ি যদি দিতে হয়, অনেক কথা আমরা বলতে পারি; কিন্তু জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে—আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব? পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘‘ডিটেইল প্ল্যানিং’’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন—সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব। যদি আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। কাজেই, আপনাদেরকে এখন সজাগ হতে হবে। ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই, মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এর আগে সকালে একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ জন উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ জন উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো, ৪৪ ভাগ। আর অন্য যারা, তারা তো অনেক অনেক কম আরকি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল, তারা শতকরা এক ভাগও না। এরচেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে, নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু যে জনগণ তাদের মনস্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা, এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধইরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না ইনশা আল্লাহ।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট
এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন। খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পিছনে সেই একই কারণ—দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
আগামী দিনের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে-ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সংগত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, যে সরকার নির্বাচিত হবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে।’
দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে অন্যায় করে, সে কোনো দলের হতে পারে না। অন্যায় যে করে, সে অন্যায়কারী। কাজেই, যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কঠোর হস্তে দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করে না, কথার ফুলঝুড়ি যদি দিতে হয়, অনেক কথা আমরা বলতে পারি; কিন্তু জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে—আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব? পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘‘ডিটেইল প্ল্যানিং’’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন—সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব। যদি আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। কাজেই, আপনাদেরকে এখন সজাগ হতে হবে। ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই, মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
এর আগে সকালে একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ জন উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ জন উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো, ৪৪ ভাগ। আর অন্য যারা, তারা তো অনেক অনেক কম আরকি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল, তারা শতকরা এক ভাগও না। এরচেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে, নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু যে জনগণ তাদের মনস্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা, এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধইরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না ইনশা আল্লাহ।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট
এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন। খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পিছনে সেই একই কারণ—দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’
আগামী দিনের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে-ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সংগত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
হাদিকে দেখার আগে শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন বলে জানান শায়রুল।

গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
হাদিকে দেখার আগে শুরুতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেনও ছিলেন বলে জানান শায়রুল।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির
৩ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে। শুক্রবার বিকেলে আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানানো হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি।
প্রতিবাদ মিছিলে আসিফ মাহমুদ নিজেই ‘হাদির গায়ে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই; লাগছে গুলি হাদির গায়, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগান দেন।
এরপর হামলার শিকার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আসিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানান। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে। শুক্রবার বিকেলে আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ কথা জানানো হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও হাজারীবাগ এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি।
প্রতিবাদ মিছিলে আসিফ মাহমুদ নিজেই ‘হাদির গায়ে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই; লাগছে গুলি হাদির গায়, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগান দেন।
এরপর হামলার শিকার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আসিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানান। সংকট মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির
৩ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজ শরিফ ওসমান বিন হাদির যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এই দুর্ঘটনা আরও ঘটেছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের এক এমপি প্রার্থীর ওপরে যা হয়েছে, এটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে যদি আমাদের অবস্থান নিতে হয়, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি অবস্থান নিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে এই দেশের মানুষ, এই ষড়যন্ত্র দমিয়ে দিতে পারে, রুখে দিতে পারে গণতন্ত্র।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠদিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পরিকল্পনাগুলো তোমাদের কাছে অর্পণ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আজকে যে দায়িত্ব তোমাদের দিলাম মানুষকে বোঝানোর জন্য, যে দায়িত্ব দিলাম মানুষের সমর্থন জোগাড়ের জন্য, সেটি তোমরা করতে সফল হবে। কারণ, তোমাদের সেই যোগ্যতা আছে, তোমাদের সেই মেধা আছে। ফার্মার্স কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, হেলথ কার্ড প্রভৃতি বিষয়ে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্ব ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানের সঞ্চালনায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণায় অনেকে ভারাক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু স্বাগত জানাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা স্বাগত জানিয়েছি, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, এ জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের যত প্রত্যাশা, তার মধ্যে প্রধান ও প্রাথমিক প্রত্যাশা ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, এই তফসিল ঘোষণা করা।’ তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছে নো পিআর, নো ইলেকশন, কেউ কেউ বলেছে, আগে স্থানীয় সরকার ইলেকশন না হলে নো ইলেকশন। আর কেউ কেউ বলেছে, একই দিনে গণভোট আর সংসদ নির্বাচন হলে আমরা মানি না। কেউ কেউ বলেছে, ২০২৯ সালের দিকে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করেন। এরা সবাই....আমি কারও নাম নিতে চাই না...গণতন্ত্রের বিপক্ষের শিবির। তারা নিজেদের মত করে গণতন্ত্র চায়, তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আলাদা।’
কোন দলের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দল আওয়ামী লীগের ভোটপ্রাপ্তির জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে না। আমাদের গ্রামের ভাষায় কথা বলে যে ভাশুরের নাম মুখে নেওয়া যায় না। এখন সেই দল আওয়ামী লীগের ভোট টানার জন্য তাদের যে ভূমিকা, সেটা জনগণের সামনে উন্মোচন করেছে।’
দলটির উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘যাদের ইতিহাস হচ্ছে সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, যাদের ইতিহাস হচ্ছে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে, তাদের কথাও আমাদের বলতে হবে। যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, তা আমরা মাঝেমধ্যে জিজ্ঞেস করি, সেই মুক্তিযুদ্ধটা কি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল?’ তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরে তারা হয়তো বলবে, তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আমরা করি নাই। এ রকম অনেক বক্তব্য আপনারা ভোটের ময়দানে শুনতে পাবেন।’
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অনেক সচেতন। এখন আর ধর্মের বিড়ি বিক্রি করে বাংলাদেশের জনগণের সামনে ভোট চাওয়া যাবে না।’

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজ শরিফ ওসমান বিন হাদির যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এই দুর্ঘটনা আরও ঘটেছে। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আমাদের এক এমপি প্রার্থীর ওপরে যা হয়েছে, এটা ষড়যন্ত্র। এটার বিরুদ্ধে যদি আমাদের অবস্থান নিতে হয়, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি অবস্থান নিতে হয়, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারে এই দেশের মানুষ, এই ষড়যন্ত্র দমিয়ে দিতে পারে, রুখে দিতে পারে গণতন্ত্র।’
‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠদিনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের পরিকল্পনাগুলো তোমাদের কাছে অর্পণ করছি। আমি বিশ্বাস করি, আজকে যে দায়িত্ব তোমাদের দিলাম মানুষকে বোঝানোর জন্য, যে দায়িত্ব দিলাম মানুষের সমর্থন জোগাড়ের জন্য, সেটি তোমরা করতে সফল হবে। কারণ, তোমাদের সেই যোগ্যতা আছে, তোমাদের সেই মেধা আছে। ফার্মার্স কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, হেলথ কার্ড প্রভৃতি বিষয়ে তোমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে ঘরে ঘরে মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।’
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্ব ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খানের সঞ্চালনায় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণায় অনেকে ভারাক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু স্বাগত জানাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা স্বাগত জানিয়েছি, সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছি। আমরা বলেছি, এ জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের যত প্রত্যাশা, তার মধ্যে প্রধান ও প্রাথমিক প্রত্যাশা ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, এই তফসিল ঘোষণা করা।’ তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেছে নো পিআর, নো ইলেকশন, কেউ কেউ বলেছে, আগে স্থানীয় সরকার ইলেকশন না হলে নো ইলেকশন। আর কেউ কেউ বলেছে, একই দিনে গণভোট আর সংসদ নির্বাচন হলে আমরা মানি না। কেউ কেউ বলেছে, ২০২৯ সালের দিকে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করেন। এরা সবাই....আমি কারও নাম নিতে চাই না...গণতন্ত্রের বিপক্ষের শিবির। তারা নিজেদের মত করে গণতন্ত্র চায়, তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আলাদা।’
কোন দলের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দল আওয়ামী লীগের ভোটপ্রাপ্তির জন্য আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে না। আমাদের গ্রামের ভাষায় কথা বলে যে ভাশুরের নাম মুখে নেওয়া যায় না। এখন সেই দল আওয়ামী লীগের ভোট টানার জন্য তাদের যে ভূমিকা, সেটা জনগণের সামনে উন্মোচন করেছে।’
দলটির উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘যাদের ইতিহাস হচ্ছে সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, যাদের ইতিহাস হচ্ছে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে, তাদের কথাও আমাদের বলতে হবে। যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, তা আমরা মাঝেমধ্যে জিজ্ঞেস করি, সেই মুক্তিযুদ্ধটা কি পাকিস্তানের পক্ষে ছিল?’ তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরে তারা হয়তো বলবে, তারাই একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আমরা করি নাই। এ রকম অনেক বক্তব্য আপনারা ভোটের ময়দানে শুনতে পাবেন।’
সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অনেক সচেতন। এখন আর ধর্মের বিড়ি বিক্রি করে বাংলাদেশের জনগণের সামনে ভোট চাওয়া যাবে না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির
৩ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি অভিযোগ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তিনি হঠাৎ হাসপাতালে, এটি সত্য নয়। তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ, যা কোনো সভ্য সমাজেই কাম্য নয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে রক্ষা করাই গণতন্ত্র রক্ষার পথ। তাঁকে যদি সুস্থ করা যায়, বাংলাদেশও সুস্থ হবে। তাঁর জীবন গণতন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। অথচ তিনি এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আমাদের আদর্শ। তাঁরা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছেন। তাই বাংলাদেশকে কেউ পরাধীন রাখতে পারবে না, যদি আমরা সবাই এক থাকি।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেখানেই দাঁড়িয়েছেন, জনগণ তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি কখনো পরাজিত হননি।
শামসুজ্জামান দুদু দলের নেতা-কর্মীদের খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নিয়মিত দোয়া করার আহ্বান জানান।
দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এক দিনে তিনি এতটা অসুস্থ হননি।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি অভিযোগ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে (খালেদা জিয়াকে) যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তিনি হঠাৎ হাসপাতালে, এটি সত্য নয়। তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ, যা কোনো সভ্য সমাজেই কাম্য নয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে রক্ষা করাই গণতন্ত্র রক্ষার পথ। তাঁকে যদি সুস্থ করা যায়, বাংলাদেশও সুস্থ হবে। তাঁর জীবন গণতন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। অথচ তিনি এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আমাদের আদর্শ। তাঁরা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছেন। তাই বাংলাদেশকে কেউ পরাধীন রাখতে পারবে না, যদি আমরা সবাই এক থাকি।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেখানেই দাঁড়িয়েছেন, জনগণ তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি কখনো পরাজিত হননি।
শামসুজ্জামান দুদু দলের নেতা-কর্মীদের খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় নিয়মিত দোয়া করার আহ্বান জানান।
দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির
৩ দিন আগে
গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে দেখতে গেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-১০ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিজয় র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান। এরপর বিজয় র্যালি পরিণত হয় প্রতিবাদ মিছিলে।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৬ ঘণ্টা আগে