নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইন কোনো বাধা নয় বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, আইনের কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারবে না। তাঁকে যে নির্দেশে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশেই দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার সেটা করছে না বলে অভিযোগ দলটির।
আজ রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে নির্দেশ এবং যে আইনের ক্ষমতাবলে তারা এই নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশেই তারা কিন্তু আবার নতুন নির্দেশ দিয়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। এটা না করে তারা (সরকার) নিজেরাই তাদের ক্ষমতাকে খর্ব করছে। একটাই উদ্দেশ্য– খালেদা জিয়ার প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করা। প্রতিহিংসামূলকভাবেই তারা এটা করছে। খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে বাসভবনে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের যে আটটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রশাসনিক নির্দেশ। আইনের কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারবে না। যেখানে খুনের মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুক্তি নিয়ে বিদেশে চলে যেতে পারে, সেখানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মানবিক কারণে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সভায় তীব্র ক্ষোভ জানানো হয়েছে বলে জানান ফখরুল। সংসদ নেতা ও আইনমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য খারাপ নজির স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং রাজনৈতিক শালীনতাবিবর্জিত। সংসদ নেতা তাঁর মনগড়া কল্পকাহিনির মধ্য দিয়ে জনগণের একজন আস্থাভাজন প্রিয় নেতাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত আইনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাঁকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে তাঁর প্রাপ্য জামিন তাঁকে দেওয়া হয়নি।
করোনা এবং করোনা–পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা নিয়ে গত ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে তাঁর। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর হার্ট, কিডনি এবং লিভারের বড় ধরনের জটিলতা রয়েছে। জটিলতাগুলো দূর করতে দেশের চিকিৎসা এবং প্রযুক্তি যথেষ্ট নয়। চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে তাঁর পরিবার আবেদন করলেও বিএনপি এখনো তা করেনি।
চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যেতে আইন কোনো বাধা নয় বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, আইনের কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারবে না। তাঁকে যে নির্দেশে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশেই দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার সেটা করছে না বলে অভিযোগ দলটির।
আজ রোববার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের যে নির্দেশ এবং যে আইনের ক্ষমতাবলে তারা এই নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশেই তারা কিন্তু আবার নতুন নির্দেশ দিয়ে তাঁর (খালেদা জিয়া) দেশের বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। এটা না করে তারা (সরকার) নিজেরাই তাদের ক্ষমতাকে খর্ব করছে। একটাই উদ্দেশ্য– খালেদা জিয়ার প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন করা। প্রতিহিংসামূলকভাবেই তারা এটা করছে। খালেদা জিয়ার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।’
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে বাসভবনে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের যে আটটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রশাসনিক নির্দেশ। আইনের কোথাও এ কথা বলা হয়নি যে, সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে পারবে না। যেখানে খুনের মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুক্তি নিয়ে বিদেশে চলে যেতে পারে, সেখানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মানবিক কারণে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সভায় তীব্র ক্ষোভ জানানো হয়েছে বলে জানান ফখরুল। সংসদ নেতা ও আইনমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য খারাপ নজির স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংসদ নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং রাজনৈতিক শালীনতাবিবর্জিত। সংসদ নেতা তাঁর মনগড়া কল্পকাহিনির মধ্য দিয়ে জনগণের একজন আস্থাভাজন প্রিয় নেতাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত আইনের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তাঁকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ কারণে তাঁর প্রাপ্য জামিন তাঁকে দেওয়া হয়নি।
করোনা এবং করোনা–পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা নিয়ে গত ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে তাঁর। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর হার্ট, কিডনি এবং লিভারের বড় ধরনের জটিলতা রয়েছে। জটিলতাগুলো দূর করতে দেশের চিকিৎসা এবং প্রযুক্তি যথেষ্ট নয়। চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে তাঁর পরিবার আবেদন করলেও বিএনপি এখনো তা করেনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও নতুন সংবিধানের দাবি আবার জানাল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি বলেছে, তাদের এসব দাবি আদায় না হলে সে নির্বাচনে এনসিপি অংশ নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ শহীদদের রক্তস্নাত। ছাত্র-জনতা দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য জীবন দিয়েছে। এ কারণে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা এবং একে আইনগত ভিত্তি দেওয়া দরকার। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আজ শনিবার বিকেলে ‘জুলাই সনদ: আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সরকারি সফরে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তাঁর বাসভবন ফিরোজায় যাবেন। আগামীকাল রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনে প্রথমে এনসিপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জামায়াতে ইসলামী এবং সন্ধ্যায় বিএনপির প্রতিনি
১২ ঘণ্টা আগে