নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংঘাত-সংঘর্ষ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বাম জোট। আজ বুধবার রাজধানীর মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন, আমিনুল হুদা টিটো দিবসে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই দিন ঢাকায় সকাল ৯টায় নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলে (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদ) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বরং নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমত ও বিরোধী দলগুলোর দাবি উপেক্ষা করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যা নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে, নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর পরেও শাসকশ্রেণি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। সে জন্যই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ভোটের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কম-বেশি সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারের পরিস্থিতি অনেক গভীর ও ভয়াবহ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে যে সংকট ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা নিরসনের উদ্যোগ না নিয়ে, সরকার গ্রেপ্তার-দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। যা দেশকে আরও গভীর সংকটে নিক্ষেপ করবে। নির্বাচন কমিশনও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে, সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা করছে। যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে অগণতান্ত্রিক পথে ঠেলে দেবে। নির্বাচন কমিশন যে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নয়, তা তাদের একেবার একেক রকম বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে, সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সচিবকে কমিশনের মুখপত্র হিসেবে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে তা পুনর্বার প্রমাণিত হলো।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে, ওই দিনই বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে পর দিন থেকে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের জন্য জোটের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনগণকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ১০ নভেম্বর থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী বাম জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংঘাত-সংঘর্ষ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় নির্দলীয় তদারকি সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বাম জোট। আজ বুধবার রাজধানীর মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন, আমিনুল হুদা টিটো দিবসে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই দিন ঢাকায় সকাল ৯টায় নূর হোসেন স্কয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলে (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্ক্সবাদ) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বরং নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমত ও বিরোধী দলগুলোর দাবি উপেক্ষা করে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যা নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে, নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর পরেও শাসকশ্রেণি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। সে জন্যই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ভোটের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কম-বেশি সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারের পরিস্থিতি অনেক গভীর ও ভয়াবহ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে যে সংকট ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা নিরসনের উদ্যোগ না নিয়ে, সরকার গ্রেপ্তার-দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। যা দেশকে আরও গভীর সংকটে নিক্ষেপ করবে। নির্বাচন কমিশনও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে, সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা করছে। যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে অগণতান্ত্রিক পথে ঠেলে দেবে। নির্বাচন কমিশন যে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন নয়, তা তাদের একেবার একেক রকম বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে, সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের সচিবকে কমিশনের মুখপত্র হিসেবে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ার দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে তা পুনর্বার প্রমাণিত হলো।
সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে, ওই দিনই বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে পর দিন থেকে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের জন্য জোটের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনগণকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ১০ নভেম্বর থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী বাম জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৩ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৫ ঘণ্টা আগে