নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘আমরা আমাদের এই পবিত্র মাতৃভূমিকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। কারণ, এরা যখনই সুযোগ পায় বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্ট করে ও আঘাত করে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে এরা অশান্তি বোধ করে। আমাদের বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ যখন শান্তিতে বসবাস করে তখনই এরা দুঃখ, কষ্ট ও বেদনা পায়। আর বেদনা থেকেই মুক্ত হওয়ার জন্য এরা সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনির হরিমন্দিরে গীতাসংগীত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খুনি জিয়া, মোশতাকদের উত্তরাধিকার হলো এই বিএনপি। ক্যান্টনমেন্টের সেনা ছাউনিতে বসে গোয়েন্দা সংস্থার পকেটেই এদের জন্ম। এরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এরা বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অস্ত্র নিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এই দেশবিরোধী অপশক্তির হাত থেকে আজও বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি। আজও তাদের হাত থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিএনপি-জামায়াত সুযোগ পেলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেবে। এদের সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা শুধু বাংলাদেশি মানুষ হত্যা করেনি, এরা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে।’
নাছিম বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। এ দেশে আমরা সবাই সমান। আমরা বাঙালি। আমরা এ দেশেরই সন্তান। আমরা সবাইকে মর্যাদা ও সম্মান জানাব। এটাই আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনো অপশক্তি আমাদের এই ঐতিহ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ যেন নষ্ট না করতে পারে, সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়জন ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণেই আমরা আমাদের লাল-সবুজের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের স্বাধীনতার অমীয় বাণী ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। জাতির পিতা সেই স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের মহান নেতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারীদের মূল লক্ষ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, সেই বাংলাদেশকে খণ্ড-বিখণ্ডিত করা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের এই বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে নানাভাবে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার করছে।’
শ্রীশ্রী গীতা সংঘ মতিঝিল শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ বর্ধনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল কুমার দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন শ্রীশ্রী গীতা সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি নিত্যানন্দ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশেদ আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘আমরা আমাদের এই পবিত্র মাতৃভূমিকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। কারণ, এরা যখনই সুযোগ পায় বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্ট করে ও আঘাত করে। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকলে এরা অশান্তি বোধ করে। আমাদের বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ যখন শান্তিতে বসবাস করে তখনই এরা দুঃখ, কষ্ট ও বেদনা পায়। আর বেদনা থেকেই মুক্ত হওয়ার জন্য এরা সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনির হরিমন্দিরে গীতাসংগীত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খুনি জিয়া, মোশতাকদের উত্তরাধিকার হলো এই বিএনপি। ক্যান্টনমেন্টের সেনা ছাউনিতে বসে গোয়েন্দা সংস্থার পকেটেই এদের জন্ম। এরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এরা বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অস্ত্র নিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। এই দেশবিরোধী অপশক্তির হাত থেকে আজও বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি। আজও তাদের হাত থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদীদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিএনপি-জামায়াত সুযোগ পেলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেবে। এদের সৃষ্ট সন্ত্রাসীরা শুধু বাংলাদেশি মানুষ হত্যা করেনি, এরা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে।’
নাছিম বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। এ দেশে আমরা সবাই সমান। আমরা বাঙালি। আমরা এ দেশেরই সন্তান। আমরা সবাইকে মর্যাদা ও সম্মান জানাব। এটাই আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনো অপশক্তি আমাদের এই ঐতিহ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ যেন নষ্ট না করতে পারে, সেদিকে আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়জন ছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণেই আমরা আমাদের লাল-সবুজের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের স্বাধীনতার অমীয় বাণী ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা। জাতির পিতা সেই স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের মহান নেতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসকে ম্লান করে দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারীদের মূল লক্ষ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, সেই বাংলাদেশকে খণ্ড-বিখণ্ডিত করা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। এই সাম্প্রদায়িক শক্তি আমাদের এই বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে নানাভাবে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার করছে।’
শ্রীশ্রী গীতা সংঘ মতিঝিল শাখার সভাপতি নিত্যানন্দ বর্ধনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোপাল কুমার দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন শ্রীশ্রী গীতা সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি নিত্যানন্দ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশেদ আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
চোখের সমস্যা নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের রুটনিন আই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় তাঁর অপারেশন হওয়ার কথা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করে মামলার নথি তলব করেছেন উচ্চ আদালত।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনের পক্ষে দলটি। অন্যদিকে সংবিধান সংস্কার-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে করার
১৯ ঘণ্টা আগেচিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
২০ ঘণ্টা আগে