নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে নাস্তিকতা বিরোধী ব্লাসফেমি আইন পাস, নারী নীতি ও শিক্ষা নীতি বাতিলসহ ‘কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক’ রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ১৩ দফা দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম, নয় বছর পরও তা থেকে সরে আসেনি ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলিস্থানের কাজী বশির মিলনায়তনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন হেফাজতের নেতারা।
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘১৩ দফা হেফাজতের ঘোষিত এজেন্ডা। এর বাস্তবায়নের জন্য হেফাজত অতীতেও কাজ করে গেছে, আগামীতেও করবে।’
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল শাপলা চত্বরের সমাবেশ ঘিরে যে ১৩ দফা দাবি তুলেছিল, তা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এসব দফার মধ্যে ইসলাম অবমাননা ও কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন, দেশে ভাস্কর্য স্থাপন নিষিদ্ধ, নারী নীতি ও শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি ছিল উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া ২০১৬ সালে পাঠ্যবইয়ে ১৭টি বিষয় সংযোজন ও ১২টি বিষয় বাতিলের সুনির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করেছিল সংগঠনটি। ২০১৭ সালে নতুন পাঠ্যবই প্রকাশের পর দেখা গেছে এসব সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। হেফাজত এ জন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছে। পরে সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনো আওয়াজ আসেনি হেফাজতের পক্ষ থেকে।
শনিবার ঢাকায় কারাবন্দী নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তিসহ নতুন করে সাত দফা দাবি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এগুলো হচ্ছে—হেফাজত নেতা-কর্মী ও আলেম উলামাদের মুক্তি, নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার, ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস, কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা, জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলইয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করা এবং বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দকে আসার অনুমতি না দেওয়া।
হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী কারাবন্দী নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলেম উলামাদের বন্দী রেখে দেশে শান্তি এবং স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে অশান্তি ও দুরবস্থা থেকে মুক্তি এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রথমত হেফাজত নেতা কর্মীদের নামে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন এবং তাঁদের দ্রুত মুক্তি দিয়ে মজলুমদের কান্না বন্ধ করুন।
‘আলেমদের চোখের পানিকে ভয় করুন। এসব জুলুম ও নির্যাতনের কারণে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।’
সম্মেলনে সাত দফা ঘোষণার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শানে রেসালত সম্মেলন ও রাজধানীতে জাতীয় শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠান করা।
বাংলাদেশে নাস্তিকতা বিরোধী ব্লাসফেমি আইন পাস, নারী নীতি ও শিক্ষা নীতি বাতিলসহ ‘কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক’ রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ১৩ দফা দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম, নয় বছর পরও তা থেকে সরে আসেনি ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলিস্থানের কাজী বশির মিলনায়তনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন হেফাজতের নেতারা।
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘১৩ দফা হেফাজতের ঘোষিত এজেন্ডা। এর বাস্তবায়নের জন্য হেফাজত অতীতেও কাজ করে গেছে, আগামীতেও করবে।’
২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল শাপলা চত্বরের সমাবেশ ঘিরে যে ১৩ দফা দাবি তুলেছিল, তা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এসব দফার মধ্যে ইসলাম অবমাননা ও কটূক্তিকারীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন, দেশে ভাস্কর্য স্থাপন নিষিদ্ধ, নারী নীতি ও শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি ছিল উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া ২০১৬ সালে পাঠ্যবইয়ে ১৭টি বিষয় সংযোজন ও ১২টি বিষয় বাতিলের সুনির্দিষ্ট দাবিতে আন্দোলন করেছিল সংগঠনটি। ২০১৭ সালে নতুন পাঠ্যবই প্রকাশের পর দেখা গেছে এসব সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। হেফাজত এ জন্য সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছে। পরে সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও দিয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনো আওয়াজ আসেনি হেফাজতের পক্ষ থেকে।
শনিবার ঢাকায় কারাবন্দী নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তিসহ নতুন করে সাত দফা দাবি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এগুলো হচ্ছে—হেফাজত নেতা-কর্মী ও আলেম উলামাদের মুক্তি, নেতা-কর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার, ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস, কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা, জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলইয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করা এবং বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দকে আসার অনুমতি না দেওয়া।
হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী কারাবন্দী নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলেম উলামাদের বন্দী রেখে দেশে শান্তি এবং স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। দেশের এই ক্রান্তিকালে অশান্তি ও দুরবস্থা থেকে মুক্তি এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রথমত হেফাজত নেতা কর্মীদের নামে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন এবং তাঁদের দ্রুত মুক্তি দিয়ে মজলুমদের কান্না বন্ধ করুন।
‘আলেমদের চোখের পানিকে ভয় করুন। এসব জুলুম ও নির্যাতনের কারণে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।’
সম্মেলনে সাত দফা ঘোষণার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জেলা-উপজেলা কমিটি গঠন, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শানে রেসালত সম্মেলন ও রাজধানীতে জাতীয় শানে রিসালাত সম্মেলন অনুষ্ঠান করা।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ তোষণের অভিযোগ তুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, এইচ এম এরশাদ (প্রয়াত) এবং জি এম কাদের গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগকে হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। এর দায়ে জি এম কাদেরসহ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবার আলোচনার ঝড় তুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মওলানা ভাসানীর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব
৩ ঘণ্টা আগেঅনেকেই প্রশ্ন করছেন, একজন উপদেষ্টা কী এমন পোস্ট দিয়েছেন যে সেটি আবার ডিলিট করে দিতে হলো। চলুন দেখি, মাহফুজ আলমের সেই পোস্টে কী ছিল। তথ্য উপদেষ্টা তাঁর ভেরিফায়েড আইডির পোস্টে লিখেছিলেন—
৫ ঘণ্টা আগে