নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ নেবে না—এটা ধরে নিয়েই ভোট প্রতিযোগিতামূলক করতে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দল দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে না এলেও তাদের অনেক নেতা নেমে পড়েছেন ভোটের মাঠে।
তার পরও নিজেদের কৌশলে বদল আনছে না আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলেও উপজেলায় একক প্রার্থী দেওয়া হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বিরোধীদের জয় হলে তা নিজেদের রাজনৈতিক বিজয় হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ৪৫ জন এবং জামায়াতের ২৫ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগ কিংবা দলটির সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বা দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন।
বিএনপির নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করল প্রকাশ্যে। আমাদের জানামতে, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনারা অংশ নেয়নি। এমন অবস্থায় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতিও দেয় আওয়ামী লীগ; যাতে ৫৯টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনারা আসবে না ধরেই নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল।
শেষ পর্যন্ত প্রথম ধাপের ১৫০টির মধ্যে ৫০টির বেশি উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে ভোট কাটাকাটির সুযোগে বিরোধীদের বিজয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তবে এসব উপজেলায় দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভিন্ন কোনো কৌশল করার কিছু নাই। উন্মুক্ত মানে উন্মুক্তই। সে ক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয়তায় আওয়ামী ঘরানার বাইরে যদি কেউ নির্বাচিত হয়, তাতে আমাদের আপত্তির কিছুই নেই। বরং অভিনন্দনই জানাব।’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই, তাই বিএনপির নেতাদের বিজয়েও কোনো সমস্যা নেই। বরং দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেটার উদাহরণ তাঁরা রাজনীতির মাঠে দিতে পারবেন।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক, অসুবিধা তো নেই। একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের কাজ। আর আমরা তো নির্বাচন উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ নেবে না—এটা ধরে নিয়েই ভোট প্রতিযোগিতামূলক করতে দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু দল দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটে না এলেও তাদের অনেক নেতা নেমে পড়েছেন ভোটের মাঠে।
তার পরও নিজেদের কৌশলে বদল আনছে না আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, বিরোধী দলের নেতারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলেও উপজেলায় একক প্রার্থী দেওয়া হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বিরোধীদের জয় হলে তা নিজেদের রাজনৈতিক বিজয় হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএনপির ৪৫ জন এবং জামায়াতের ২৫ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগ কিংবা দলটির সহযোগী সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বা দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন।
বিএনপির নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করল প্রকাশ্যে। আমাদের জানামতে, স্থানীয় পর্যায়ে তাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনারা অংশ নেয়নি। এমন অবস্থায় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অনুমতিও দেয় আওয়ামী লীগ; যাতে ৫৯টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনারা আসবে না ধরেই নৌকা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল।
শেষ পর্যন্ত প্রথম ধাপের ১৫০টির মধ্যে ৫০টির বেশি উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে ভোট কাটাকাটির সুযোগে বিরোধীদের বিজয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকেই। তবে এসব উপজেলায় দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভিন্ন কোনো কৌশল করার কিছু নাই। উন্মুক্ত মানে উন্মুক্তই। সে ক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয়তায় আওয়ামী ঘরানার বাইরে যদি কেউ নির্বাচিত হয়, তাতে আমাদের আপত্তির কিছুই নেই। বরং অভিনন্দনই জানাব।’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই, তাই বিএনপির নেতাদের বিজয়েও কোনো সমস্যা নেই। বরং দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেটার উদাহরণ তাঁরা রাজনীতির মাঠে দিতে পারবেন।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক, অসুবিধা তো নেই। একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের কাজ। আর আমরা তো নির্বাচন উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছি।’
বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনের পক্ষে দলটি। অন্যদিকে সংবিধান সংস্কার-সংক্রান্ত সব প্রস্তাব বাস্তবায়ন নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে করার
১১ ঘণ্টা আগেচিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
১৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ আগামী শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সঙ্গে থাকা সংশ্লিষ্টরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির সহযোগী সংগঠন এনসিপির যুব উইংয়ের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপ
১৩ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগকেও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার এবং দলটির রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানায় জুলাই ঐক্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠনও নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে