Ajker Patrika

প্রচার-প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছোট ও নতুন দলগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ৫৩
প্রচার-প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছোট ও নতুন দলগুলো

বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে তৃণমূল বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসনও। বাবার পরিচয় এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দলের হাঁকডাক–কোনো কিছুরই প্রতিফলন নেই ভোটের মাঠে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিকল্পধারার ত্রিমুখী লড়াইয়ে ম্লান হয়ে আছেন সোনালী আঁশের অন্তরা। অনেক ভোটার তাঁকে চেনেনও না ঠিকমতো। সারা দেশেই ভোটের মাঠে তৃণমূল বিএনপির অবস্থা অনেকটা একই রকম। 

নির্বাচনী প্রচারে সরব নন দলটির চেয়ারপারসন শমশের মুবিন চৌধুরীও। সিলেট-৬ আসনের এই প্রার্থীকে তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার। তাঁদের মতে, এই আসনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেনের মধ্যে। যদিও আঞ্চলিকতার প্রভাবে চমক আসার কথা বলে জয়ের আশা করছেন শমশের মুবিন চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আঞ্চলিকতার একটা বিষয় ভোটারদের মনে কাজ করছে।

গোলাপগঞ্জের ভোটাররা মনে করতে পারেন, বারবার বিয়ানীবাজার থেকে এমপি পাচ্ছি, এবার আমরা গোলাপগঞ্জ থেকে চাই। আরেকটি হলো, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী পেয়েছি। সব মিলিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’ 

তৃণমূল বিএনপির মতো হাঁকডাক ছেড়ে নির্বাচনে নামে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং কল্যাণ পার্টি। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই এসব দলের প্রার্থীরা। অনেক জায়গায় এসব দলের প্রার্থীদের পক্ষে পোস্টার, মাইকিং কিছুই চোখে পড়েনি। কয়েকটি জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেলেও জয়ের সম্ভাবনা হাতে গোনা দু-একজনের।  

ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের দ্বন্দ্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দল বেড়েছে। এ দুই প্রার্থীর লড়াইয়ের ফাঁক গলে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। বিএনপি ছেড়ে বিএনএমে যোগ দেওয়া সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতের লোক আছে। সাধারণ মানুষ আমাকে নোঙর মার্কায়ই ভোট দেবে।’ 

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে নোঙর প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বিএনএমের মহাসচিব মুহাম্মদ শাহজাহান। এই আসনে নৌকার প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ সফিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতা আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা লড়াইয়ে থাকায় বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এই আসনে চমক আশা করছেন শাহজাহান।

তবে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হওয়ার সুবাদে পাবনা-২ আসনে অনেকটাই সাড়া ফেলেছেন বিএনএমের প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীও। তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। শিল্পী হিসেবে আগে থেকেই তিনি সবার কাছে পরিচিত। কিন্তু বিএনএমের নাম আগে তেমন কেউ শোনেনি। নৌকার সঙ্গে ডলি সায়ন্তনীর নোঙর প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেক ভোটার।

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে লড়ছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়া এই নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আছেন। চাপের মুখে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দিয়ে আসছেন। গোলাম দস্তগীর গাজী অবশ্য বলেন, ‘তারা যেকোনো ছোটখাটো বিষয়েও কেবল নালিশ করেই যাচ্ছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে আমাদের ব্যস্ত রাখতে চাইছে। আমাদের নালিশ করার সময় নেই।

আমরা জনগণকে নিয়েই ব্যস্ত।’ এর জবাবে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমিই একমাত্র ব্যক্তি, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। জনগণের পক্ষে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।’

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রার্থী হয়েছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি জাফর আলম। যদিও আওয়ামী লীগের একাংশ ইবরাহিমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘চকরিয়া ও পেকুয়ায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রার্থী হয়েছি। এতে সাধারণ মানুষ আমাকে গ্রহণ করছে। নৌকার প্রার্থী না থাকায় আমার জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করি। 

রাজনীতি-বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের কৌশল পরিবর্তনে গুরুত্ব হারিয়েছে ‘কিংস পার্টি’, ভোটের মাঠে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হয়তো বিএনপির বিকল্প একটা কিছু তৈরি করার জন্য কিংস পার্টিকে নিয়ে ভেবেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে দলের অধিক সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কৌশল পরিবর্তন করেছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্পের চেয়ে নিজ দলের লোকদেরই ঝুঁকিহীন মনে করেছে তারা। অন্যদিকে কিংস পার্টির জয়ের বিষয়েও সংশয় ছিল। সব মিলিয়ে এই দলগুলো গুরুত্ব হারিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে জানান শায়রুল।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থায়ী কমিটির সভা শুরু হয়। রাত সোয়া ১১টায় এই সভা শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো: হাসনাত আবদুল্লাহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদের বলে, ‘‘তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’’

হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদের আমরা আমাদের দলে নিয়ে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।’

নিজ দল সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলব—ভালো কাজ অল্পসংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সব সময়ই কমসংখ্যক হয়। হাসিনার সময় যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।’

নিজ দলের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় যে জনপ্রতিনিধি দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন। কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়ে এনসিপির কমিটি হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো নিয়ে যেতে পারবে। ইতিমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে—যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। যারা সাহসী মানুষ, তারা ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।’

এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদারসহ অনেকে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ঝগড়াঝাঁটি না করে জনগণের কাছে যান: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না।’

রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে সোমবার (১০ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণপ্রকৌশলী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আমীর খসরু বলেন, ‘অনেকে চেষ্টা করছেন, সেই সিদ্ধান্তগুলো আমরা এখন নিই। আগামী দিনের সংসদ এটা বাধ্যতামূলকভাবে করতে পারে, এটা গণতন্ত্রের কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না। সুতরাং যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, চ্যাপ্টার ক্লোজ...লেট আস গো টু ইলেকশন। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে নিয়ে যান, আপনাদের যদি নিজস্ব কোনো দাবিদাওয়া থাকে আগামী দিনের জন্য, দয়া করে জনগণের কাছে যান। ঢাকায় বসে এইগুলা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে সময় নষ্ট না করে অন্যদের কাউকে বাধ্য না করে আপনি জনগণের কাছে যান।’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত দিন জনগণের মালিকানার কথা বলেছি। এইখানে আপনি যদি মালিক হয়ে যান যে জনগণকে এত দিন মালিক বললেন, জনগণের কাছে আপনি যাচ্ছেন না। এখন আমরা নিজেরাই মালিক হয়ে যাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, বাংলাদেশ এটা হবে, সেটা হবে, ওটা হতে হবে। তাইলে জনগণ কোথায় গেল? এখানে আমরা নিজেরাই তো মালিক হয়ে গেছি।’

খসরু আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে কী সিদ্ধান্ত হবে, কোনো ঐকমত্য কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দয়া করে, জনগণের কাছে যান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপরে সংসদে যান। ঢাকায় বসে দলাদলি করে রাস্তা দখল করে জনগণকে বাইরে রাখলে হবে না। গণতন্ত্র কাজ করে জনগণের মাধ্যমে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরিকদের জন্যই ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

৬৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যখন আন্দোলন করি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, তখন প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, সেটা দেখার জন্যই মূলত এই আসনগুলোকে ব্র্যাকেট রাখা হয়েছে।’ এ সময় তিনি অন্যান্য আসনেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) না হলে নির্বাচন হবে না বলে চাপ সৃষ্টি করছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টদের তৈরি করছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট তারাই তৈরি করছেন, যাঁরা বলেন পিআর দিতে হবে, তা না হলে নির্বাচন হবে না...এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন সরকারের ওপরে; আমার বিশ্বাস, আমরা যারা শিক্ষিত লোক আছি, তারাও ঠিকমতো বুঝি না। এখন এমন একটা জিনিসকে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে উদ্দেশ্য আছে। তাঁরা মনে করছেন, পিআর করলে অনেকগুলো বেশি আসন পাবেন। নট ট্রু। এটা ঠিক নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচনের ট্রেন চালু করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ গত ১৫-১৬ বছর ধরে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করে রেখেছে।’

এর আগে বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বদেশ্বর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালানোর পর এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এখন আমরা আমাদের মতো করে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করব।’

বিএনপি মহাসচিব তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই বাংলাদেশে হিংসা থাকবে না, প্রতিশোধ থাকবে না এবং কেউ কাউকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।

তারেক রহমানের এই কর্মসূচির মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, কীভাবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে এবং কীভাবে মায়েরা-বোনেরা সবাই ভালো থাকবেন, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত