নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশ যখন ঘূর্ণিঝড়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টাকার অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, অনাচার, মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুট, রাষ্ট্রীয় দেনা বৃদ্ধি, সাবেক সেনা ও পুলিশপ্রধানকে আন্তর্জাতিক স্যাংশনসহ নানান সংকটে, তখন সরকারের মূল কাজ তারেক রহমানকে এনে শাস্তি দেওয়া। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে না, তিনি নিজেই আসবেন।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতিসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বাকশালের বিরুদ্ধে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই সরকার যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, পুনরায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে না, তিনি নিজেই আসবেন।’
তিনি বলেন, তারেক রহমানের ওপর মূল রাগের কারণ হচ্ছে, তারেক রহমান আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। তারেক রহমান দেশের ডান, বাম, সমাজতান্ত্রিক, ইসলামপন্থী—সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, তাঁকে আমরা বলতে শুনলাম, খারাপ একটি শব্দ ব্যবহার করে, আমাদের লক্ষ্য তারেককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। দেশ যখন দুর্যোগে, তখন দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রধান কাজ না। জনগণের সম্পদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমানকে মারা হয়েছে, আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন, খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জিয়া পরিবারের আছেন শুধু তারেক রহমান। জিয়া পরিবারকে এতই অপছন্দ যে তাঁকে দেশে এনে শাস্তি দিতে হবে।
তারেক রহমানের বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুফতি হান্নানকে ১০০ দিনের বেশি রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে তাঁকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলানো হলো। সেই মামলায় বিদেশে থাকা অবস্থায় সাজা দেওয়া হলো। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মুফতি হান্নান ওয়ান সিক্সটি ফোরে বলেছিল, তাকে জোর করে এটা করানো হয়েছে। আবার এই মামলার রায়ের আগেই কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হলো?’
মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন, তারাই তো টাকাগুলো পাচার করেছে। তাদেরই প্রতিপক্ষ কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালেবিলে ফেলেছে, এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কী করে? এর দায় তো আপনার প্রধানমন্ত্রী। আপনি মাফিয়া, আপনি ডাকাত, আপনি খুনিদের এমপি বানিয়েছেন। এর দায় কি আপনার ওপর নেই?’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করেছে। ফলে তারেক রহমান এ দেশের ৯৫ ভাগ জনগণের নেতা। অন্যদিকে ৫ ভাগ মানুষের সরকারপ্রধান হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশ যখন ঘূর্ণিঝড়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টাকার অবমূল্যায়ন, দুর্নীতি, অনাচার, মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় ব্যাংক লুট, রাষ্ট্রীয় দেনা বৃদ্ধি, সাবেক সেনা ও পুলিশপ্রধানকে আন্তর্জাতিক স্যাংশনসহ নানান সংকটে, তখন সরকারের মূল কাজ তারেক রহমানকে এনে শাস্তি দেওয়া। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে না, তিনি নিজেই আসবেন।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতিসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বাকশালের বিরুদ্ধে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই সরকার যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, পুনরায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে না, তিনি নিজেই আসবেন।’
তিনি বলেন, তারেক রহমানের ওপর মূল রাগের কারণ হচ্ছে, তারেক রহমান আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। তারেক রহমান দেশের ডান, বাম, সমাজতান্ত্রিক, ইসলামপন্থী—সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে যিনি বসে আছেন, তাঁকে আমরা বলতে শুনলাম, খারাপ একটি শব্দ ব্যবহার করে, আমাদের লক্ষ্য তারেককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। দেশ যখন দুর্যোগে, তখন দেশের মানুষকে বাঁচানো প্রধান কাজ না। জনগণের সম্পদ রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। তাদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমানকে মারা হয়েছে, আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন, খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জিয়া পরিবারের আছেন শুধু তারেক রহমান। জিয়া পরিবারকে এতই অপছন্দ যে তাঁকে দেশে এনে শাস্তি দিতে হবে।
তারেক রহমানের বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুফতি হান্নানকে ১০০ দিনের বেশি রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে তাঁকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলানো হলো। সেই মামলায় বিদেশে থাকা অবস্থায় সাজা দেওয়া হলো। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। মুফতি হান্নান ওয়ান সিক্সটি ফোরে বলেছিল, তাকে জোর করে এটা করানো হয়েছে। আবার এই মামলার রায়ের আগেই কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হলো?’
মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন, তারাই তো টাকাগুলো পাচার করেছে। তাদেরই প্রতিপক্ষ কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালেবিলে ফেলেছে, এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কী করে? এর দায় তো আপনার প্রধানমন্ত্রী। আপনি মাফিয়া, আপনি ডাকাত, আপনি খুনিদের এমপি বানিয়েছেন। এর দায় কি আপনার ওপর নেই?’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করেছে। ফলে তারেক রহমান এ দেশের ৯৫ ভাগ জনগণের নেতা। অন্যদিকে ৫ ভাগ মানুষের সরকারপ্রধান হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ইসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি দ্বন্দ্বময়, রাজনৈতিক টালমাটাল সময় পার করছে বাংলাদেশ। আশা করি, এর মধ্যেই কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।’
৩২ মিনিট আগেবিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া দায় প্রধান উপদেষ্টার বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাশেদ এ মন্তব্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আগামীকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট)। দিনটিতে রাজধানীসহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয় ও মসজিদে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে কর্মসূচি ঘিরে নেতা-কর্মীদের কেক কাটতে নিষেধ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
৩ ঘণ্টা আগেপার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও দুটি রাজনৈতিক দলকে দেশের মূল শক্রপক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। এর মধ্যে প্রথমে ভারত, তারপর আওয়ামী লীগ এবং শেষে জামায়াতে ইসলামীর কথা বলেছেন তিনি। এরা সুযোগ পেলেই যে কারও কাঁধে ভর করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে