সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা
বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের স্থানীয় জামায়াতের নেতা মোদ্দাচ্ছের আনচারী। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে পাশের গ্রামের বাসিন্দা জহির উদ্দিনের নাম-ঠিকানা বলেন। তদন্ত শেষে পুলিশও নির্দোষ জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর জামিন পেয়ে কারাগার থেকে সোজা বিদেশ চলে যান মোদ্দাচ্ছের।
জহির উদ্দিন জানেন না তাঁর কী দোষ! কয়েক বছর আগে একদিন হঠাৎ জানতে পারেন তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। শেষপর্যন্ত আইনজীবীদের পরামর্শে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতের দ্বারে দ্বারে দৌড়াতে দৌড়াতে এখন নিঃস্ব তিনি।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রতিরোধ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তেও জহির উদ্দিন নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। তাহলে পুলিশ কী করে তাঁর নামে অভিযোগপত্র দিল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জহির উদ্দিন নির্দোষ কি না শুধু সেটার তদন্ত করেছে পিবিআই। অন্য কোনো বিষয় নয়।
পিবিআইয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিএনপি-জামায়াতের হরতালের ঘটনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে খিলগাঁও থানায় হওয়া মামলায় ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর মোদ্দাচ্ছেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামি জানান, তাঁর নাম জহির উদ্দিন, বাবার নাম আব্দুল কাদের ও মায়ের নাম নুরজাহান বেগম। তিনি কোম্পানীগঞ্জের ৯ নম্বর বসুরহাট পৌরসভার আজগর মোল্লার বাড়িতে থাকেন।
মামলা হওয়ার পর নিয়ম অনুসারে আসামির নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি না জানতে চেয়ে কোম্পানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে খিলগাঁও থানার এসআই কামরুল ইসলাম চিঠি পাঠান। একই বছরের ২৪ নভেম্বর ওসির দেওয়া তথ্যমতে এএসআই বিল্লাল হোসেন অনুসন্ধান করে আসামির নাম-ঠিকানা সঠিক পান। শুধু মায়ের নাম পান নুরজাহান বেগম ওরফে গোলাপী বেগম বলে উল্লেখ করেন। খিলগাঁও থানার এসআই রফিকুল ইসলাম পরের বছর ৮ এপ্রিল নির্দোষ জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এর আগে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর মোদ্দাচ্ছের জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। নিম্ন আদালত আদালত জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পিবিআইয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও বলেন, জহির উদ্দিন এ নিয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টের একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। তাঁরা কারাগারের ফাইলে থাকা মোদ্দাচ্ছেরের ছবি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের স্থানীয় লোকজনের দেখালে তাঁরাও ছবিটি মোদ্দাচ্ছেরের বলে নিশ্চিত করেন। স্থানীয় সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরীকে ছবি দেখালে তিনি ছবিটি মোদ্দাচ্ছেরের বলে নিশ্চিত করেছেন।
মোদ্দাচ্ছেরের ৭৩ বছর বয়সী চাচা আব্দুল হক বলেন, মোদ্দাচ্ছের অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। রাজনীতির কারণে তাঁকে পুলিশ ধরেছিল। পরে ছাড়া পেয়ে বিদেশ চলে যান। তিনি এখন কোন দেশে আছেন তা তিনি জানেন না।
মোদ্দাচ্ছের আনচারীর একজন প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৩ সালের পেট্রলবোমার সময় মোদ্দাচ্ছের আনচারীর ঘরে বোমা বিস্ফোরিত হয়। সে সময় একজন লোক সেই বোমায় মারা যায়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে আর আসেননি। পরে দেশের বাইরে চলে যান।
পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন গত মাসে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত মূল আসামি মোদ্দাচ্ছেরকে ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু জহিরের জীবন থেকে যে সময় চলে গেল তার কী হবে?
বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের স্থানীয় জামায়াতের নেতা মোদ্দাচ্ছের আনচারী। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে নিজের নাম-পরিচয় গোপন করে পাশের গ্রামের বাসিন্দা জহির উদ্দিনের নাম-ঠিকানা বলেন। তদন্ত শেষে পুলিশও নির্দোষ জহিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর জামিন পেয়ে কারাগার থেকে সোজা বিদেশ চলে যান মোদ্দাচ্ছের।
জহির উদ্দিন জানেন না তাঁর কী দোষ! কয়েক বছর আগে একদিন হঠাৎ জানতে পারেন তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। শেষপর্যন্ত আইনজীবীদের পরামর্শে হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতের দ্বারে দ্বারে দৌড়াতে দৌড়াতে এখন নিঃস্ব তিনি।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রতিরোধ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তেও জহির উদ্দিন নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। তাহলে পুলিশ কী করে তাঁর নামে অভিযোগপত্র দিল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, জহির উদ্দিন নির্দোষ কি না শুধু সেটার তদন্ত করেছে পিবিআই। অন্য কোনো বিষয় নয়।
পিবিআইয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিএনপি-জামায়াতের হরতালের ঘটনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে খিলগাঁও থানায় হওয়া মামলায় ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর মোদ্দাচ্ছেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আসামি জানান, তাঁর নাম জহির উদ্দিন, বাবার নাম আব্দুল কাদের ও মায়ের নাম নুরজাহান বেগম। তিনি কোম্পানীগঞ্জের ৯ নম্বর বসুরহাট পৌরসভার আজগর মোল্লার বাড়িতে থাকেন।
মামলা হওয়ার পর নিয়ম অনুসারে আসামির নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি না জানতে চেয়ে কোম্পানীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে খিলগাঁও থানার এসআই কামরুল ইসলাম চিঠি পাঠান। একই বছরের ২৪ নভেম্বর ওসির দেওয়া তথ্যমতে এএসআই বিল্লাল হোসেন অনুসন্ধান করে আসামির নাম-ঠিকানা সঠিক পান। শুধু মায়ের নাম পান নুরজাহান বেগম ওরফে গোলাপী বেগম বলে উল্লেখ করেন। খিলগাঁও থানার এসআই রফিকুল ইসলাম পরের বছর ৮ এপ্রিল নির্দোষ জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এর আগে ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর মোদ্দাচ্ছের জামিন পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। নিম্ন আদালত আদালত জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পিবিআইয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও বলেন, জহির উদ্দিন এ নিয়ে ২০২০ সালে হাইকোর্টের একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। তাঁরা কারাগারের ফাইলে থাকা মোদ্দাচ্ছেরের ছবি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের স্থানীয় লোকজনের দেখালে তাঁরাও ছবিটি মোদ্দাচ্ছেরের বলে নিশ্চিত করেন। স্থানীয় সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরীকে ছবি দেখালে তিনি ছবিটি মোদ্দাচ্ছেরের বলে নিশ্চিত করেছেন।
মোদ্দাচ্ছেরের ৭৩ বছর বয়সী চাচা আব্দুল হক বলেন, মোদ্দাচ্ছের অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। রাজনীতির কারণে তাঁকে পুলিশ ধরেছিল। পরে ছাড়া পেয়ে বিদেশ চলে যান। তিনি এখন কোন দেশে আছেন তা তিনি জানেন না।
মোদ্দাচ্ছের আনচারীর একজন প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২০১৩ সালের পেট্রলবোমার সময় মোদ্দাচ্ছের আনচারীর ঘরে বোমা বিস্ফোরিত হয়। সে সময় একজন লোক সেই বোমায় মারা যায়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গ্রামের বাড়িতে আর আসেননি। পরে দেশের বাইরে চলে যান।
পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন গত মাসে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত মূল আসামি মোদ্দাচ্ছেরকে ধরতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু জহিরের জীবন থেকে যে সময় চলে গেল তার কী হবে?
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
২ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৫ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৬ ঘণ্টা আগে