Ajker Patrika

বিচারের আগেই নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় গণঅধিকার পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জড়ো হন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদ গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। দলটি কর্মসূচি থেকে বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জড়ো হন। প্রথমে পল্টন মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে তাঁরা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এরপর একটি গণমিছিল নিয়ে তাঁরা জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় মুক্তাঙ্গনের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একটি অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মাইক নিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে যায়, আরেকটি অংশ পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ গণমিছিলে বাধা দিলে গণঅধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। মুক্তাঙ্গনের সামনের সড়কের ব্যারিকেডের নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মীর মুহসীন মাসুদ রানা। তিনি মিছিলটি প্রেসক্লাবের দিকে যেতে বলেন। তবে গণঅধিকারের নেতা–কার্মীরা জিরো পয়েন্টের দিকে যেতে চান। এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কির সূত্রপাত হয়। তাঁকে গণঅধিকারের কর্মীরা আওয়ামী লীগের দোসর, দালাল বলে স্লোগান দেন। তাঁকে ধাওয়া দিয়ে পল্টন মোড়ের মল্লিক টাওয়ারের নিচে নিয়ে আসেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ তাঁকে রক্ষা করেন।

এরপর নেতা–কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন মতিঝিল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ঘটনাস্থলে আসেন মতিঝিল বিভাগের ডিসি মো. শাহরিয়ার আলী। তিনি পুলিশ ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে শান্ত করেন। এরপর নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড়ে চলে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেন এবং গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গণ–অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ অন্য নেতারা।

সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সমাবেশে তাঁর বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, সরকার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় সংলাপ করে মতামত নিতে পারে। এরপর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ নিয়ে সরকারের কোনো টালবাহানা চলবে না।

গণ–অবস্থান কর্মসূচিতে রাশেদ আরও বলেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে, গত ৯ মাসে ব্যবস্থা নিলে আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারত না। আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দিতে না পারলে তারা ফিরে এসে বিপ্লবীদের শিক্ষা দেবে।

বিপ্লবীদের মধ্যে ঐক্য দরকার উল্লেখ করে রাশেদ বলেন, ঐক্য না থাকলে গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।

দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।

নুর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বেশির ভাগ সদস্য জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করেন না। তাঁরা এখন আওয়ামী লীগকে তোষণ করা শুরু করেছেন। গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে বেইমানি করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার দাবি জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত