আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে তারা আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন। তবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে সরকার, সংসদ ও রাজনৈতিক দলে একই ব্যক্তির প্রধান থাকাটাকে কোনো সমস্যা মনে করছে না দলটি।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের গতকালের বৈঠকে একটি মৌলিক বিতর্ক উঠে এসেছে: একই ব্যক্তি কি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা?
এ ক্ষেত্রের বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, একই ব্যক্তি এই তিন পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে নয় বিএনপি। তাঁদের যুক্তি হলো, এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবে কি না, এটাতে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে না আমরা। কারণ এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিএনপি মনে করে, দলীয় প্রধানই যে প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন কোনো কথা নেই; কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় ঠিক হবে। তিনি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন, যা সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। বিএনপির মতে, শুধু দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার পরিপন্থী।
এর বিপরীতে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না। তাঁকে যে কোনো একটিতে থাকতে হবে এবং তিনটি পদে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকবেন। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন রোধ করে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ তৈরি করা।
স্পষ্টত, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের এই মতভিন্নতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দলীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে, যদিও দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দলের অভ্যন্তরে কীভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা করবে সে ব্যাপারে কখনোই সুস্পষ্ট রূপরেখা জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি কার্যত পরিবার কেন্দ্রিক চক্রেই আটকে আছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশন ও অন্যান্য পক্ষ ক্ষমতার সুষম বণ্টন এবং নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। ঐকমত্য কমিশন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো দলগুলো সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি না হওয়ার পেছনে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে তা এ রকম—
একজন ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে ধারণ করলে, দল এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠা ব্যাহত হয়। এটি অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের উঠে আসার এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগকে সীমিত করে।
ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দলীয় আদর্শকে রাষ্ট্রের কাঠামো এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যার মধ্যে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অন্তর্ভুক্ত, অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি দল ও রাষ্ট্রের মধ্যেকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে দেয়, এতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বিপন্ন হয়।
অন্যান্য দলীয় সদস্যদের নেতৃত্ব পদে, যার মধ্যে সংসদীয় পদও অন্তর্ভুক্ত, আকাঙ্ক্ষা করা এবং অর্জন করার সুযোগকে সীমিত করে, কারণ মনোনয়ন প্রায়শই সেই একক ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে আসে।
একক ব্যক্তিকে ‘বিকল্পহীন’ ভাবার সংস্কৃতি ভাঙতে তিন পদ পৃথক করার উদ্যোগ সহায়ক হতে পারে। বর্তমান নেতার কোনো বিকল্প নেই এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এটি একটি আরও গতিশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে।
একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কেন্দ্রীভূত করে এবং দলের মধ্যে ভিন্নমত বা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সীমিত করে অভ্যন্তরীণ দলীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে।
যখন দলীয় প্রধান একই সঙ্গে সরকার প্রধান হন, তখন দলীয় আনুগত্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে তাদের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং সুশাসন ও আইনের শাসনের নীতিগুলোকে দুর্বল করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নতুন রূপরেখা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই ব্যবস্থা বাতিল হলেও, এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখছে। তাঁরা আশা করেন, আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন এই বিষয়টি আদালতের রায়ের মাধ্যমেই আবার চালু হবে। তবে, সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, আদালতের রায়ে যদি ব্যবস্থা পুনর্বহাল না-ও হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার।
আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যের বিষয় হলো, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখতে হবে। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং দলগুলোকে আগামী মঙ্গলবার মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগে একটি নতুন রূপরেখা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এই কমিটি বিভিন্ন দল বা জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম আহ্বান করতে পারবে এবং শর্টলিস্ট করার পর প্রয়োজনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।
প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আরও ৩০ দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর মতোই হবে, তবে সীমিত পরিসরে—রুটিন দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকবে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে তারা আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন। তবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে সরকার, সংসদ ও রাজনৈতিক দলে একই ব্যক্তির প্রধান থাকাটাকে কোনো সমস্যা মনে করছে না দলটি।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের গতকালের বৈঠকে একটি মৌলিক বিতর্ক উঠে এসেছে: একই ব্যক্তি কি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা?
এ ক্ষেত্রের বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, একই ব্যক্তি এই তিন পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে নয় বিএনপি। তাঁদের যুক্তি হলো, এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবে কি না, এটাতে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে না আমরা। কারণ এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিএনপি মনে করে, দলীয় প্রধানই যে প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন কোনো কথা নেই; কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় ঠিক হবে। তিনি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন, যা সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। বিএনপির মতে, শুধু দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার পরিপন্থী।
এর বিপরীতে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না। তাঁকে যে কোনো একটিতে থাকতে হবে এবং তিনটি পদে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকবেন। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন রোধ করে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ তৈরি করা।
স্পষ্টত, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের এই মতভিন্নতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দলীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে, যদিও দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দলের অভ্যন্তরে কীভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা করবে সে ব্যাপারে কখনোই সুস্পষ্ট রূপরেখা জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি কার্যত পরিবার কেন্দ্রিক চক্রেই আটকে আছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশন ও অন্যান্য পক্ষ ক্ষমতার সুষম বণ্টন এবং নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। ঐকমত্য কমিশন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো দলগুলো সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি না হওয়ার পেছনে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে তা এ রকম—
একজন ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে ধারণ করলে, দল এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠা ব্যাহত হয়। এটি অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের উঠে আসার এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগকে সীমিত করে।
ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দলীয় আদর্শকে রাষ্ট্রের কাঠামো এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যার মধ্যে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অন্তর্ভুক্ত, অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি দল ও রাষ্ট্রের মধ্যেকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে দেয়, এতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বিপন্ন হয়।
অন্যান্য দলীয় সদস্যদের নেতৃত্ব পদে, যার মধ্যে সংসদীয় পদও অন্তর্ভুক্ত, আকাঙ্ক্ষা করা এবং অর্জন করার সুযোগকে সীমিত করে, কারণ মনোনয়ন প্রায়শই সেই একক ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে আসে।
একক ব্যক্তিকে ‘বিকল্পহীন’ ভাবার সংস্কৃতি ভাঙতে তিন পদ পৃথক করার উদ্যোগ সহায়ক হতে পারে। বর্তমান নেতার কোনো বিকল্প নেই এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এটি একটি আরও গতিশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে।
একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কেন্দ্রীভূত করে এবং দলের মধ্যে ভিন্নমত বা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সীমিত করে অভ্যন্তরীণ দলীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে।
যখন দলীয় প্রধান একই সঙ্গে সরকার প্রধান হন, তখন দলীয় আনুগত্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে তাদের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং সুশাসন ও আইনের শাসনের নীতিগুলোকে দুর্বল করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নতুন রূপরেখা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই ব্যবস্থা বাতিল হলেও, এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখছে। তাঁরা আশা করেন, আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন এই বিষয়টি আদালতের রায়ের মাধ্যমেই আবার চালু হবে। তবে, সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, আদালতের রায়ে যদি ব্যবস্থা পুনর্বহাল না-ও হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার।
আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যের বিষয় হলো, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখতে হবে। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং দলগুলোকে আগামী মঙ্গলবার মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগে একটি নতুন রূপরেখা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এই কমিটি বিভিন্ন দল বা জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম আহ্বান করতে পারবে এবং শর্টলিস্ট করার পর প্রয়োজনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।
প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আরও ৩০ দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর মতোই হবে, তবে সীমিত পরিসরে—রুটিন দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে তারা আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন। তবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে সরকার, সংসদ ও রাজনৈতিক দলে একই ব্যক্তির প্রধান থাকাটাকে কোনো সমস্যা মনে করছে না দলটি।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের গতকালের বৈঠকে একটি মৌলিক বিতর্ক উঠে এসেছে: একই ব্যক্তি কি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা?
এ ক্ষেত্রের বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, একই ব্যক্তি এই তিন পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে নয় বিএনপি। তাঁদের যুক্তি হলো, এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবে কি না, এটাতে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে না আমরা। কারণ এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিএনপি মনে করে, দলীয় প্রধানই যে প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন কোনো কথা নেই; কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় ঠিক হবে। তিনি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন, যা সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। বিএনপির মতে, শুধু দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার পরিপন্থী।
এর বিপরীতে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না। তাঁকে যে কোনো একটিতে থাকতে হবে এবং তিনটি পদে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকবেন। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন রোধ করে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ তৈরি করা।
স্পষ্টত, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের এই মতভিন্নতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দলীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে, যদিও দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দলের অভ্যন্তরে কীভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা করবে সে ব্যাপারে কখনোই সুস্পষ্ট রূপরেখা জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি কার্যত পরিবার কেন্দ্রিক চক্রেই আটকে আছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশন ও অন্যান্য পক্ষ ক্ষমতার সুষম বণ্টন এবং নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। ঐকমত্য কমিশন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো দলগুলো সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি না হওয়ার পেছনে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে তা এ রকম—
একজন ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে ধারণ করলে, দল এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠা ব্যাহত হয়। এটি অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের উঠে আসার এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগকে সীমিত করে।
ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দলীয় আদর্শকে রাষ্ট্রের কাঠামো এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যার মধ্যে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অন্তর্ভুক্ত, অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি দল ও রাষ্ট্রের মধ্যেকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে দেয়, এতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বিপন্ন হয়।
অন্যান্য দলীয় সদস্যদের নেতৃত্ব পদে, যার মধ্যে সংসদীয় পদও অন্তর্ভুক্ত, আকাঙ্ক্ষা করা এবং অর্জন করার সুযোগকে সীমিত করে, কারণ মনোনয়ন প্রায়শই সেই একক ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে আসে।
একক ব্যক্তিকে ‘বিকল্পহীন’ ভাবার সংস্কৃতি ভাঙতে তিন পদ পৃথক করার উদ্যোগ সহায়ক হতে পারে। বর্তমান নেতার কোনো বিকল্প নেই এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এটি একটি আরও গতিশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে।
একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কেন্দ্রীভূত করে এবং দলের মধ্যে ভিন্নমত বা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সীমিত করে অভ্যন্তরীণ দলীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে।
যখন দলীয় প্রধান একই সঙ্গে সরকার প্রধান হন, তখন দলীয় আনুগত্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে তাদের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং সুশাসন ও আইনের শাসনের নীতিগুলোকে দুর্বল করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নতুন রূপরেখা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই ব্যবস্থা বাতিল হলেও, এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখছে। তাঁরা আশা করেন, আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন এই বিষয়টি আদালতের রায়ের মাধ্যমেই আবার চালু হবে। তবে, সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, আদালতের রায়ে যদি ব্যবস্থা পুনর্বহাল না-ও হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার।
আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যের বিষয় হলো, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখতে হবে। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং দলগুলোকে আগামী মঙ্গলবার মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগে একটি নতুন রূপরেখা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এই কমিটি বিভিন্ন দল বা জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম আহ্বান করতে পারবে এবং শর্টলিস্ট করার পর প্রয়োজনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।
প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আরও ৩০ দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর মতোই হবে, তবে সীমিত পরিসরে—রুটিন দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকবে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে। ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি স্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে তারা আদালতের ওপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন। তবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিশেষ করে সরকার, সংসদ ও রাজনৈতিক দলে একই ব্যক্তির প্রধান থাকাটাকে কোনো সমস্যা মনে করছে না দলটি।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের গতকালের বৈঠকে একটি মৌলিক বিতর্ক উঠে এসেছে: একই ব্যক্তি কি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একসঙ্গে থাকতে পারবেন কিনা?
এ ক্ষেত্রের বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, একই ব্যক্তি এই তিন পদে থাকতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে নয় বিএনপি। তাঁদের যুক্তি হলো, এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তিনি বলেন, ‘একই ব্যক্তি তিন পদে থাকতে পারবে কি না, এটাতে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখার পক্ষে না আমরা। কারণ এটি একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
সালাহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিএনপি মনে করে, দলীয় প্রধানই যে প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন কোনো কথা নেই; কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় ঠিক হবে। তিনি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও দলের প্রধান ব্যক্তিই প্রধানমন্ত্রী হন, যা সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। বিএনপির মতে, শুধু দলীয় প্রধান হওয়ার কারণে কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা গণতন্ত্রবিরোধী এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার পরিপন্থী।
এর বিপরীতে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হতে পারবেন না। তাঁকে যে কোনো একটিতে থাকতে হবে এবং তিনটি পদে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকবেন। এই প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো, ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন রোধ করে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ তৈরি করা।
স্পষ্টত, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব ও দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের এই মতভিন্নতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং দলীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর প্রশ্ন উত্থাপন করে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে, যদিও দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দলের অভ্যন্তরে কীভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা করবে সে ব্যাপারে কখনোই সুস্পষ্ট রূপরেখা জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি কার্যত পরিবার কেন্দ্রিক চক্রেই আটকে আছে বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।
এ ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশন ও অন্যান্য পক্ষ ক্ষমতার সুষম বণ্টন এবং নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। ঐকমত্য কমিশন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মতো দলগুলো সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) এবং দলীয় প্রধান একই ব্যক্তি না হওয়ার পেছনে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরেছে তা এ রকম—
একজন ব্যক্তি দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ একসঙ্গে ধারণ করলে, দল এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে ওঠা ব্যাহত হয়। এটি অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের উঠে আসার এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগকে সীমিত করে।
ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন দলীয় আদর্শকে রাষ্ট্রের কাঠামো এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে, যার মধ্যে বিচার বিভাগ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা অন্তর্ভুক্ত, অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি দল ও রাষ্ট্রের মধ্যেকার সীমারেখাকে অস্পষ্ট করে দেয়, এতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা বিপন্ন হয়।
অন্যান্য দলীয় সদস্যদের নেতৃত্ব পদে, যার মধ্যে সংসদীয় পদও অন্তর্ভুক্ত, আকাঙ্ক্ষা করা এবং অর্জন করার সুযোগকে সীমিত করে, কারণ মনোনয়ন প্রায়শই সেই একক ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছ থেকে আসে।
একক ব্যক্তিকে ‘বিকল্পহীন’ ভাবার সংস্কৃতি ভাঙতে তিন পদ পৃথক করার উদ্যোগ সহায়ক হতে পারে। বর্তমান নেতার কোনো বিকল্প নেই এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এটি একটি আরও গতিশীল এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে।
একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণকে কেন্দ্রীভূত করে এবং দলের মধ্যে ভিন্নমত বা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে সীমিত করে অভ্যন্তরীণ দলীয় গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে পারে।
যখন দলীয় প্রধান একই সঙ্গে সরকার প্রধান হন, তখন দলীয় আনুগত্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে তাদের নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং সুশাসন ও আইনের শাসনের নীতিগুলোকে দুর্বল করে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নতুন রূপরেখা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দীর্ঘদিনের বিতর্কিত বিষয়। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এই ব্যবস্থা বাতিল হলেও, এর পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখছে। তাঁরা আশা করেন, আপিল বিভাগের রিভিউ পর্যায়ে বিচারাধীন এই বিষয়টি আদালতের রায়ের মাধ্যমেই আবার চালু হবে। তবে, সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, আদালতের রায়ে যদি ব্যবস্থা পুনর্বহাল না-ও হয়, সে ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদেরও সম্পূর্ণ এখতিয়ার রয়েছে নতুন করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার।
আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যের বিষয় হলো, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখতে হবে। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি ঐকমত্য রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এই বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং দলগুলোকে আগামী মঙ্গলবার মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগে একটি নতুন রূপরেখা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় হুইপ এবং তৃতীয় বৃহত্তম দলের একজন প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এই কমিটি বিভিন্ন দল বা জনগণের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নাম আহ্বান করতে পারবে এবং শর্টলিস্ট করার পর প্রয়োজনে র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা হবে।
প্রস্তাবিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০ দিনের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে এবং জরুরি পরিস্থিতিতে আরও ৩০ দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হলে প্রধান উপদেষ্টার ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর মতোই হবে, তবে সীমিত পরিসরে—রুটিন দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনের জন্য এনসিপি মনোনীত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘যাঁরা নতুন করে রাজনীতি করতে চান, বাংলাদেশটাকে নতুন করে গড়তে চান—আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা সব জেলায়, সব আসনে সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব দেখতে চাই।’
ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সারা দেশে জুলাই সনদের পক্ষে জনমত তৈরি করেছি, বিচারের জন্য কথা বলে যাচ্ছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শাপলা কলি মার্কায় ইনশা আল্লাহ আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আপনার-আমার সবার দল।’

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার অনিবার্য পরিণতি: নভেম্বর, ১৯৭৫’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি চাঁদাবাজি, মাস্তানি এত বেশি করেছে, এগুলো ক্ষমার অযোগ্য। এগুলোর জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। আর ২০০১ থেকে ২০০৬-এ তারা যে দুর্নীতি করেছিল, শেখ হাসিনা এত আকাম করেছে যে, বিএনপির দুর্নীতি ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। বিএনপির মৃত্যুঘণ্টা বেজে গেছে। লন্ডনের চুক্তি অনুযায়ী দলটি ক্ষমতায় এলে এনসিপির মাধ্যমে তাদের পতন নিশ্চিত হবে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপি শুধু দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। খালেদা জিয়ার পাশে দুর্নীতিবাজরা ছিল। এবারের প্রার্থী তালিকায় যারা জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই বলছে, তাদের অবস্থানে আমরা হতাশ।’
পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘যদি বিএনপি সংস্কার বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে, তবে এনসিপি কিছু সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে।’
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন লাকি ম্যান ছিলেন, ক্ষমতা না চাইতে হলেও পেয়ে গেছেন। উনার কিছু ক্যারিশমেটিক জায়গা ছিল, সে জায়গা থেকে উনি অর্থনৈতিক কিছু উন্নয়নের জায়গায় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু পলিটিক্যাল জায়গায় জিয়াউর রহমান ব্যর্থ ছিলেন। ওই সময় একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশটাকে নতুন করে পুনর্গঠন করার। উনি রাজনীতিকে যতটুকু পুনর্গঠন করবেন, তা করেননি। অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেছেন। অর্থনৈতিক উনার অনেক সফলতা রয়েছে। রাজনৈতিক পুনর্গঠনের কিছু চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু উনি সফল হন নাই।’
আলোচনা সভায় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা পঁচাত্তরের যে ঘটনাপ্রবাহ দেখি, মুক্তিযুদ্ধের পর একটি ঘটনাপ্রবাহ দেখি, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ভার যেমন আওয়ামী লীগের এবং বর্তমান বাংলাদেশের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার দায়ভারও বিএনপির ওপর বর্তায়।’
এনসিপির নিবন্ধনের খবরে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এনসিপি নিবন্ধন পাবে কি না; জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে কি নাই, সে বিষয় নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কটাক্ষ করেছে। কিন্তু আমরা দিন শেষে দেখিয়ে দিয়েছি যে, বাংলাদেশের জনগণ এনসিপির সঙ্গে আছে এবং জনগণ এনসিপিকে সামনের নির্বাচনে সে সমর্থন ব্যক্ত করবে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর রাষ্ট্র গঠনের ব্যর্থতার পেছনে শেখ মুজিবের বিভক্তির রাজনীতি অন্যতম কারণ। আওয়ামী লীগের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, নিজেদের দলের ইতিহাসও সঠিকভাবে লেখানো সম্ভব নয়।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন, জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া প্রকাশিত ছবিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির আরও কয়েকজন নেতাকে দেখা গেছে।

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও
৫ ঘণ্টা আগেশিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

কামাল জামান নুরুদ্দিন মোল্লা। গতকাল সোমবার মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। এরপরই আনন্দ মিছিল নিয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান নেতা-কর্মীরা। কেউ নিয়ে আসেন ফুলের তোড়া, আবার কেউ মিষ্টির হাঁড়ি। তবে তখন সমর্থকদের সংযত হওয়ার অনুরোধ জানান কামাল জামান। বিরত থাকতে বলেন মিষ্টি বিতরণ থেকে। এরপরও কিছু নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থানে মানুষকে মিষ্টিমুখ করান। আজ মঙ্গলবার বিএনপি তাঁর মনোনয়ন স্থগিত করেছে।
গতকাল বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনেও মনোনয়নপ্রাপ্ত কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।
এরপর সন্ধ্যায় মনোনয়নবঞ্চিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থিত লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল সে সময়।
এ ঘটনার পর আজ সন্ধ্যায় মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণবশত, ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।’
কামাল জামান মোল্লা ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত রাখার বিষয়টি আমরা জেনেছি। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। এ বিষয়ে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে কামাল জামান বলেন, ‘আমাদের আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের উল্লাস করা যাবে না। সরাসরি ভোটারদের দ্বারে যেতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে আমরা আনন্দ মিছিল করব। এর আগে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিবচরে সকল মানুষকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বিতীয় ধাপের ১৫ তম দিনের বৈঠকে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২১ জুলাই ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সারা দেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম হচ্ছে। এ মাসের মধ্যে আমরা আমাদের প্রার্থিতার তালিকা চূড়ান্ত করব। শাপলা কলি প্রতীকে বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে আমরা যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক প্রার্থী দেব।’
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সরকার গঠন করলে বিএনপির দুর্নীতির বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সরকার গঠন করি ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত যে দুর্নীতি করেছিল, সেগুলোর বিচার করব। বাংলাদেশে কেউ অপরাধ করে ছাড় পাবে—এ মন-মানসিকতায় আমরা নেই।’
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিএনপি মিডিয়া সেলের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে