সৌভিক রেজা
জার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়। একটা দিক বর্ধিত হবে আর অন্যদিক স্থির থাকবে, এটা সম্ভব নয় মানুষের পক্ষে।’ তিনি এটিও আমাদের জানিয়েছিলেন, ‘এমনকি সত্যকেও নতুন যুগে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার জন্য নতুন পোশাক পরতে হয়।’ কথাগুলোর সঙ্গে অনেকেই হয়তো একমত হবেন, কিন্তু বাস্তবে মেনে নেবেন, এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে খুব বেশি নেই। বেশি নেই বলেই সম্ভবত যতই দিন যাচ্ছে, ততই দেখছি সরদার ফজলুল করিম এবং তাঁর চিন্তাচেতনা আমাদের সমাজের-রাষ্ট্রের-ব্যক্তির জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
তাঁর আদর্শের প্রাসঙ্গিকতার সূত্র ধরে এগোতে যদি চাই, তাহলে প্রথমেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংকট নিয়ে কথা বলতে হয়। বামপন্থী দর্শনে ও রাজনীতিতে আমৃত্যু বিশ্বাসী সরদার ফজলুল করিম দৃঢ়ভাবেই মনে করতেন যে একটি টেকসই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিটাই হচ্ছে ‘সহনশীলতা’। ফরাসি দার্শনিক রুশোকে সাক্ষী মেনে তিনি সেই সঙ্গে ব্যক্তির স্বাধীনতার কথাও বলতে চেয়েছেন। কিন্তু তার আগে যেটি তাঁর বিভিন্ন রচনার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে—গণতন্ত্র ও সহনশীলতা সমার্থক। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ‘সহনশীলতা বাদে গণতন্ত্র হয় না। এবং গণতন্ত্র বাদে সহনশীলতার দৃষ্টান্ত নেই।’ এটি আমাদের জানা আছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই। কেন নেই—তার উত্তর দিতে গিয়ে সরদার ফজলুল করিম বলেছেন, ‘আমরা আদতে সেই মানুষ, যে-মানুষ প্রতিনিয়ত ভুল করে চলেছে।’
একটা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জনগণের এই যে ‘অধরা’ থেকে যাওয়া, তার দায়টা তো আমাদের ওপরই বর্তায়। নিজের-নিজের মতাদর্শের নেতৃত্বকে মহান বানিয়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই এবং সেই বিশ্বাসটাকে অপরের ওপর চাপিয়েও দিতে চাই যে আমাদের নেতাই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কেউ আবার মনে করেন যে তাঁদের নেতা দেশবাসীকে গণতন্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু এটি আমরা প্রায়ই ভুলে থাকি যে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র কখনোই কারও দয়ার দান বা উপহার হতে পারে না। এইগুলো একটি জনপদের মানুষের সম্মিলিত সংগ্রামের মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে। তিনি তাঁর যৌক্তিক অবস্থান থেকেই সে-কারণে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটি ঘটেনি যে কোনো সামরিক নেতা দেশকে গণতন্ত্র দিয়েছেন।...এখানে গণতন্ত্রকে ব্যক্তিবিশেষের দান হিসেবে দেখার এবং দেখাবার প্রয়াস রয়েছে।’ তাই তো তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, গণতন্ত্র ব্যক্তির দান হিসেবে আসতে পারে না। ব্যক্তির দান হিসেবে আসে স্বৈরতন্ত্র, গণতন্ত্র নয়। একেবারে স্পষ্ট করেই তিনি এটিও জানিয়েছিলেন যে গণতন্ত্র কোনো দ্রব্য নয়, যা ব্যক্তি, সে ব্যক্তি যতই বিরাট, ধনী বা ক্ষমতাবান হোক, দান করতে পারে। তাহলে ‘গণতন্ত্র’ কী? সরদার ফজলুল করিমের মতে, ‘গণতন্ত্র একটি জীবনপ্রণালি...জনসাধারণের অধিকারবোধ এবং সচেতন চেষ্টার মাধ্যমেই যার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’ সেই সঙ্গে তিনি আমাদের এটিও জানিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন যে, ‘প্রতিষ্ঠানের ওপরে ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির ওপরেই প্রতিষ্ঠান’ এবং ব্যক্তির ভরসা কোনো ‘অতিপুরুষ নয়, ব্যক্তি তথা মানুষের ভরসা তাদের যৌথ-শক্তির সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান।’
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি সরদার ফজলুল করিম ছিলেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে বিশ্বাসী একজন মানুষ। তাঁর কাছে ‘গণতন্ত্র’ ছিল ‘রাজনৈতিক সুশাসনের অপরিহার্য আদর্শ।’ এর পাশাপাশি ‘সমাজতন্ত্র’কে তিনি ‘সমাজের ন্যায়সংগত ও সংগতিপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ হিসেবে দেখেছেন। পাশাপাশি এটিও কখনো ভোলেননি যে সমাজতন্ত্র কিন্তু ‘মরণচাঁদের রসগোল্লা’ নয়; সমাজতন্ত্র সমাজের উৎপাদনের উপায়হীন মানুষের রক্ত শোষণকারী অবাঞ্ছিত কৃমি-কীটের ওষুধবিশেষ। তিনি খুব সহজ ভাষায় লিখেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র মিষ্টি নয়; সমাজতন্ত্র তিক্ত চিরতার পানি (এ-কারণে রোগী সমাজতন্ত্রকে খেতেও চায় না, না খেয়েও পারে না)।’ এই প্রসঙ্গে আমাদের মনে পড়ে সেই ১৯০৩ সালে কমরেড লেনিন বলেছিলেন, ‘বিবেচক মাত্রেই বুঝবেন যে সমাজতন্ত্র অবিলম্বেই অর্জন করা যায় না। তার জন্য সমগ্র বুর্জোয়া এবং সমস্ত রকম সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সংগ্রাম দরকার, তার জন্য দরকার সারা রাশিয়ার সমস্ত শ্রমিকের সঙ্গে গাঁয়ের সকল গরিবের দৃঢ়, অটুট জোট। এ একটা মহৎ কাজ এবং সে কাজের জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করাটাও বাঞ্ছনীয়।’ এই শিক্ষাকে শিরোধার্য করেছিলেন সরদার ফজলুল করিম।
জীবনের নানান চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও তিনি নির্যাতিত সংগ্রামী মানুষের ওপর কখনো আস্থা হারাননি। সেই আস্থায় ভর দিয়ে তিনি বিশ্বাস করতেন—‘বিপ্লব আসবে। আমার বোধ: বিপ্লব এসেছে। বিপ্লবের মধ্যে আমরা বাস করছি।’ ১ মে দুনিয়ার শ্রমিকশ্রেণির জন্য এক মহান দিন; সেই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন সরদার ফজলুল করিম। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।
সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়। একটা দিক বর্ধিত হবে আর অন্যদিক স্থির থাকবে, এটা সম্ভব নয় মানুষের পক্ষে।’ তিনি এটিও আমাদের জানিয়েছিলেন, ‘এমনকি সত্যকেও নতুন যুগে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার জন্য নতুন পোশাক পরতে হয়।’ কথাগুলোর সঙ্গে অনেকেই হয়তো একমত হবেন, কিন্তু বাস্তবে মেনে নেবেন, এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে খুব বেশি নেই। বেশি নেই বলেই সম্ভবত যতই দিন যাচ্ছে, ততই দেখছি সরদার ফজলুল করিম এবং তাঁর চিন্তাচেতনা আমাদের সমাজের-রাষ্ট্রের-ব্যক্তির জন্য আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।
তাঁর আদর্শের প্রাসঙ্গিকতার সূত্র ধরে এগোতে যদি চাই, তাহলে প্রথমেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংকট নিয়ে কথা বলতে হয়। বামপন্থী দর্শনে ও রাজনীতিতে আমৃত্যু বিশ্বাসী সরদার ফজলুল করিম দৃঢ়ভাবেই মনে করতেন যে একটি টেকসই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিটাই হচ্ছে ‘সহনশীলতা’। ফরাসি দার্শনিক রুশোকে সাক্ষী মেনে তিনি সেই সঙ্গে ব্যক্তির স্বাধীনতার কথাও বলতে চেয়েছেন। কিন্তু তার আগে যেটি তাঁর বিভিন্ন রচনার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে—গণতন্ত্র ও সহনশীলতা সমার্থক। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ‘সহনশীলতা বাদে গণতন্ত্র হয় না। এবং গণতন্ত্র বাদে সহনশীলতার দৃষ্টান্ত নেই।’ এটি আমাদের জানা আছে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই। কেন নেই—তার উত্তর দিতে গিয়ে সরদার ফজলুল করিম বলেছেন, ‘আমরা আদতে সেই মানুষ, যে-মানুষ প্রতিনিয়ত ভুল করে চলেছে।’
একটা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা জনগণের এই যে ‘অধরা’ থেকে যাওয়া, তার দায়টা তো আমাদের ওপরই বর্তায়। নিজের-নিজের মতাদর্শের নেতৃত্বকে মহান বানিয়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা বিশ্বাস করতে চাই এবং সেই বিশ্বাসটাকে অপরের ওপর চাপিয়েও দিতে চাই যে আমাদের নেতাই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। কেউ আবার মনে করেন যে তাঁদের নেতা দেশবাসীকে গণতন্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু এটি আমরা প্রায়ই ভুলে থাকি যে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র কখনোই কারও দয়ার দান বা উপহার হতে পারে না। এইগুলো একটি জনপদের মানুষের সম্মিলিত সংগ্রামের মাধ্যমেই অর্জিত হয়েছে। তিনি তাঁর যৌক্তিক অবস্থান থেকেই সে-কারণে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এমনটি ঘটেনি যে কোনো সামরিক নেতা দেশকে গণতন্ত্র দিয়েছেন।...এখানে গণতন্ত্রকে ব্যক্তিবিশেষের দান হিসেবে দেখার এবং দেখাবার প্রয়াস রয়েছে।’ তাই তো তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, গণতন্ত্র ব্যক্তির দান হিসেবে আসতে পারে না। ব্যক্তির দান হিসেবে আসে স্বৈরতন্ত্র, গণতন্ত্র নয়। একেবারে স্পষ্ট করেই তিনি এটিও জানিয়েছিলেন যে গণতন্ত্র কোনো দ্রব্য নয়, যা ব্যক্তি, সে ব্যক্তি যতই বিরাট, ধনী বা ক্ষমতাবান হোক, দান করতে পারে। তাহলে ‘গণতন্ত্র’ কী? সরদার ফজলুল করিমের মতে, ‘গণতন্ত্র একটি জীবনপ্রণালি...জনসাধারণের অধিকারবোধ এবং সচেতন চেষ্টার মাধ্যমেই যার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’ সেই সঙ্গে তিনি আমাদের এটিও জানিয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন যে, ‘প্রতিষ্ঠানের ওপরে ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির ওপরেই প্রতিষ্ঠান’ এবং ব্যক্তির ভরসা কোনো ‘অতিপুরুষ নয়, ব্যক্তি তথা মানুষের ভরসা তাদের যৌথ-শক্তির সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান।’
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি সরদার ফজলুল করিম ছিলেন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে বিশ্বাসী একজন মানুষ। তাঁর কাছে ‘গণতন্ত্র’ ছিল ‘রাজনৈতিক সুশাসনের অপরিহার্য আদর্শ।’ এর পাশাপাশি ‘সমাজতন্ত্র’কে তিনি ‘সমাজের ন্যায়সংগত ও সংগতিপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ হিসেবে দেখেছেন। পাশাপাশি এটিও কখনো ভোলেননি যে সমাজতন্ত্র কিন্তু ‘মরণচাঁদের রসগোল্লা’ নয়; সমাজতন্ত্র সমাজের উৎপাদনের উপায়হীন মানুষের রক্ত শোষণকারী অবাঞ্ছিত কৃমি-কীটের ওষুধবিশেষ। তিনি খুব সহজ ভাষায় লিখেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র মিষ্টি নয়; সমাজতন্ত্র তিক্ত চিরতার পানি (এ-কারণে রোগী সমাজতন্ত্রকে খেতেও চায় না, না খেয়েও পারে না)।’ এই প্রসঙ্গে আমাদের মনে পড়ে সেই ১৯০৩ সালে কমরেড লেনিন বলেছিলেন, ‘বিবেচক মাত্রেই বুঝবেন যে সমাজতন্ত্র অবিলম্বেই অর্জন করা যায় না। তার জন্য সমগ্র বুর্জোয়া এবং সমস্ত রকম সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সংগ্রাম দরকার, তার জন্য দরকার সারা রাশিয়ার সমস্ত শ্রমিকের সঙ্গে গাঁয়ের সকল গরিবের দৃঢ়, অটুট জোট। এ একটা মহৎ কাজ এবং সে কাজের জন্য সারা জীবন উৎসর্গ করাটাও বাঞ্ছনীয়।’ এই শিক্ষাকে শিরোধার্য করেছিলেন সরদার ফজলুল করিম।
জীবনের নানান চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও তিনি নির্যাতিত সংগ্রামী মানুষের ওপর কখনো আস্থা হারাননি। সেই আস্থায় ভর দিয়ে তিনি বিশ্বাস করতেন—‘বিপ্লব আসবে। আমার বোধ: বিপ্লব এসেছে। বিপ্লবের মধ্যে আমরা বাস করছি।’ ১ মে দুনিয়ার শ্রমিকশ্রেণির জন্য এক মহান দিন; সেই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন সরদার ফজলুল করিম। তাঁর স্মৃতির প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই।
সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্ক্সবাদী চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে শুরু হওয়া ‘জাতীয় ঐকমত্য’ প্রক্রিয়া তার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে, প্রক্রিয়ার শুরুর জায়গাটিই ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। একদিকে রয়েছে ১৬৬টি প্রস্তাব, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমতের পাহাড়।
২ ঘণ্টা আগেলেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
১ দিন আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
১ দিন আগে