তাপস মজুমদার
ধর্ষণ বন্ধ হবে কী করে? বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধর্ষণকে ‘না’ বলে না। বহু অভিযোগ বিচারে না এনে উঠিয়ে নিতে বলা হয়। এখানে নারীদের ওপর নির্যাতন প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। তা নিয়ে উপহাস, ট্রল হয়। কিন্তু যথাসময়ে সসম্মান বিচার হয় না। এ-সংক্রান্ত একটি উদাহরণ লেখার শেষে দেব। এখন ছাত্রছাত্রীরা যে অগ্নিধারায় ফুঁসে উঠেছেন, তা তো এই প্রথমবার নয়। মাগুরার আট বছরের শিশু ধর্ষণ কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার—সবই তো একই সূত্রে গাথা। মাগুরার শিশুটি মরে গিয়ে বেঁচে গেল হয়তো। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মেয়েটি মামলা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হলো, তাঁর কী হবে কে জানে!
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা বললেন, ১৫ দিনে তদন্ত হবে, ৯০ দিনে হবে ধর্ষণের বিচার। বর্তমান আইনে লেখা আছে ৩০ দিনে তদন্ত হবে, ১৮০ দিনে হবে বিচার। এই পরিবর্তনে কী আসে-যায়? সময় অর্ধেক কমিয়ে আনলে সত্যিকার অর্থেই কি কোনো লাভ হবে? নাকি এটা একটা ‘আইওয়াশ’?
৩০ দিনে যদি তদন্ত সম্পন্ন না হয় তাহলে ১৫ দিনে কী করে হবে? ১৮০ দিনে যদি বিচার শেষ না হয় তাহলে ৯০ দিনে তা কী করে হবে? এটা উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটা আপৎকালীন এবং চিরাচরিত পন্থা বলেই মনে হয়। একসময় তো ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২০২০-২১ সালের দিকে ধর্ষণের একাধিক নৃশংস ঘটনায় শেষ পর্যন্ত জনতার আন্দোলনের ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার বিধান রেখে আইন পাস করা হয়। তাতে কি আট বছরের ওই শিশুর মতো মেয়েরা বাঁচে? তাতে কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অথবা পথেঘাটে নারীর প্রতি সহিংসতা কিছুমাত্র হ্রাস পায়? কিছুদিন হয়তো একটু ঠান্ডা থাকে। তা-ও বাইরে বাইরে।
এ কথা অনস্বীকার্য—সহিংসতা বন্ধে আইনের শাসন যেমন প্রয়োজন, জনগণকে সচেতন করাও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শাস্তি প্রদান করেই ধর্ষণ বা নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে, সে কথা বলার কোনো অবকাশ নেই।
দেখা যায়, ধর্ষণের বিচারের রায় হয় ৮/১০/১৫ বছর পর। সুতরাং তাতে তদন্তে ১৫/৩০ দিন কিংবা বিচারে ৯০/১৮০ দিন কোনো প্রভাব ফেলে না। কিন্তু শাস্তি প্রদান—প্রতিরোধের অন্যতম একটা উপায়। সে ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ কাম্য। যে আইন প্রণয়ন করা হবে, তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দরকার। জবাবদিহিও কাম্য।
সত্যিই যদি ধর্ষককে অথবা নারীর প্রতি নিগ্রহকারীকে শাস্তি দিতে হয় তাহলে:
এক. ধর্ষণের বিচার শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ চার্জ গঠনের পর থেকে আদালতের প্রত্যেকটি কর্মদিবসে ধারাবাহিকভাবে তারিখ ফেলে সাক্ষ্য ও সওয়াল-জবাব সম্পন্ন করে বিচার শেষ করার বিধান চালু করা হোক। ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন দমনসংক্রান্ত আদালত যেন তিন মাস বা ছয় মাস পরে বিচারের পরবর্তী দিন না দেন। পরপর কর্মদিবসে দিন ধার্য করে যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারটি সাক্ষ্য-প্রমাণসহ শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আদালতে ওই মামলা চলতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে মামলার গুরুত্ব বুঝে অগ্রাধিকার প্রদান করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে মাত্র।
দুই. আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যায়—আসামিপক্ষ হাইকোর্ট থেকে বছরের পর বছর স্থগিতাদেশ নিয়ে এসে মামলাকে থামিয়ে রাখছে। যদি কোনো রকম আর্গুমেন্ট ছাড়া অথবা অত্যন্ত গুরুতর কোনো কারণ ছাড়া শুধু আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে বছরের পর বছর উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতে মামলার জট বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক এবং সে ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচার বাধাগ্রস্ত হবেই। বাদীও সুবিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। কথায় বলে ‘জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইড’। সুতরাং উচ্চ আদালত থেকে কোনো মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হলে সে ক্ষেত্রে বাদীপক্ষকে আহ্বান করে উভয় পক্ষের কথা শুনে আদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা উচিত।
২০২০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে কর্মরত একজন উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আসে। যে শিশুটি এই ঘটনার ভিকটিম, পরিণত বয়সে সে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ করে। ভিকটিম দেখায় যে সে শুধু নিজেই আক্রান্ত নয়, বরং অপরাধী লোকটি প্রতারণামূলকভাবে অভিনব কায়দায় অজস্র মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছেন। তৎকালীন প্রশাসন যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে এর তদন্ত করে এবং তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। খবরের কাগজে সেসব খবর আসে। কিন্তু অজানা কারণে সেই ফাইল আর আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত চলা অবস্থায় তাঁকে যে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম রয়েছে, সেটাও প্রতিপালন করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়; সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে টিএসসিসি থেকে তাঁকে অন্যত্র বদলি করা যেত, যেন তিনি মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ না পান, সেটাও করা হয়নি। এ দেশে ধর্ষণ বন্ধ হবে কী করে? আপনারাই বলুন!
পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা হয়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে। সে মামলা চলমান রয়েছে। তবু তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত পর্যন্ত করা হয়নি। এদিকে হাইকোর্ট থেকে বারবার তিনি স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছেন। প্রতিবার এক বছর করে পরপর তিন বছর এই স্থগিত আদেশ জারির ফলে বিচারকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগ তদন্ত হয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে এবং তাঁকে ওইসব সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হেলদোল নেই। আপনি যদি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও ধর্ষক পোষেন, তাহলে আর পাঁচজন ওত পেতে থাকা লোক তো ধর্ষণে উৎসাহিত হবেই। এটা তো খুব স্বাভাবিক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক
ধর্ষণ বন্ধ হবে কী করে? বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধর্ষণকে ‘না’ বলে না। বহু অভিযোগ বিচারে না এনে উঠিয়ে নিতে বলা হয়। এখানে নারীদের ওপর নির্যাতন প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। তা নিয়ে উপহাস, ট্রল হয়। কিন্তু যথাসময়ে সসম্মান বিচার হয় না। এ-সংক্রান্ত একটি উদাহরণ লেখার শেষে দেব। এখন ছাত্রছাত্রীরা যে অগ্নিধারায় ফুঁসে উঠেছেন, তা তো এই প্রথমবার নয়। মাগুরার আট বছরের শিশু ধর্ষণ কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার—সবই তো একই সূত্রে গাথা। মাগুরার শিশুটি মরে গিয়ে বেঁচে গেল হয়তো। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মেয়েটি মামলা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হলো, তাঁর কী হবে কে জানে!
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা বললেন, ১৫ দিনে তদন্ত হবে, ৯০ দিনে হবে ধর্ষণের বিচার। বর্তমান আইনে লেখা আছে ৩০ দিনে তদন্ত হবে, ১৮০ দিনে হবে বিচার। এই পরিবর্তনে কী আসে-যায়? সময় অর্ধেক কমিয়ে আনলে সত্যিকার অর্থেই কি কোনো লাভ হবে? নাকি এটা একটা ‘আইওয়াশ’?
৩০ দিনে যদি তদন্ত সম্পন্ন না হয় তাহলে ১৫ দিনে কী করে হবে? ১৮০ দিনে যদি বিচার শেষ না হয় তাহলে ৯০ দিনে তা কী করে হবে? এটা উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটা আপৎকালীন এবং চিরাচরিত পন্থা বলেই মনে হয়। একসময় তো ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ২০২০-২১ সালের দিকে ধর্ষণের একাধিক নৃশংস ঘটনায় শেষ পর্যন্ত জনতার আন্দোলনের ফলে সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার বিধান রেখে আইন পাস করা হয়। তাতে কি আট বছরের ওই শিশুর মতো মেয়েরা বাঁচে? তাতে কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অথবা পথেঘাটে নারীর প্রতি সহিংসতা কিছুমাত্র হ্রাস পায়? কিছুদিন হয়তো একটু ঠান্ডা থাকে। তা-ও বাইরে বাইরে।
এ কথা অনস্বীকার্য—সহিংসতা বন্ধে আইনের শাসন যেমন প্রয়োজন, জনগণকে সচেতন করাও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শাস্তি প্রদান করেই ধর্ষণ বা নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে, সে কথা বলার কোনো অবকাশ নেই।
দেখা যায়, ধর্ষণের বিচারের রায় হয় ৮/১০/১৫ বছর পর। সুতরাং তাতে তদন্তে ১৫/৩০ দিন কিংবা বিচারে ৯০/১৮০ দিন কোনো প্রভাব ফেলে না। কিন্তু শাস্তি প্রদান—প্রতিরোধের অন্যতম একটা উপায়। সে ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ কাম্য। যে আইন প্রণয়ন করা হবে, তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দরকার। জবাবদিহিও কাম্য।
সত্যিই যদি ধর্ষককে অথবা নারীর প্রতি নিগ্রহকারীকে শাস্তি দিতে হয় তাহলে:
এক. ধর্ষণের বিচার শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ চার্জ গঠনের পর থেকে আদালতের প্রত্যেকটি কর্মদিবসে ধারাবাহিকভাবে তারিখ ফেলে সাক্ষ্য ও সওয়াল-জবাব সম্পন্ন করে বিচার শেষ করার বিধান চালু করা হোক। ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন দমনসংক্রান্ত আদালত যেন তিন মাস বা ছয় মাস পরে বিচারের পরবর্তী দিন না দেন। পরপর কর্মদিবসে দিন ধার্য করে যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারটি সাক্ষ্য-প্রমাণসহ শেষ না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আদালতে ওই মামলা চলতে থাকবে। এ ক্ষেত্রে মামলার গুরুত্ব বুঝে অগ্রাধিকার প্রদান করার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে মাত্র।
দুই. আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যায়—আসামিপক্ষ হাইকোর্ট থেকে বছরের পর বছর স্থগিতাদেশ নিয়ে এসে মামলাকে থামিয়ে রাখছে। যদি কোনো রকম আর্গুমেন্ট ছাড়া অথবা অত্যন্ত গুরুতর কোনো কারণ ছাড়া শুধু আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনে বছরের পর বছর উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতে মামলার জট বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক এবং সে ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচার বাধাগ্রস্ত হবেই। বাদীও সুবিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। কথায় বলে ‘জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইড’। সুতরাং উচ্চ আদালত থেকে কোনো মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হলে সে ক্ষেত্রে বাদীপক্ষকে আহ্বান করে উভয় পক্ষের কথা শুনে আদেশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা উচিত।
২০২০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে কর্মরত একজন উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আসে। যে শিশুটি এই ঘটনার ভিকটিম, পরিণত বয়সে সে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ করে। ভিকটিম দেখায় যে সে শুধু নিজেই আক্রান্ত নয়, বরং অপরাধী লোকটি প্রতারণামূলকভাবে অভিনব কায়দায় অজস্র মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছেন। তৎকালীন প্রশাসন যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে এর তদন্ত করে এবং তদন্তে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। খবরের কাগজে সেসব খবর আসে। কিন্তু অজানা কারণে সেই ফাইল আর আলোর মুখ দেখেনি। এমনকি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত চলা অবস্থায় তাঁকে যে সাময়িক বরখাস্ত করার নিয়ম রয়েছে, সেটাও প্রতিপালন করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়; সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে টিএসসিসি থেকে তাঁকে অন্যত্র বদলি করা যেত, যেন তিনি মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ না পান, সেটাও করা হয়নি। এ দেশে ধর্ষণ বন্ধ হবে কী করে? আপনারাই বলুন!
পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা হয়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়েছে। সে মামলা চলমান রয়েছে। তবু তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত পর্যন্ত করা হয়নি। এদিকে হাইকোর্ট থেকে বারবার তিনি স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছেন। প্রতিবার এক বছর করে পরপর তিন বছর এই স্থগিত আদেশ জারির ফলে বিচারকাজ কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে অভিযোগ হয়েছে। সেই অভিযোগ তদন্ত হয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে এবং তাঁকে ওইসব সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণিত সত্য। কিন্তু তাতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হেলদোল নেই। আপনি যদি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেও ধর্ষক পোষেন, তাহলে আর পাঁচজন ওত পেতে থাকা লোক তো ধর্ষণে উৎসাহিত হবেই। এটা তো খুব স্বাভাবিক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক
সমাজের ধনী গরিব বৈষম্যের দূরত্বটাকে কমিয়ে, সম্পদের অধিকতর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে, একটি সুখী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা সম্পন্ন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে একটি নতুন প্রস্তাবনা পেশ করছি। প্রথমেই বলে রাখি, এই উদ্যোগটি হবে সীমিত আকারের এবং এর সাফল্যের ভিত্তিতে এটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে
২২ মিনিট আগেরাখাইনে মানবিক করিডরের প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একদিকে মানবিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ, অন্যদিকে চরম ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি। মিয়ানমারের জান্তা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ভারত-চীনের প্রতিক্রিয়া না বুঝে করিডর চালু করলে তা ‘প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদে’ পরিণত হতে পারে। ভারতের কালাদান প্রকল্প ও চীনের ২১ বিলিয়ন ডলারের
২ ঘণ্টা আগেসহজ কথা বলা যেমন সহজ নয়, তেমনি সহজ নয় আমাদের দেশে রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হওয়া। আমাদের দেশে যত মাথা, তত মত—যে যার মতে অটল, নিজের বক্তব্যে অনড়। ফলে এখানে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোই যেন যুদ্ধ জয়ের সমান। রাজনীতি তো আর গণিতের সূত্র নয়, যেখানে সবাই একই জবাব মেনে নেবে; এখানে আবেগ, স্বার্থ, বিশ্বাস আর...
১১ ঘণ্টা আগেকোনো মানুষ নিজের চোখে স্বর্গ দেখেছেন—এমন দাবি কেউ কখনো করেনি। পুরোটাই কল্পনায়। কিন্তু স্বর্গ যে অতীব মনোরম, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই হয়তো হাজার বছর ধরে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। কাশ্মীরে যাঁরা গেছেন, তাঁরা এর সৌন্দর্যে মোহিত হননি, এমন লোক খুঁজে...
১১ ঘণ্টা আগে