সম্পাদকীয়
আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে যে কলঙ্ক নেমে এসেছিল এ দেশে, তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। সেদিন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশটিই গড়ে তুলেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ষাটের দশক থেকে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হতে থাকেন এবং ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেওয়ার পর থেকে পুরো পূর্ব বাংলার জনগণ শেখ মুজিবকে তাদের কণ্ঠস্বর বলে স্বীকৃতি দেয়। যে জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, তার রূপকার শেখ মুজিবুর রহমান।
ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় দেখা যায়, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলা শুরু করেছিল। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার দুষ্টচক্র থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় নেতৃত্বই পালন করেছে মূল ভূমিকা। বঙ্গবন্ধুর এই চলার পথকে মসৃণ করেছেন তাঁর সতীর্থরা। কিন্তু এই ইতিহাসের পুরোধা ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাস থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শেখ মুজিবকে হত্যা করা যে ঠান্ডা মাথার ষড়যন্ত্র, তা বোঝা যায় পরবর্তী সময়ে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের নেতাদেরও খন্দকার মোশতাক আহমদের নির্দেশে হত্যা করা হয় ৩ নভেম্বর। এতে পরিষ্কার হয়, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে তোলাটাই ছিল এই ষড়যন্ত্রকারীদের অভিলাষ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে যান।
আগস্ট ট্র্যাজেডির পর একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটতে থাকে। দেশটা হয়ে পড়ে লাগামহীন। এই পথেই মোশতাকের পর ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়েছিল। সেই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা বলা হলেও জিয়াউর রহমানের শাসনামলেই অন্তত যে ২০টি অভ্যুত্থান হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কি আছে কারও কাছে? গড়ে প্রতি ৩ মাস ১০ দিনে একটি করে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে সে সময়। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে তা ফিরিয়ে আনা যে কঠিন, এই ঘটনাগুলোতে তারই আলামত পাওয়া যায়।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছে। বিদেশে কূটনীতিকের চাকরি দিয়েছে। এটা পুরো জাতির জন্য লজ্জা। পঁচাত্তরের পর খুনি সরকার এমন আইন করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত তা বহাল ছিল।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদকে ভারতের কলকাতা থেকে ফিরিয়ে এনে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা দরকার। ১৫ আগস্ট যাঁরা নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি।
আজ ১৫ আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে যে কলঙ্ক নেমে এসেছিল এ দেশে, তার রেশ এখনো রয়ে গেছে। সেদিন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশটিই গড়ে তুলেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ষাটের দশক থেকে তিনি জাতীয় নেতায় পরিণত হতে থাকেন এবং ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেওয়ার পর থেকে পুরো পূর্ব বাংলার জনগণ শেখ মুজিবকে তাদের কণ্ঠস্বর বলে স্বীকৃতি দেয়। যে জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, তার রূপকার শেখ মুজিবুর রহমান।
ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় দেখা যায়, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলা শুরু করেছিল। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার দুষ্টচক্র থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকুতোভয় নেতৃত্বই পালন করেছে মূল ভূমিকা। বঙ্গবন্ধুর এই চলার পথকে মসৃণ করেছেন তাঁর সতীর্থরা। কিন্তু এই ইতিহাসের পুরোধা ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাস থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শেখ মুজিবকে হত্যা করা যে ঠান্ডা মাথার ষড়যন্ত্র, তা বোঝা যায় পরবর্তী সময়ে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের নেতাদেরও খন্দকার মোশতাক আহমদের নির্দেশে হত্যা করা হয় ৩ নভেম্বর। এতে পরিষ্কার হয়, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে তোলাটাই ছিল এই ষড়যন্ত্রকারীদের অভিলাষ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে যান।
আগস্ট ট্র্যাজেডির পর একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটতে থাকে। দেশটা হয়ে পড়ে লাগামহীন। এই পথেই মোশতাকের পর ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়েছিল। সেই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা বলা হলেও জিয়াউর রহমানের শাসনামলেই অন্তত যে ২০টি অভ্যুত্থান হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা কি আছে কারও কাছে? গড়ে প্রতি ৩ মাস ১০ দিনে একটি করে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে সে সময়। শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে তা ফিরিয়ে আনা যে কঠিন, এই ঘটনাগুলোতে তারই আলামত পাওয়া যায়।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার খুনিদের প্রশ্রয় দিয়েছে। বিদেশে কূটনীতিকের চাকরি দিয়েছে। এটা পুরো জাতির জন্য লজ্জা। পঁচাত্তরের পর খুনি সরকার এমন আইন করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগপর্যন্ত তা বহাল ছিল।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে অন্যতম আসামি আবদুল মাজেদকে ভারতের কলকাতা থেকে ফিরিয়ে এনে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অন্য আসামিরা পলাতক। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাঁদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা দরকার। ১৫ আগস্ট যাঁরা নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি।
দেশের দু’টি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ—ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের অভাবনীয় উত্থান সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যে সংগঠনটি অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে নিষিদ্ধ ছিল, তারাই কীভাবে এত সংখ্যক পদে জয়ী হলো—এই প্রশ্ন শিক্ষিত সমাজকে
৬ ঘণ্টা আগেযশোর-খুলনা অঞ্চলের দুঃখ বলা হয় ভবদহকে। কারণ, প্রায় চার দশক ধরে এ অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ এক অভিশপ্ত জলাবদ্ধতার শিকার। বছরের অধিকাংশ সময়ই তারা পানির মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। বিভিন্ন সরকারের আমলে জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও কোনোটাই তাদের জীবনে স্বস্তি বয়ে আনেনি।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে অশালীন ভাষার ক্রমবর্ধমান ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের বিস্ময়, অস্বস্তি ও অসন্তোষ দৃশ্যমান। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভুল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা তথ্যের ছড়াছড়ি, মিথ্যা বয়ান। এর বিপরীতে ফ্যাক্টচেকারদের ক্যারিয়ারেরও উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটছে।
১ দিন আগেকাতারের আকাশে সেই রাতের নীরবতা হঠাৎই ভেঙে গেল এক ভয়ংকর বিস্ফোরণের গর্জনে। দোহায় হামাসের এক শীর্ষ নেতাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ যেন শুধু একটি বাড়ি নয়, ভেঙে দিল গোটা মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা-সমীকরণের দেয়াল। কাতার—যে নগরী এত দিন কূটনৈতিক আলোচনার মঞ্চ ছিল...
১ দিন আগে