নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারা দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের জনগণকে তাদের (তাণ্ডবকারী) বিচার করতে হবে। আমি জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি। ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার মতো আমার আর কোনো ভাষা নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার হামলার শিকার রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে মেট্রো রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ক্ষয়ক্ষতি দেখে তাঁকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসের চিহ্ন দেখলাম। এটা বিশ্বাস হতে চায় না যে এ দেশের মানুষ এটা করতে পারে। কিন্তু, সেই কাজই করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুঃখ লাগে ২০১৮ সালে যখন ছাত্ররা কোটাবিরোধী আন্দোলন করল, আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা মেনে নিয়ে কোটা বাতিল করে দিলাম। এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে মামলা করা হলো সরকারের জারি করা পরিপত্র হাইকোর্টে বাতিল হলো।
সেটার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করল। সেই সময়ে হাইকোর্টের রায়কে স্থিতাবস্থা দিয়ে তাঁরা একটা সময় (আপিল বিভাগ) দিলেন। এই সময়ের মধ্যে সকলের বক্তব্য শুনে তাঁরা একটা সিদ্ধান্ত দেবেন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে এক দফা কোটা সংস্কার করতে হবে। কোটা বাতিলও করে দিয়েছিলাম। আচ্ছা, কোটা সংস্কার হবে। আপিল করলাম। উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। যেকোনো নাগরিককে তো আইন-আদালত মেনেই চলতে হবে। সেটা না, ওই এক দফার পরে এল ৪ দফা, তারপর এল ৬ দফা, তারপর এল ৮ দফা, তারপর আবার ৪ দফা। আবার ৪ দফাও হবে না। আরও ৮ দফা। এভাবে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে এই ধ্বংসযজ্ঞ। মানে ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত শুক্রবার মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রো রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গা। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
মেট্রোরেলের কারণে নগরবাসী যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, সেগুলো তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। এ সময় মেট্রোরেলের ক্ষতির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘এতে আপনারাই (জনগণ) কষ্ট পাবেন। দেশের মানুষই কষ্ট পাবে। এই ঢাকা শহরের মানুষই কষ্ট পাবেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবার ট্রাফিক জ্যামে পড়ে থাকতে হবে। কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছানো আবার ফেরত আসায় দীর্ঘ সময় লাগবে, বসে বসে সেই ট্রাফিক জ্যামে কষ্ট পাওয়া থেকে আপনাদের এই কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছিলাম।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এগুলো কাদের জন্য? এই মেট্রোরেলে কি আমি চড়ব? আমাদের সরকার ও মন্ত্রীরা শুধু চড়বে না জনগণ চড়বে, এটা আমার প্রশ্ন। এর উপকারিতা আপনারা পাচ্ছেন। এ দেশের সাধারণ জনগণ পাচ্ছেন। তাহলে এটার ওপর এত ক্ষোভ কেন?
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারা দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের জনগণকে তাদের (তাণ্ডবকারী) বিচার করতে হবে। আমি জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি। ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার মতো আমার আর কোনো ভাষা নেই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার হামলার শিকার রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে মেট্রো রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ক্ষয়ক্ষতি দেখে তাঁকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধ্বংসের চিহ্ন দেখলাম। এটা বিশ্বাস হতে চায় না যে এ দেশের মানুষ এটা করতে পারে। কিন্তু, সেই কাজই করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার দুঃখ লাগে ২০১৮ সালে যখন ছাত্ররা কোটাবিরোধী আন্দোলন করল, আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা মেনে নিয়ে কোটা বাতিল করে দিলাম। এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে মামলা করা হলো সরকারের জারি করা পরিপত্র হাইকোর্টে বাতিল হলো।
সেটার বিরুদ্ধে সরকার আপিল করল। সেই সময়ে হাইকোর্টের রায়কে স্থিতাবস্থা দিয়ে তাঁরা একটা সময় (আপিল বিভাগ) দিলেন। এই সময়ের মধ্যে সকলের বক্তব্য শুনে তাঁরা একটা সিদ্ধান্ত দেবেন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে এক দফা কোটা সংস্কার করতে হবে। কোটা বাতিলও করে দিয়েছিলাম। আচ্ছা, কোটা সংস্কার হবে। আপিল করলাম। উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। যেকোনো নাগরিককে তো আইন-আদালত মেনেই চলতে হবে। সেটা না, ওই এক দফার পরে এল ৪ দফা, তারপর এল ৬ দফা, তারপর এল ৮ দফা, তারপর আবার ৪ দফা। আবার ৪ দফাও হবে না। আরও ৮ দফা। এভাবে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে এই ধ্বংসযজ্ঞ। মানে ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত শুক্রবার মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রো রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গা। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
মেট্রোরেলের কারণে নগরবাসী যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, সেগুলো তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। এ সময় মেট্রোরেলের ক্ষতির প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, ‘এতে আপনারাই (জনগণ) কষ্ট পাবেন। দেশের মানুষই কষ্ট পাবে। এই ঢাকা শহরের মানুষই কষ্ট পাবেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আবার ট্রাফিক জ্যামে পড়ে থাকতে হবে। কর্মস্থলে সময়মতো পৌঁছানো আবার ফেরত আসায় দীর্ঘ সময় লাগবে, বসে বসে সেই ট্রাফিক জ্যামে কষ্ট পাওয়া থেকে আপনাদের এই কষ্ট লাঘব করতে চেয়েছিলাম।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এগুলো কাদের জন্য? এই মেট্রোরেলে কি আমি চড়ব? আমাদের সরকার ও মন্ত্রীরা শুধু চড়বে না জনগণ চড়বে, এটা আমার প্রশ্ন। এর উপকারিতা আপনারা পাচ্ছেন। এ দেশের সাধারণ জনগণ পাচ্ছেন। তাহলে এটার ওপর এত ক্ষোভ কেন?
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল আলোচিত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাপানি কনসোর্টিয়ামের মধ্যে চুক্তির খসড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মতপার্থক্য।
৬ ঘণ্টা আগেকারাগারের ভেতরে ‘অদৃশ্য’ এক আর্থিক লেনদেনের জাল বিস্তৃত হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বন্দীদের নানা সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনেরা টাকা পাঠাচ্ছেন কারারক্ষীদের কাছে। বিনিময়ে বন্দীদের কারাগারেই মিলছে মোবাইল ফোন ব্যবহার, মাদকসেবন, বাইরের খাবার কিংবা ফাঁকিবাজির সুযোগ।
৬ ঘণ্টা আগেচলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা। তবে ইসি নির্বাচন আয়োজনে নিজেদের প্রস্তুতি তুলে ধরলেও রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি এবং বাস্তবায়ন নিয়ে মতবিরোধ দূর করতে পারেনি।
৬ ঘণ্টা আগেসেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও গোত্রের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশের ওপর সব নাগরিকের অধিকার আছে। রাজধানীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উৎসবে অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্তে এ দেশে বসবাস করবেন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকব।’
১১ ঘণ্টা আগে