Ajker Patrika

কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি

কলকাতা সংবাদদাতা 
কলকাতায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি

চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হয়েছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে পরপর দুটি ঘটনা ঘটেছে কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিট অঞ্চলে। ঘটনাটি কাকতালীয় হলেও রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। 

মা-বাবার সঙ্গে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসেন পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। ১৯ জুন রাতেই হঠাৎ হোটেল থেকে দেলোয়ার উধাও হয়ে যান। এরপর ২০ জুন দিবাগত রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা পার্ক স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কুইস স্ট্রিটের প্যারামাউন্ট হোটেলে। 

এ ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে দেলোয়ারের পরিবার। ঘটনার বিষয়ে দেলোয়ারের বোন কামরুন্নাহার অমি বলেন, ‘ভাই নার্ভের রোগী। তাঁর শর্ট টার্ম মেমোরি লস হয়। কোনো কিছু সহজে চিনে রাখতে পারেন না। যে কারণে ১৯ তারিখ অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। আমি স্বামীসহ এক রুমে ছিলাম। আর পাশের রুমে ভাই দেলোয়ারকে নিয়ে বাবা-মা ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ আমার আব্বা আম্মা দেখতে পান রুমের দরজা খোলা। ভাই ঘরের মধ্যে নেই। এরপর ছুটে আসি নিচে। পথে বের হয়ে তাঁর খোঁজ করি। দীর্ঘ এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর রাতেই পার্কস্ট্রিট থানায় ডায়েরি করি।’ 

‘পরে হোটেলে সিসিটিভিতে দেখা যায় ১১টা ২৭ মিনিটে হোটেল ছেড়ে ভাই বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু রাত ১১টা থেকে আজ প্রায় ১৮ ঘণ্টা হয়ে গেল এখনো পুলিশ কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। খুবই টেনশনে আছি। ভাইকে সাত ঘণ্টা অন্তর অন্তর মেডিসিন খেতে হয়। না হলে ভাইয়ের কথা আটকে যায় খাবারও গিলতে পারে না। খুবই টেনশনে আছি। যদিও পার্কস্ট্রিট থানার পাশাপাশি পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজার থানাও আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।’ 

কাঁদতে কাঁদতে অমি বলেন, ‘দোয়া করবেন ভাইকে নিয়ে যেন দেশে ফিরে যেতে পারি।’ 

এর আগে একইভাবে গত ২৪ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসে নিখোঁজ হন আরও এক বাংলাদেশি যুবক। রাজশাহী জেলার রাজপাড়া লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম শিহাবও (২৪) ছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন। মা-বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন শিহাব। তাঁর নামেও লালবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে, তবে এখনো তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিহাবের পরিবার উঠেছিলেন মার্কুইস স্ট্রিট সংলগ্ন কলিং স্ট্রিটের শামীমা হোটেলে। 

শিহাবের বাবা শফিকুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘২২ মে চিকিৎসার কারণে কলকাতায় এসেছিলাম। ২৪মে ছেলে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিলাম। স্থানীয় সিসি টিভি ফুটেজেও দেখতে পাই ছেলে হোটেল থেকে একা বের হয়ে গাড়ি রাস্তার দিকে যাচ্ছে। এরপর কিছু জানি না। প্রায় এক মাস হয়ে গেল। আর পারছি না। ছেলেকে নিয়েই দেশে ফিরতে চাই।’ 

যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোটিরও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস জানিয়েছে, তাঁরা সব ঘটনাই পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রেখে চলেছে। তবে কাকতালীয় হলেও ঘটনার দুটি খুবই মিল রয়েছে। তবে এটি কাকতালীয় অথবা কো-ইন্সিডেন্স নাকি কোনো রহস্য? এটি উন্মোচনে কাজ করছে কলকাতা পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত