তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
দেশের প্রথম ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের টোল আদায়ের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এখনো বাকি। অপারেটর নিয়োগের কাজও চলমান। ফলে টোল আদায়ের কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বছর পদ্মা সেতু চালু হলে একই সঙ্গে এই এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু হতে পারে। যদিও চলতি বছরের পয়লা জুলাই থেকে এক্সপ্রেসওয়ের টোল নেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের।
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১২ মার্চ এর উদ্বোধন করেন। কোনো ধরনের যানজট ও সিগন্যালের বাধা ছাড়াই চার লেনের মহাসড়কে চলছে যানবাহন।
এক্সপ্রেসওয়েতে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কের দুই পাশে রয়েছে আলাদা লেন।
এদিকে মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নতুন আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দণ্ড হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ-সংক্রান্ত বিল গত শনিবার সংসদে উত্থাপন করেন।
টোল প্লাজার অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হলেও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখনই টোল না নেওয়ার কারণ হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা প্রান্তের টোল প্লাজার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়ার আগের টোল প্লাজার কাজ প্রায় শেষের পথে। বিভিন্ন পয়েন্টে টোল বুথ করতে হবে। সেগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তা ছাড়া মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যে সার্ভিস লেন আছে, সেটার কাজও বাকি আছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ের আগে কিছু কাজ বাকি আছে। সে কাজগুলো শেষ না হওয়ার ফলে টোল আদায় আপাতত পিছিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাকি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায়ের জন্য একটি কোরীয় কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছে সরকার। গত ১৯ আগস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এ কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
কবে থেকে এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায় শুরু হতে পারে—জানতে চাইলে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব (টোল ও এক্সেল শাখা) ফাহমিদা হক খান বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের টোল চালু হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুকে বাদ দিয়ে আগেই এক্সপ্রেসওয়ের টোল চালু করা ঠিক হবে না। পদ্মা সেতুর যখন টোল চালু হবে, তখন এক্সপ্রেসওয়ের টোল একসঙ্গেই চালু করা হলে এর সুবিধা পাওয়া যাবে।
২০১৬ সালের মে মাসে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
দেশের প্রথম ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কের টোল আদায়ের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এখনো বাকি। অপারেটর নিয়োগের কাজও চলমান। ফলে টোল আদায়ের কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী বছর পদ্মা সেতু চালু হলে একই সঙ্গে এই এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় শুরু হতে পারে। যদিও চলতি বছরের পয়লা জুলাই থেকে এক্সপ্রেসওয়ের টোল নেওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের।
পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১২ মার্চ এর উদ্বোধন করেন। কোনো ধরনের যানজট ও সিগন্যালের বাধা ছাড়াই চার লেনের মহাসড়কে চলছে যানবাহন।
এক্সপ্রেসওয়েতে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য সড়কের দুই পাশে রয়েছে আলাদা লেন।
এদিকে মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ে সড়ক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নতুন আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দণ্ড হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ-সংক্রান্ত বিল গত শনিবার সংসদে উত্থাপন করেন।
টোল প্লাজার অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হলেও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখনই টোল না নেওয়ার কারণ হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ননস্টপ এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা প্রান্তের টোল প্লাজার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঢাকা থেকে মাওয়া যাওয়ার আগের টোল প্লাজার কাজ প্রায় শেষের পথে। বিভিন্ন পয়েন্টে টোল বুথ করতে হবে। সেগুলোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তা ছাড়া মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর সঙ্গে যে সার্ভিস লেন আছে, সেটার কাজও বাকি আছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ের আগে কিছু কাজ বাকি আছে। সে কাজগুলো শেষ না হওয়ার ফলে টোল আদায় আপাতত পিছিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাকি সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায়ের জন্য একটি কোরীয় কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছে সরকার। গত ১৯ আগস্ট সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এ কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
কবে থেকে এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায় শুরু হতে পারে—জানতে চাইলে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব (টোল ও এক্সেল শাখা) ফাহমিদা হক খান বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের টোল চালু হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুকে বাদ দিয়ে আগেই এক্সপ্রেসওয়ের টোল চালু করা ঠিক হবে না। পদ্মা সেতুর যখন টোল চালু হবে, তখন এক্সপ্রেসওয়ের টোল একসঙ্গেই চালু করা হলে এর সুবিধা পাওয়া যাবে।
২০১৬ সালের মে মাসে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি বৈঠক করেছেন। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তাঁরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, ভিসা চালু, বাণিজ্য-বিনিয়োগ ও সহযোগিতা
২০ মিনিট আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের কাছে আবেদন করা
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের ৬ কোটি ২১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বাড়ি ও জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই
২ ঘণ্টা আগেমাত্র আট মাসে দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী ও ঋণখেলাপি অর্ধশতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (জব্দ) ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা করার পর আদালতের নির্দেশে এই ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়। দুদকের নথ
২ ঘণ্টা আগে