নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের জেলা ও উপজেলার পরিষদের উপদেষ্টার পদে রয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এবার পৌরসভায় উপদেশ দিতে চান তাঁরা। এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি সুপারিশও করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটি নাকচ করে দেওয়া হয়। আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির আগের বৈঠকে এ সুপারিশ এসেছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত বৈঠকে জমি নিবন্ধন আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে পৌরসভার উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের রাখার সুপারিশ করা হয়। বুধবারের বৈঠকে দুটি সুপারিশই নাকচ হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত বৈঠকে কমিটির সদস্য আ স ম ফিরোজ সাংসদদের পৌরসভার উপদেষ্টা করার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, জেলা/উপজেলা পরিষদে উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের ভূমিকা থাকলেও পৌরসভায় সেটি নেই। এই না থাকার পেছনে কোনো রহস্য রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। পরে তিনি সাংসদদের পৌরসভারও উপদেষ্টা করার পরামর্শ দেন। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন পনির উদ্দিন আহমেদ।
ওই বৈঠকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও দুই সাংসদের বক্তব্যের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ভোটের মাধ্যমে পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন। কাজেই তাঁদের জবাবদিহি থাকা উচিত। তিনি জেলা/উপজেলা পরিষদের মতো পৌরসভায়ও সাংসদদের উপদেষ্টা রাখার বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি বুধবারের বৈঠকের সুপারিশ আকারে এলে এর অগ্রগতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সংশোধিত ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এ পৌরসভায় সংসদ সদস্যগণকে উপদেষ্টা করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে আগের বৈঠকে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান জমি নিবন্ধনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ভূমি হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে, আর ভূমি নিবন্ধন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ ক্ষেত্রে ভূমি প্রশাসনের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। পরে তিনি ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনার পরামর্শ দেন।
এই সুপারিশের জবাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভূমি নিবন্ধনের বিষয়টি আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের সঙ্গে e-Registration ও LAN আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি বালু মহাল ও জলমহালের সীমানা এবং বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। তবে ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও পনির উদ্দিন আহমেদ।
দেশের জেলা ও উপজেলার পরিষদের উপদেষ্টার পদে রয়েছেন সংসদ সদস্যরা। এবার পৌরসভায় উপদেশ দিতে চান তাঁরা। এ নিয়ে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি সুপারিশও করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এটি নাকচ করে দেওয়া হয়। আজ বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিটির আগের বৈঠকে এ সুপারিশ এসেছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত বৈঠকে জমি নিবন্ধন আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে পৌরসভার উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের রাখার সুপারিশ করা হয়। বুধবারের বৈঠকে দুটি সুপারিশই নাকচ হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, গত বৈঠকে কমিটির সদস্য আ স ম ফিরোজ সাংসদদের পৌরসভার উপদেষ্টা করার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, জেলা/উপজেলা পরিষদে উপদেষ্টা হিসেবে সাংসদদের ভূমিকা থাকলেও পৌরসভায় সেটি নেই। এই না থাকার পেছনে কোনো রহস্য রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। পরে তিনি সাংসদদের পৌরসভারও উপদেষ্টা করার পরামর্শ দেন। তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেন পনির উদ্দিন আহমেদ।
ওই বৈঠকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও দুই সাংসদের বক্তব্যের পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ভোটের মাধ্যমে পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছেন। কাজেই তাঁদের জবাবদিহি থাকা উচিত। তিনি জেলা/উপজেলা পরিষদের মতো পৌরসভায়ও সাংসদদের উপদেষ্টা রাখার বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি বুধবারের বৈঠকের সুপারিশ আকারে এলে এর অগ্রগতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সংশোধিত ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এ পৌরসভায় সংসদ সদস্যগণকে উপদেষ্টা করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে আগের বৈঠকে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান জমি নিবন্ধনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ভূমি হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে, আর ভূমি নিবন্ধন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ ক্ষেত্রে ভূমি প্রশাসনের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। পরে তিনি ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালনার পরামর্শ দেন।
এই সুপারিশের জবাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভূমি নিবন্ধনের বিষয়টি আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও এসিল্যান্ড অফিসের সঙ্গে e-Registration ও LAN আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি বালু মহাল ও জলমহালের সীমানা এবং বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। তবে ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ স ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও পনির উদ্দিন আহমেদ।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩১ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে