Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ১১
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্ক অবস্থানে সরকার

২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর করোনা টিকার অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরাসরি ক্লাস শুরু করতে পারবে বলে জানানো হয়। সে হিসাবে চলতি মাসেই খুলতে পারে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সম্ভাব্য নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদ ও অরাজক পরিস্থিতিসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নজর রাখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে ‘নৈরাজ্য’ ও ‘জঙ্গিবাদ প্রচার’ হওয়ার আশঙ্কাসংক্রান্ত কোনো তথ্য আছে কি না, তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানাবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এ ছাড়া বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবে না। সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় খুললে কী কী সমস্যা হতে পারে এবং কীভাবে সেগুলো মোকাবিলা করা যায়–এ বিষয়ে ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

তবে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে সরকারের উচ্চমহল থেকেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। ফলে অনেক অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, করোনা কিংবা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে নয়, আন্দোলন ঠেকানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে–এ কথায় এটাই প্রমাণিত।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যেই নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিবিদদের সরব থাকতে দেখা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সরকার সতর্ক আছে। সে জন্য গত সপ্তাহে পাঠানো এক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ্ডগোল করে বহিরাগতরা। তাই বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস রাখার বিষয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হয় এবং তাদের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। সাবধানতা অবলম্বন, বহিরাগতরা যেন ক্যাম্পাসে না আসে এবং যেকোনো জঙ্গি তৎপরতা রোধে সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার মতো সাধারণ আলোচনা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত