কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণায় স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর বেশি পরিমাণে চাপ প্রয়োগ করবে। আর এতে করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি পাবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ, আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সেক্রেটারি অফ স্টেট (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। দেরি হলেও এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা ভালো সংবাদ।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সোমবার ওই সিদ্ধান্তেরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিল।
রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতির ফলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দেওয়ার ফলে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। এর ফলে আইসিজেতে যে কেস (মামলা) চলছে এটা আরও শক্তিশালী হতে পারে। গণহত্যার বিষয়টি যেহেতু তারা স্বীকার করেছে, আমার বিশ্বাস বড় দেশ হিসেবে তারা যদি পুস করে বা প্রেশার (চাপ) দেয় প্রত্যাবাসনে একটা সমাধান আসবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটা বলার ফলে আমার মনে হয়, তারা অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করবে মিয়ানমার সরকারকে। এতে করে তারা লোকগুলোকে দেশে ফেরত নেবে। আমার ধারণা, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এ ব্যাপারে আরও সজাগ হবে। যাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতির ফলে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী হোক আর না হোক, কেউ যদি হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন করে, যদি এ ধরনের গণহত্যা করে তারা যেন শাস্তি পায়। আমরা গণহত্যা চাই না। এগুলো বন্ধ করার একমাত্র উপায় স্বীকৃতি এবং শাস্তি দেওয়া। এ ধরনের গণহত্যা যেন আর কখনো হয় না।’
প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ধীর গতি উল্লেখ করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কথা দিয়েছে, তারা বলেছে, নিয়ে যাবে। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে ধীর গতি করছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তাদের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ যেন তারা গড়ে তুলতে পারে। আমরা আশা করব, তারা তাদের নিজেদের লোকগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়ে যাবে।’ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবর্তন শুরু করতে পারলে মিয়ানমারের অপরাধ কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করা নিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আইসিজেতে মামলা পরিচালনায় গাম্বিয়ার সমস্যা হচ্ছে। তারা আইনজীবীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। ওআইসিতে এ অর্থ তুলে দেওয়ার কথা ছিল। ওআইসির সদস্যরা এতে অর্থ সহযোগিতা দিলেও তা যথেষ্ট না। ওআইসির এ তহবিলে বাংলাদেশ সিংহভাগ টাকা দিয়েছে। সৌদি আরব, তুরস্কসহ বাকি সদস্যদের বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে অর্থ সহযোগিতার পরিমাণ বাড়াতে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে অর্থ বাড়াবে।’
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণায় স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর বেশি পরিমাণে চাপ প্রয়োগ করবে। আর এতে করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে গতি পাবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশ, আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সেক্রেটারি অফ স্টেট (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। দেরি হলেও এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। এটা ভালো সংবাদ।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সোমবার ওই সিদ্ধান্তেরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিল।
রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকৃতির ফলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দেওয়ার ফলে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। এর ফলে আইসিজেতে যে কেস (মামলা) চলছে এটা আরও শক্তিশালী হতে পারে। গণহত্যার বিষয়টি যেহেতু তারা স্বীকার করেছে, আমার বিশ্বাস বড় দেশ হিসেবে তারা যদি পুস করে বা প্রেশার (চাপ) দেয় প্রত্যাবাসনে একটা সমাধান আসবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটা বলার ফলে আমার মনে হয়, তারা অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করবে মিয়ানমার সরকারকে। এতে করে তারা লোকগুলোকে দেশে ফেরত নেবে। আমার ধারণা, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এ ব্যাপারে আরও সজাগ হবে। যাতে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতির ফলে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী হোক আর না হোক, কেউ যদি হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন করে, যদি এ ধরনের গণহত্যা করে তারা যেন শাস্তি পায়। আমরা গণহত্যা চাই না। এগুলো বন্ধ করার একমাত্র উপায় স্বীকৃতি এবং শাস্তি দেওয়া। এ ধরনের গণহত্যা যেন আর কখনো হয় না।’
প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ধীর গতি উল্লেখ করে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা (মিয়ানমার) কিন্তু কথা দিয়েছে, তারা বলেছে, নিয়ে যাবে। কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে ধীর গতি করছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের যেন মঙ্গল হয় এবং তাদের একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ যেন তারা গড়ে তুলতে পারে। আমরা আশা করব, তারা তাদের নিজেদের লোকগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়ে যাবে।’ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবর্তন শুরু করতে পারলে মিয়ানমারের অপরাধ কিছুটা কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস আইসিজেতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করা নিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আইসিজেতে মামলা পরিচালনায় গাম্বিয়ার সমস্যা হচ্ছে। তারা আইনজীবীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। ওআইসিতে এ অর্থ তুলে দেওয়ার কথা ছিল। ওআইসির সদস্যরা এতে অর্থ সহযোগিতা দিলেও তা যথেষ্ট না। ওআইসির এ তহবিলে বাংলাদেশ সিংহভাগ টাকা দিয়েছে। সৌদি আরব, তুরস্কসহ বাকি সদস্যদের বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে অর্থ সহযোগিতার পরিমাণ বাড়াতে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে অর্থ বাড়াবে।’
এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, এ বিষয়ে একমত রাজনৈতিক দলগুলো। আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই সাংবিধানিক বাছাই কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করতে সরাসরি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল
১ ঘণ্টা আগেআপাতত পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়াই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার শর্তে সিরাজগঞ্জের ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফেরার পরদিন রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক।
৫ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে