আইন সংশোধনের উদ্যোগ
আয়নাল হোসেন, ঢাকা
কারাগারে বন্দীদের জন্য চাইলেও আদালতের অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ নেই। সময়ের পরিবর্তনে নতুন রোগের আবির্ভাব, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা এবং বর্ধিত ব্যয়ের বিবেচনায় সরকার বন্দীদের এই সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কারা আইন ও বিধির কয়েকটি ধারা সংশোধন করা হলে বন্দীদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আদালত পর্যন্ত যেতে হবে না। তাঁরা কারা অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে সেই সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দীদের প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) গত মাসে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়, জেল কোড ও কারা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করা গেলে কারাগারে বন্দীরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেসরকারি যেকোনো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। অনেক সময় রোগীদের অক্সিজেন ও আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকারিভাবে এসব ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য আইন ও বিধি সংশোধন করা গেলে বন্দীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন।
আইজি প্রিজনের চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইন ও বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এতে অসুস্থ কারাবন্দীরা নানা রকম সুবিধা নিতে পারবেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা বন্দীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারি না। তাঁরা যাতে সহজে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, সে জন্য কারাবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কাজটি হয়তো শেষ করতে পারবে না, তবে এটি এগিয়ে নেওয়া দরকার; যাতে ভবিষ্যতে যারা আসবে, তারা সহজে কাজটি করতে পারে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৭৪টি কারাগারের মধ্যে ১৪টিতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। যেসব কারাগারে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই। এর ওপর আবার নিত্যনতুন রোগব্যাধি আসছে। প্রায়ই বন্দী রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। এ জন্য আদালতের অনুমোদন নিতে হয়। আইন সংশোধন করা হলে আইনি জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ ছাড়াই কারা কর্তৃপক্ষ বাইরে চিকিৎসার অনুমোদন দিতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী কোনো বন্দীর বাইরে উন্নত চিকিৎসার দরকার হলে সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদন নিতে হয়। আদালত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চান। আদালত বিষয়টি জানার পর চাইলে বন্দীদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারেন। বিদ্যমান এই আইন ও বিধি সংশোধন করা হলে বন্দীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়বে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের কারাবিধির ১২১২, ১২১৩, ১২১৪ নম্বর সংশোধন প্রয়োজন। এ ছাড়া ১৮৯৪ সালের কারা আইনের ২৪, ২৬, ৩৮ ও ৩৯ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করতে হবে। এসব ধারায় মেডিকেল অফিসারের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার বা জেলা কারাগারের সুপারের অনুমোদন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অসুস্থ বন্দীদের কারা কর্তৃপক্ষের হাসপাতাল বা নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কারাগারে বন্দীদের জন্য চাইলেও আদালতের অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ নেই। সময়ের পরিবর্তনে নতুন রোগের আবির্ভাব, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা এবং বর্ধিত ব্যয়ের বিবেচনায় সরকার বন্দীদের এই সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কারা আইন ও বিধির কয়েকটি ধারা সংশোধন করা হলে বন্দীদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আদালত পর্যন্ত যেতে হবে না। তাঁরা কারা অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে সেই সুযোগ পাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দীদের প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) গত মাসে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে বলা হয়, জেল কোড ও কারা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করা গেলে কারাগারে বন্দীরা তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেসরকারি যেকোনো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশে নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। অনেক সময় রোগীদের অক্সিজেন ও আইসিইউ সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সরকারিভাবে এসব ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য আইন ও বিধি সংশোধন করা গেলে বন্দীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবেন।
আইজি প্রিজনের চিঠি পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইন ও বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা ১১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এতে অসুস্থ কারাবন্দীরা নানা রকম সুবিধা নিতে পারবেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা বন্দীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারি না। তাঁরা যাতে সহজে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন, সে জন্য কারাবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হবে। অন্তর্বর্তী সরকার কাজটি হয়তো শেষ করতে পারবে না, তবে এটি এগিয়ে নেওয়া দরকার; যাতে ভবিষ্যতে যারা আসবে, তারা সহজে কাজটি করতে পারে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৭৪টি কারাগারের মধ্যে ১৪টিতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। যেসব কারাগারে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই। এর ওপর আবার নিত্যনতুন রোগব্যাধি আসছে। প্রায়ই বন্দী রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। এ জন্য আদালতের অনুমোদন নিতে হয়। আইন সংশোধন করা হলে আইনি জটিলতা ও সময়ক্ষেপণ ছাড়াই কারা কর্তৃপক্ষ বাইরে চিকিৎসার অনুমোদন দিতে পারবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী কোনো বন্দীর বাইরে উন্নত চিকিৎসার দরকার হলে সে ক্ষেত্রে আদালতের অনুমোদন নিতে হয়। আদালত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চান। আদালত বিষয়টি জানার পর চাইলে বন্দীদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারেন। বিদ্যমান এই আইন ও বিধি সংশোধন করা হলে বন্দীদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়বে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের কারাবিধির ১২১২, ১২১৩, ১২১৪ নম্বর সংশোধন প্রয়োজন। এ ছাড়া ১৮৯৪ সালের কারা আইনের ২৪, ২৬, ৩৮ ও ৩৯ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট ধারা সংশোধন করতে হবে। এসব ধারায় মেডিকেল অফিসারের সুপারিশের ভিত্তিতে এবং কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র সুপার বা জেলা কারাগারের সুপারের অনুমোদন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অসুস্থ বন্দীদের কারা কর্তৃপক্ষের হাসপাতাল বা নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে মত দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু সেই গণভোটের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে মতভিন্নতা। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোটের কথা বলেছে বিএনপি। তবে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
৫ ঘণ্টা আগেসিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
৫ ঘণ্টা আগেআদালতে মামলার চাপ কমানো ও বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য করা হয়েছিল গ্রাম আদালত আইন। ২০০৬ সালে আইনের মাধ্যমে চালু হওয়া গ্রাম আদালতের প্রতি দীর্ঘ দুই দশকেও মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি। বিচারপ্রার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে তাই নানাভাবে চেষ্টা-চরিত্র চলছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় সরকার এর বিস্তার রোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ইতিমধ্যে জরুরি কার্যক্রম শুরু করেছে।
৯ ঘণ্টা আগে