রবিউল আলম, ঢাকা
৫৪৪ দিন বন্ধ শেষে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ রোববার খুলছে। ফলে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সাড়ে তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থী। স্কুল খোলা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বছরের প্রথম দিনের মতো সব শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকের দিনটা যেন আনন্দে কাটে, সে জন্য ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে স্কুলের ফটক।
বেলুন আর নানা রঙের কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে শ্রেণিকক্ষগুলো। এ ছাড়া সারিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে করতালির মাধ্যমে বরণ করার জন্য হরেক রকমের আয়োজন করেছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন বলেন, ‘নিজেদের ব্যবস্থাপনায় আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। রোববার (আজ) আমরা ফুল দিয়ে করতালির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেব। প্রতিষ্ঠানে মহামারির আগে শিক্ষার্থী ছিল নয় শর মতো। স্কুল খুললে অর্ধেক শিক্ষার্থী হয়তো আসবে।
এত দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তির সুযোগে ঘরবন্দী শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে উদ্বেলিত, তেমনি উচ্ছ্বসিত অভিভাবক ও শিক্ষকেরাও। তবে এ আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে চাপা উদ্বেগও। টিকা না দিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় আছেন অনেক অভিভাবক। তাঁরা টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিও জানিয়েছেন।
কনভয় গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল ওহাবের দুই সন্তান রাজধানী উত্তরার একটি স্কুলে পড়ছে। স্কুল খোলার ঘোষণায় ফয়সাল ওহাব সন্তানদের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাচ্চাদের ইমিউনিটি সিস্টেম জানি। আমার বাচ্চার অ্যাজমা আছে। আমার বাবাও বাসায় অসুস্থ। আমরা কিন্তু বড় বড় অনুষ্ঠানসহ তেমন কোথাও যাই না। আমার বাচ্চারা সারা দিন বাসায় থাকে। সেই বাচ্চাগুলোকে আমি এখন স্কুলে পাঠাব, তারা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে এর দায় কে নেবে?’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম। তারা দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর সব ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সম্পন্ন করে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছে।
তবে খোলার জন্য অধিকাংশ স্কুল প্রস্তুতি শেষ করলেও কিছু অপ্রস্তুতিও দেখা গেছে। গতকাল সকালে পুরান ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরেজমিন দেখা যায়, এই স্কুলের প্রধান ফটকের দক্ষিণে অভিভাবকদের অপেক্ষাগারটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ভেতরে ময়লা-আবর্জনা ভরা। বসার স্থানও অপরিচ্ছন্ন।
ঢাকার বাইরে অনেক স্কুল এখনো খোলার প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি। এর পাশাপাশি ১৩টি জেলায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এখনো বন্যার পানি নামেনি। ফলে আজ থেকে ওই সব এলাকার স্কুল খুললেও ক্লাস হবে না। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৩০টি স্কুলে মাঠে ও দুটি স্কুলে শ্রেণিকক্ষে পানি উঠেছে। তবে এই পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জামালপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চললে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা কম। এরপরও যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রকৃত হার বোঝা যাবে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘এ সময়ে স্কুল-কলেজ খোলার মতো ভালো সংবাদ আর হতে পারে না। তবে খোলার পর কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে, সেটা এত দিন আমরা অনুমান করলেও রোববার (আজ) থেকে জানা যাবে আসলেই কতজন ঝরে পড়েছে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, অনেক শিক্ষক এবং স্কুলও ঝরে পড়েছে। অনেক শিক্ষক পেশা বদলে দিনমজুরের মতো কাজ করছেন। ভাড়া দিতে না পারায় অনেক স্কুল দেউলিয়া হয়েছে। সরকার জরিপের মাধ্যমে কতজন ঝরে পড়েছে এবং কত স্কুল বন্ধ হয়েছে, সেটার খোঁজ নিয়ে বন্ধ হওয়া স্কুল আবার চালুর জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তবে যেভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমরা যখন অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছি, তখন দেখেছি ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। যেভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, সেটি সত্য নয়।’
৫৪৪ দিন বন্ধ শেষে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ রোববার খুলছে। ফলে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে সাড়ে তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থী। স্কুল খোলা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, তার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বছরের প্রথম দিনের মতো সব শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজকের দিনটা যেন আনন্দে কাটে, সে জন্য ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে স্কুলের ফটক।
বেলুন আর নানা রঙের কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে শ্রেণিকক্ষগুলো। এ ছাড়া সারিবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে করতালির মাধ্যমে বরণ করার জন্য হরেক রকমের আয়োজন করেছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন বলেন, ‘নিজেদের ব্যবস্থাপনায় আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। রোববার (আজ) আমরা ফুল দিয়ে করতালির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেব। প্রতিষ্ঠানে মহামারির আগে শিক্ষার্থী ছিল নয় শর মতো। স্কুল খুললে অর্ধেক শিক্ষার্থী হয়তো আসবে।
এত দিনের বন্দিদশা থেকে মুক্তির সুযোগে ঘরবন্দী শিক্ষার্থীরা যেমন আনন্দে উদ্বেলিত, তেমনি উচ্ছ্বসিত অভিভাবক ও শিক্ষকেরাও। তবে এ আনন্দের সঙ্গে মিশে আছে চাপা উদ্বেগও। টিকা না দিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠানো ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় আছেন অনেক অভিভাবক। তাঁরা টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিও জানিয়েছেন।
কনভয় গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল ওহাবের দুই সন্তান রাজধানী উত্তরার একটি স্কুলে পড়ছে। স্কুল খোলার ঘোষণায় ফয়সাল ওহাব সন্তানদের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাচ্চাদের ইমিউনিটি সিস্টেম জানি। আমার বাচ্চার অ্যাজমা আছে। আমার বাবাও বাসায় অসুস্থ। আমরা কিন্তু বড় বড় অনুষ্ঠানসহ তেমন কোথাও যাই না। আমার বাচ্চারা সারা দিন বাসায় থাকে। সেই বাচ্চাগুলোকে আমি এখন স্কুলে পাঠাব, তারা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে এর দায় কে নেবে?’
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম। তারা দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর সব ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সম্পন্ন করে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছে।
তবে খোলার জন্য অধিকাংশ স্কুল প্রস্তুতি শেষ করলেও কিছু অপ্রস্তুতিও দেখা গেছে। গতকাল সকালে পুরান ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে সরেজমিন দেখা যায়, এই স্কুলের প্রধান ফটকের দক্ষিণে অভিভাবকদের অপেক্ষাগারটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ভেতরে ময়লা-আবর্জনা ভরা। বসার স্থানও অপরিচ্ছন্ন।
ঢাকার বাইরে অনেক স্কুল এখনো খোলার প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি। এর পাশাপাশি ১৩টি জেলায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এখনো বন্যার পানি নামেনি। ফলে আজ থেকে ওই সব এলাকার স্কুল খুললেও ক্লাস হবে না। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৩০টি স্কুলে মাঠে ও দুটি স্কুলে শ্রেণিকক্ষে পানি উঠেছে। তবে এই পানি এক সপ্তাহের মধ্যে নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল জামালপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চললে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা কম। এরপরও যদি সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার প্রকৃত হার বোঝা যাবে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘এ সময়ে স্কুল-কলেজ খোলার মতো ভালো সংবাদ আর হতে পারে না। তবে খোলার পর কত শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে, সেটা এত দিন আমরা অনুমান করলেও রোববার (আজ) থেকে জানা যাবে আসলেই কতজন ঝরে পড়েছে। শুধু শিক্ষার্থীই নয়, অনেক শিক্ষক এবং স্কুলও ঝরে পড়েছে। অনেক শিক্ষক পেশা বদলে দিনমজুরের মতো কাজ করছেন। ভাড়া দিতে না পারায় অনেক স্কুল দেউলিয়া হয়েছে। সরকার জরিপের মাধ্যমে কতজন ঝরে পড়েছে এবং কত স্কুল বন্ধ হয়েছে, সেটার খোঁজ নিয়ে বন্ধ হওয়া স্কুল আবার চালুর জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তবে যেভাবে শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমরা যখন অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছি, তখন দেখেছি ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। যেভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, সেটি সত্য নয়।’
শ্রমিকদের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন।
২ ঘণ্টা আগেমানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে ‘করিডর’ বা ‘প্যাসেজ’ চালুর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে এক শর মতো শিল্পে নেই ন্যূনতম মজুরিকাঠামো। এখনো প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি অনেক খাতের শ্রমিকেরা। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ৮৫ শতাংশ শ্রমিকেরই নেই আইনি সুরক্ষা। পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি পান না নারী শ্রমিকেরা। ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের স্বাধীনতা, শ্রমিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য
১৪ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক দিন আজ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে আজ। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়বো এ দেশ নতুন করে’।
১৪ ঘণ্টা আগে