সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রমজানে রাজধানীবাসীর কাছে সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল মৎস্য অধিদপ্তর। সেই মাছ সরবরাহ করেছে চাষিদের সংগঠন ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফোয়াব)। সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করছেন, সাড়ে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মাছ বিক্রির সব টাকা বুঝে পাননি। বকেয়া পরিশোধ নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর গড়িমসি করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রমজানে রাজধানীতে ৩০টি স্থানে ২৮ রমজান পর্যন্ত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম সুলভমূল্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১০ মার্চ খামারবাড়ির প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে বেশ ঘটা করে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে টানা ১৫ দিন রুই ১৪০ টাকা, পাঙাশ ১৩০, তেলাপিয়া ১৩০, পাবদা ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ঢাকা মহানগরের আটটি স্থানে। স্থানগুলো হলো—ফার্মগেট (খামারবাড়ি মোড়), মিরপুর–১, সেগুনবাগিচা বাজার, মেরুল বাড্ডা বাজার, মুগদাপাড়া, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল ও পলাশী মোড়।
ফোয়াবের তথ্য অনুসারে, দেশের বিভিন্ন এলাকার চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এই মাছ তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করেছিল ফোয়াব। ১০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ২৪০ কেজি রুই, ৭ হাজার ৫৪৩ কেজি পাঙাশ, ১১ হাজার ৫৩১ কেজি তেলাপিয়া ও ১ হাজার ৪৪৫ কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয়েছিল। সরবরাহ করা মাছের টাকা কিছু পেলেও এখনো ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা মৎস্য অধিদপ্তর দেয়নি।
ফোয়াব থেকে মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতেও এসব তথ্য রয়েছে। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বদলের পর বকেয়া টাকা চাষিরা আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ঢাকায় সুলভ মূল্যে বিক্রি হওয়া মাছের বড় অংশ এসেছে খুলনা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ ও নাটোর থেকে। খুলনার মাছ চাষি মনিরুজ্জামান রমজানে ফোয়াবের মাধ্যমে ঢাকায় মাছ সরবরাহ করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের চাষের ও অন্য চাষিদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম। সেই মাছের আড়াই লাখ টাকা এখনো হাতে পাইনি।’
মাছ চাষিদের সংগঠন ফোয়াব ভর্তুকি মূল্যে মাছ সরবরাহের পাশাপাশি গাড়ি, বরফসহ আনুষঙ্গিক মালামালও সরবরাহ করে। ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের আহ্বানে রমজান মাসে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করেছি। রমজান মাসের মধ্যেই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা সেই কথা রাখেননি। ফলে প্রান্তিক অনেক চাষি মাছ বিক্রির পুরো টাকাটা এখনো পাননি।’
তিনি অভিযোগ করেন, মৎস্য অধিদপ্তর মোট মাছের ওজন ৯০০ কেজি কমিয়ে ধরেছে। এ ছাড়া মাছ বিক্রির সময় ঢাকা উত্তর মৎস্যজীবী লীগকে তখন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছিল।
সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ বিক্রয়ের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের গঠিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবদুর রউফ। বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিক্রি ব্যবস্থাপনার তদারকির দায়িত্ব ছিল আমার। টাকা–পয়সা লেনদেনের বিষয়টা আগের ডিজি স্যার দেখতেন। তবে পুরো টাকা পরিশোধ হয়নি, কিছু বকেয়া থাকতে পারে।’
তখন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন সৈয়দ মো. আলমগীর। অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে লেনদেন কিছু থাকলে তা পরিশোধ হয়েছে বলে জানি। আদৌ পাওনা আছে কিনা আমার জানা নেই। তাঁদের (ফোয়াব) কোনো বক্তব্য থাকলে মৎস্য অধিদপ্তরে এসে কথা বলতে পারেন।’
রমজানে রাজধানীবাসীর কাছে সুলভ মূল্যে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল মৎস্য অধিদপ্তর। সেই মাছ সরবরাহ করেছে চাষিদের সংগঠন ফিশ ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ফোয়াব)। সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করছেন, সাড়ে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মাছ বিক্রির সব টাকা বুঝে পাননি। বকেয়া পরিশোধ নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর গড়িমসি করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রমজানে রাজধানীতে ৩০টি স্থানে ২৮ রমজান পর্যন্ত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম সুলভমূল্যে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১০ মার্চ খামারবাড়ির প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে বেশ ঘটা করে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে টানা ১৫ দিন রুই ১৪০ টাকা, পাঙাশ ১৩০, তেলাপিয়া ১৩০, পাবদা ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় ঢাকা মহানগরের আটটি স্থানে। স্থানগুলো হলো—ফার্মগেট (খামারবাড়ি মোড়), মিরপুর–১, সেগুনবাগিচা বাজার, মেরুল বাড্ডা বাজার, মুগদাপাড়া, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল ও পলাশী মোড়।
ফোয়াবের তথ্য অনুসারে, দেশের বিভিন্ন এলাকার চাষিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এই মাছ তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করেছিল ফোয়াব। ১০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৭ হাজার ২৪০ কেজি রুই, ৭ হাজার ৫৪৩ কেজি পাঙাশ, ১১ হাজার ৫৩১ কেজি তেলাপিয়া ও ১ হাজার ৪৪৫ কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হয়েছিল। সরবরাহ করা মাছের টাকা কিছু পেলেও এখনো ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা মৎস্য অধিদপ্তর দেয়নি।
ফোয়াব থেকে মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতেও এসব তথ্য রয়েছে। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বদলের পর বকেয়া টাকা চাষিরা আদৌ পাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ঢাকায় সুলভ মূল্যে বিক্রি হওয়া মাছের বড় অংশ এসেছে খুলনা, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ ও নাটোর থেকে। খুলনার মাছ চাষি মনিরুজ্জামান রমজানে ফোয়াবের মাধ্যমে ঢাকায় মাছ সরবরাহ করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজের চাষের ও অন্য চাষিদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিলাম। সেই মাছের আড়াই লাখ টাকা এখনো হাতে পাইনি।’
মাছ চাষিদের সংগঠন ফোয়াব ভর্তুকি মূল্যে মাছ সরবরাহের পাশাপাশি গাড়ি, বরফসহ আনুষঙ্গিক মালামালও সরবরাহ করে। ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন বলেন, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের আহ্বানে রমজান মাসে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করেছি। রমজান মাসের মধ্যেই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কর্মকর্তারা সেই কথা রাখেননি। ফলে প্রান্তিক অনেক চাষি মাছ বিক্রির পুরো টাকাটা এখনো পাননি।’
তিনি অভিযোগ করেন, মৎস্য অধিদপ্তর মোট মাছের ওজন ৯০০ কেজি কমিয়ে ধরেছে। এ ছাড়া মাছ বিক্রির সময় ঢাকা উত্তর মৎস্যজীবী লীগকে তখন ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছিল।
সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ বিক্রয়ের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের গঠিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের তৎকালীন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবদুর রউফ। বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। আবদুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিক্রি ব্যবস্থাপনার তদারকির দায়িত্ব ছিল আমার। টাকা–পয়সা লেনদেনের বিষয়টা আগের ডিজি স্যার দেখতেন। তবে পুরো টাকা পরিশোধ হয়নি, কিছু বকেয়া থাকতে পারে।’
তখন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন সৈয়দ মো. আলমগীর। অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের সঙ্গে লেনদেন কিছু থাকলে তা পরিশোধ হয়েছে বলে জানি। আদৌ পাওনা আছে কিনা আমার জানা নেই। তাঁদের (ফোয়াব) কোনো বক্তব্য থাকলে মৎস্য অধিদপ্তরে এসে কথা বলতে পারেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শাহরিয়ার খান আনাসসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ...
১ ঘণ্টা আগেএবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণ গন্তব্যের উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ফিরে আসতে হয়েছে। বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমানের একটি ফ্লাইট ২০ মিনিট উড়ে আবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের জন্য আলাদা বুথ থাকবে।’
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার দুপুর ২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে