নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দেশে করোনা সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি, তার লাগাম টানা যেন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। গত এপ্রিল থেকেই এসব এলাকায় সাধারণ সংক্রমণের পাশাপাশি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে দক্ষিণের বিভাগ খুলনা এখন ভারতীয় ধরনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে প্রধান স্থল যোগাযোগ এ অঞ্চলে হওয়ায় এই বিভাগেই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞ পরামর্শকে আমলে না নেওয়া ও করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে অবহেলার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
সীমান্ত এলাকায় উচ্চ সংক্রমণের ফলে সারা দেশে সংক্রমণ হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। শুধু খুলনায় নয়, সীমান্তবর্তী অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে জেলা সদরের শহরগুলোতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত এক মাসের মধ্যে আজ মঙ্গলবার দেশে করোনায় রেকর্ড শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনার ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩২২ জনের। এর আগে গত ৯ মে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ঢাকা বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কম হলেও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে গত দুই দিনে সংক্রমণ ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। মাঝে রাজশাহীর পরিস্থিতি সবার মধ্যে শঙ্কার জন্ম দিলেও এখন সবচেয়ে বাজে অবস্থা খুলনার।
ভারতের সঙ্গে এই বিভাগের ২৮৪ কিলোমিটার সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে বিভাগের কয়েকটি জেলায় ডেলটা ধরনের (বি.১৬১৭. ২) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি চলাচল। বিশেষ করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভারতে যারা আটকা পড়েছেন, তাদের অনেকেই এখন ফিরছেন। এর মধ্যে আবার অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরছেন। ফলে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরন। তবে এখনো ফেরত আসাদের রাখা হচ্ছে দুই সপ্তাহের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। তারপরও থেমে নেই সংক্রমণ।
এ বিভাগের যশোরেই দেশের প্রধান স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে আসা দুজনের মাধ্যমে দেশে ভারতীয় ধরন প্রথম প্রবেশ করে। পরে সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, কক্সবাজার, নাটোর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় এ ধরন ছড়িয়ে পড়ে। গত মাসেই এসব জেলায় সংক্রমণ মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ এই জেলায় কেন্দ্রীয় কোনো অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই। গুরুতর কোভিড রোগীদের ভরসা জেলার একমাত্র ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বর্তমানে ২৬৫টি ছোট-বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। এসব সিলিন্ডার সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ব্যবহার করা যায় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসিএইচ) রোগীদের চাপে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা পাঁচ কিলোলিটার থেকে দশ কিলোলিটারে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে সাধারণ রোগীদের জন্য ৫০০ শয্যা থাকলেও সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দৈনিক গড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২০টি আইসিইউ ও ১৪টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা আছে বলে জানিয়েছেন কেএমসিএইচের পরিচালক বিধান চন্দ্র দাশ।
খুলনা ছাড়াও বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও নড়াইলের হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এসব জেলায় ৪৯টি আইসিইউ ও ৩০৪টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা রয়েছে। তবে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর যে খবর পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এসব জেলায় এই মুহূর্তে ৪৬টি আইসিইউ ও মাত্র ৮৮টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সক্রিয় আছে।
অন্যদিকে যশোর ছাড়াও ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট ও নড়াইলে কোনো আইসিইউ নেই। সীমান্ত চলাচল বন্ধ থাকলেও বেপরোয়া চলাচল ও স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা বাস্তবায়ন না থাকায় ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরায় ক্রমেই ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে করোনা। এরই মধ্যে এসব জেলায় সংক্রমণ মাত্রা ৩০ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, দেশের আট বিভাগের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গত দুদিনে সংক্রমণ মাত্রা ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে আগের দিন ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ সংক্রমণ হার থাকলেও পরদিন তা ১৪ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। খুলনায় ২৩ শতাংশ থেকে প্রায় ৩১ শতাংশে এবং সিলেট বিভাগে ১৩ শতাংশ থেকে এক লাফে প্রায় ১৭ শতাংশে ওঠে। অন্যদিকে কিছুটা কমেছে ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে পরীক্ষার হার বাড়িয়েছি। দ্রুত যাতে রোগী শনাক্ত করা যায়, সে জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র থেকে একটি মেডিকেল টিম চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছে। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। এই মুহূর্তে জরুরি রোগী ছাড়া আর কোনো রোগীকে যেন ভর্তি না নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু এই জেলা নয়, সীমান্তের অন্য এলাকাগুলোতেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে এমন ঊর্ধ্বগতি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ আমলে না নেওয়ার ফল বলে মন্তব্য করেছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আগেই আমরা বলেছিলাম সংক্রমণের তীব্রতা ঈদের পর বাড়বে। এখন তাই হচ্ছে। আমরা বারবার সুপারিশ করেছি, অনেক আগেই অধিক সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু কেন যেন সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।’
ঢাকা: দেশে করোনা সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি, তার লাগাম টানা যেন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। গত এপ্রিল থেকেই এসব এলাকায় সাধারণ সংক্রমণের পাশাপাশি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। এর মধ্যে দক্ষিণের বিভাগ খুলনা এখন ভারতীয় ধরনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে প্রধান স্থল যোগাযোগ এ অঞ্চলে হওয়ায় এই বিভাগেই ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞ পরামর্শকে আমলে না নেওয়া ও করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে অবহেলার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
সীমান্ত এলাকায় উচ্চ সংক্রমণের ফলে সারা দেশে সংক্রমণ হার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালগুলোকে। শুধু খুলনায় নয়, সীমান্তবর্তী অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে জেলা সদরের শহরগুলোতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত এক মাসের মধ্যে আজ মঙ্গলবার দেশে করোনায় রেকর্ড শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনার ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩২২ জনের। এর আগে গত ৯ মে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ঢাকা বিভাগে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা কম হলেও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে গত দুই দিনে সংক্রমণ ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। মাঝে রাজশাহীর পরিস্থিতি সবার মধ্যে শঙ্কার জন্ম দিলেও এখন সবচেয়ে বাজে অবস্থা খুলনার।
ভারতের সঙ্গে এই বিভাগের ২৮৪ কিলোমিটার সীমান্ত সম্পর্ক রয়েছে। এরই মধ্যে বিভাগের কয়েকটি জেলায় ডেলটা ধরনের (বি.১৬১৭. ২) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি চলাচল। বিশেষ করে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভারতে যারা আটকা পড়েছেন, তাদের অনেকেই এখন ফিরছেন। এর মধ্যে আবার অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরছেন। ফলে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরন। তবে এখনো ফেরত আসাদের রাখা হচ্ছে দুই সপ্তাহের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। তারপরও থেমে নেই সংক্রমণ।
এ বিভাগের যশোরেই দেশের প্রধান স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে আসা দুজনের মাধ্যমে দেশে ভারতীয় ধরন প্রথম প্রবেশ করে। পরে সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, কক্সবাজার, নাটোর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় এ ধরন ছড়িয়ে পড়ে। গত মাসেই এসব জেলায় সংক্রমণ মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ এই জেলায় কেন্দ্রীয় কোনো অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই। গুরুতর কোভিড রোগীদের ভরসা জেলার একমাত্র ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বর্তমানে ২৬৫টি ছোট-বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। এসব সিলিন্ডার সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ব্যবহার করা যায় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসিএইচ) রোগীদের চাপে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা পাঁচ কিলোলিটার থেকে দশ কিলোলিটারে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে সাধারণ রোগীদের জন্য ৫০০ শয্যা থাকলেও সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দৈনিক গড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ২০টি আইসিইউ ও ১৪টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা আছে বলে জানিয়েছেন কেএমসিএইচের পরিচালক বিধান চন্দ্র দাশ।
খুলনা ছাড়াও বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও নড়াইলের হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। এসব জেলায় ৪৯টি আইসিইউ ও ৩০৪টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা রয়েছে। তবে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হাসপাতালগুলোর যে খবর পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এসব জেলায় এই মুহূর্তে ৪৬টি আইসিইউ ও মাত্র ৮৮টি হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সক্রিয় আছে।
অন্যদিকে যশোর ছাড়াও ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাট ও নড়াইলে কোনো আইসিইউ নেই। সীমান্ত চলাচল বন্ধ থাকলেও বেপরোয়া চলাচল ও স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা বাস্তবায়ন না থাকায় ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরায় ক্রমেই ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে করোনা। এরই মধ্যে এসব জেলায় সংক্রমণ মাত্রা ৩০ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, দেশের আট বিভাগের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গত দুদিনে সংক্রমণ মাত্রা ৩ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে আগের দিন ৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ সংক্রমণ হার থাকলেও পরদিন তা ১৪ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। খুলনায় ২৩ শতাংশ থেকে প্রায় ৩১ শতাংশে এবং সিলেট বিভাগে ১৩ শতাংশ থেকে এক লাফে প্রায় ১৭ শতাংশে ওঠে। অন্যদিকে কিছুটা কমেছে ঢাকা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে পরীক্ষার হার বাড়িয়েছি। দ্রুত যাতে রোগী শনাক্ত করা যায়, সে জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র থেকে একটি মেডিকেল টিম চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থান করছে। তাঁরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। এই মুহূর্তে জরুরি রোগী ছাড়া আর কোনো রোগীকে যেন ভর্তি না নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু এই জেলা নয়, সীমান্তের অন্য এলাকাগুলোতেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণে এমন ঊর্ধ্বগতি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ আমলে না নেওয়ার ফল বলে মন্তব্য করেছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আগেই আমরা বলেছিলাম সংক্রমণের তীব্রতা ঈদের পর বাড়বে। এখন তাই হচ্ছে। আমরা বারবার সুপারিশ করেছি, অনেক আগেই অধিক সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হোক। কিন্তু কেন যেন সেগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।’
আপাতত পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়াই ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার। আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিবেশ ছাড়পত্র নেওয়ার শর্তে সিরাজগঞ্জের ৫১৯ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার থেকে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ফেরার পরদিন রাজধানী স্কয়ার হাসপাতালে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্কয়ার হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ সিদ্দিক।
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন। রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের (এনটিএফ) এক সভায় বিষয়টি জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ ১২২ জন নাগরিক। তাঁরা মনে করেন, আবুল বারকাতকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা জানান তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে