Ajker Patrika

কুকুর পরিচালনা শিখতে ইতালি যাচ্ছেন পাঁচজন

  • তিনজন যাচ্ছেন প্রাক্‌-জাহাজীকরণ যাচাইয়ে
  • পাঁচজন থাকবেন ১৪ দিন, তিনজন ৭ দিন
  • আসছে ১০ কুকুর, প্রতিটির দাম ১১ লাখ টাকা
আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১৪
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুকুর পরিচালনা শিখতে ও প্রাক্‌-জাহাজীকরণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ইতালি যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাতজনসহ আটজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের গতকাল ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪ দিন এবং তিনজনের সাত দিন দেশটিতে অবস্থানের কথা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পুলিশের ডগ স্কোয়াডের জন্য ইতালি থেকে ১০টি কুকুর কেনার দরপত্রে কার্যাদেশ পেয়েছে তামাম করপোরেশন। প্রতিটি কুকুরের দাম পড়ছে ৯ হাজার ৭২ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ লাখ টাকা। এসব কুকুর পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে দেশটিতে যাচ্ছেন পুলিশের পাঁচজন। এ ছাড়া প্রাক্‌-জাহাজীকরণের (পিএসআই) সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে যাচ্ছেন পুলিশের দুজন কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি। শর্ত অনুযায়ী সব খরচ বহন করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি আদেশের তথ্য অনুযায়ী, কুকুর ব্যবস্থাপনা, হ্যান্ডলিং ও প্রশিক্ষণের জন্য ১৪ দিনের জন্য ইতালি যাওয়ার কথা পুলিশের পাঁচজনের। তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার ওবাইন, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এম রাকিবুল হাসান ভুইয়া, ডিএমপির নায়েক মো. সালাউদ্দিন প্রধান, কনস্টেবল মজুবুর রহমান ও সুজয় মহন্তা জয়। তাঁদের ১৪ জানুয়ারি থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালিতে অবস্থানের কথা আদেশে বলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, এই ১০টি কুকুর দেশে আসার আগে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম সাহাবউদ্দিন আহমেদ, ডিএমপির ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন ইবনে রহমান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির ইতালি যাওয়ার কথা। মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিন সদস্যের এই প্রতিনিধিদল ইতালিতে সাত দিন অবস্থান করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যে ১০টি কুকুর আনা হচ্ছে, সেগুলো ইতালির ভাষা বোঝে। এগুলোকে বাংলা ভাষা বোঝাতে হবে। এ ছাড়া এসব কুকুর পরিচালনা ও দেখভাল করার জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এ কারণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঁচজনকে প্রশিক্ষণের জন্য ইতালি পাঠানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণে যাওয়া-থাকাসহ যাবতীয় খরচ কুকুর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বহন করার কথা। প্রশিক্ষণ, তাঁদের যাতায়াতসহ সব খরচ কষেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কুকুরের দাম ধরেছে।

দেশে পুলিশের বিশেষ ইউনিট র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াড রয়েছে।

সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত সব খরচ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বহন করবে, বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সম্পৃক্ততা থাকবে না। তাঁদের অবস্থানকে কর্তব্যরত হিসেবে গণ্য হবে। অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় কেউ বিদেশে থাকতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে আসার ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। প্রশিক্ষণের পর তাঁদের ডগ স্কোয়াডে কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হামলার টার্গেট ছিলেন না—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ হামলার টার্গেট ছিলেন না—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিবৃতি

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তের কথা উল্লেখ করে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনাব এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তাঁর শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং গুলিতে আহত জনাব এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছে।

সরকার এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী এবং নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

বিবৃতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার এবং বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়—‘আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।’

বিবৃতিতে সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ ছাড়া সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটিতে মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল, এর কারণ হিসেবে যুদ্ধবিমানের পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে তদন্তে।

ঘটনার তিন মাস পর আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রতিবেদনের কিছু তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রেস সচিব বলেন, ‘দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল, পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটি। ট্রেনিংয়ের সময় যখন ফ্লাই করছিলেন, পরিস্থিতি তাঁর আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এটা হচ্ছে কনক্লুশন। এই পুরো তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। তার মধ্যে এক্সপার্ট আছেন, আই উইটনেস আছেন, ভিকটিমস আছেন। সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। উনারা ১৬৮টি তথ্য উদ্‌ঘাটন করেছেন এবং তার মধ্যে তাঁরা ৩৩টি রিকমেন্ডেশন করেছেন। প্রতিবেদনে অনেকগুলো ফাইন্ডিংসে অনেকগুলো রিকমেন্ডেশন এসেছে।’

প্রেস সচিব আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানবন্দর ও আশপাশের ফায়ার স্টেশনগুলোর জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ও ফোমের মতো উপকরণ থাকা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ও অবতরণের পথে যে অংশ পড়ে (ফানেল), তার মধ্যে নির্মিত কাঠামোর উচ্চতার বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এই ওঠানামার পথ বা ফানেলের আশপাশে আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী হাসপাতাল, স্কুল বা বেশি জনসমাগম হয় এমন স্থাপনা নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩৬ জন নিহত হয়, এর অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামও নিহত হন।

এ ঘটনা নিয়ে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত, কারণ, দায়দায়িত্ব ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবধান! ৯৯৯ ক্লোন করে বিকাশ-নগদের পিন চাচ্ছে প্রতারকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
সাবধান! ৯৯৯ ক্লোন করে বিকাশ-নগদের পিন চাচ্ছে প্রতারকেরা

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও ব্যাংকের কার্ডসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর প্রধান অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কখনোই কোনো নাগরিকের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক কার্ডের পিন নম্বর জানতে চায় না। নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সসেবা দেওয়া হয়।

আজ সকাল ১০টার দিকে এ ধরনের দুটি প্রতারণার ঘটনা ঘটে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আরপুর বাগানপাড়া এলাকার এক বাসিন্দাকে প্রতারকেরা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চায়। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সরাসরি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করেন। পরে ৯৯৯ থেকে স্থানীয় থানার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

আরও এক ঘটনায় এক ব্যক্তিকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন করে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানানো হয় এবং বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নম্বর কোনো অবস্থায় কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে বাবা বানানো সেই ইউএনও ওএসডি

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজের চাচা-চাচিকে বাবা-মা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনকে ওএসডি করেছে সরকার। আজ বুধবার তাঁকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কামাল হোসেন তাঁর পিতা-মাতা মো. আবুল কাশেম ও মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে নিজের চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোছা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা দেখিয়ে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা নিতে জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা-১-এর সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু বাদী হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কামাল হোসেনের প্রকৃত মা-বাবা কারা, তা নিশ্চিত হতে গত মঙ্গলবার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরদিন ইউএনও কামাল হোসেনকে ওএসডি করা হলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত