Ajker Patrika

সভায় যান না মন্ত্রী-সাংসদেরা

আজাদুল আদনান, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৯
সভায় যান না মন্ত্রী-সাংসদেরা

সারা দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থার তদারকি এবং রোগী ও কর্মীদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই আছে একটি করে ‘হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’। সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ত্রী-সাংসদেরা এসব কমিটির প্রধান। নিয়ম অনুসারে প্রতি মাসে একটি করে সভা হওয়ার কথা। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের ৮০ শতাংশ হাসপাতালে গত এক বছর কোনো সভাই হয়নি। কিছু হাসপাতালে সভা হয়েছে দু-একটা করে, আর কিছু হাসপাতালে সভা হলেও সেখানে মন্ত্রী-সাংসদেরা উপস্থিত থাকেননি। এ তালিকায় শীর্ষে আছেন মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। নিজের এলাকার হাসপাতালের সভাতেই তিনি উপস্থিত থাকেন না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি, চিকিৎসায় অবহেলা নিয়ে মন্ত্রী-সাংসদেরা বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে কথা বললেও নিজের এলাকার হাসপাতালের উন্নয়ন নিয়ে তাঁরা কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। করোনার সময় সেই দুরবস্থার বিষয়টি সবার সামনে এসেছে। মন্ত্রী-সংসদেরা নিজেদের এলাকার হাসপাতাল নিয়ে সক্রিয় হলে, দেশের চিকিৎসাসেবার পরিস্থিতিই পাল্টে যেত। চিকিৎসা খাতে রাষ্ট্রের যে বিপুল পরিমাণ ব্যয়, তারও সদ্ব্যবহার হতো।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যে যে জনসম্পৃক্ততার কথা বলি, সাংসদেরা এগিয়ে এলেই তা সম্ভব। তাঁরা যুক্ত হলে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতে করে সেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি অনিয়ম রোধ হবে। স্বাস্থ্যকে ভাবতে হবে স্থানীয় জনগণের সম্পত্তি, যার নেতৃত্বে থাকবেন সাংসদেরা। এ দায়িত্ব তাঁরা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।’

দেশে ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ছাড়াও বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় হাসপাতাল আছে ৬১০টি। এসব হাসপাতালে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে। তাদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাসপাতালেই আছে একটি করে ব্যবস্থাপনা কমিটি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান কাজ হলো হাসপাতাল পরিচালনা এবং রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রোগীদের ওষুধ, খাদ্য, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিরাপত্তাসহ যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা। আজকের পত্রিকার ৫০ জন প্রতিনিধি বিভাগ, জেলা ও উপজেলার ৫০টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে যে চিত্র পেয়েছেন তা ভয়াবহ। দেখা গেছে, করোনার সময়ে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা উন্নতির বদলে আরও ভেঙে পড়েছে। এ জন্য কে দায়ী তা নিরূপণ করার জন্য কিছু হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পারি। শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি গত এক বছরে একটিও সভা করেনি। এই কমিটির প্রধান স্থানীয় সাংসদ রাশেদ খান মেনন অনেক দিন দেশের বাইরে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হকের সাফ জবাব, সভাপতি ফিরে এলে সভা হবে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল  ব্যবস্থাপনা কমিটির দু-একটা সভা হলেও উপস্থিত থাকতে পারেননি ঢাকা-১৫ আসনের সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটির সভাপতি হলেই যে সভায় থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আর পরিচালক খলিলুর রহমান বলেছেন, মন্ত্রী না এলেও নিয়মিতই সভা হয়।

করোনার হটস্পট বলে পরিচিত ফরিদপুর। সেখানকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বশেষ সভা হয়েছে গত বছরের মে মাসে। ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন কমিটির সভাপতি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সভা হবে কি হবে না, কবে হবে, সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বলতে পারবে। অন্যদিকে হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কী করে সভা হবে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বছরের শেষের দিক থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সভা হয়নি। কমিটির প্রধান খুলনা-২ আসনের সাংসদ শেখ সালাহউদ্দিন।

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ‘করোনায় গত বছরের শেষের দিকে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনো সশরীরে কোনো সভা হয়নি, তবে ভার্চুয়াল হয়েছে।’

গত দেড় বছরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে সভা হয়েছে চারটি। আবার এসব সভার একটিতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন।

জানতে চাইলে ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।’

পটুয়াখালী সদর ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পটুয়াখালী-১ আসনের সাংসদ শাহজাহান মিয়া।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হাকিম বলেন, সাংসদ বয়স্ক হওয়ায় এলাকায় তেমন আসেন না।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিটি সভায় তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকেন।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ নেছার আহমদ। সর্বশেষ সভা হয়েছে গত বছর।

জেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এম শাহাবুদ্দিন আহমদ। তিনিও নিয়মিত সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সর্বশেষ সভা হয়েছিল গত বছরের ২২ নভেম্বর। এরপর স্থানীয় সাংসদ সময় না দেওয়ায় সভা আর হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের কোনো ব্যবস্থাপনা কমিটি নেই। সদর আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম ওমর (জাপা) তৎকালীন কমিটির সভাপতি ছিলেন।

একাদশ সংসদে জি এম সিরাজ নির্বাচিত হন বগুড়া-৬ (সদর) আসনে। কিন্তু এ সময়কালে কোনো ব্যবস্থাপনা কমিটি হয়নি, সভাও হয়নি।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে গত এক বছরে দুটি সভা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো সভায় বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ শেখ তন্ময় ছিলেন না।

সভা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, সাংসদ সময় না দেওয়ায় অনেক সময় সভা ডাকা সম্ভব হয়নি।

তবে ভিন্ন চিত্র মোংলা ও রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। অধিকাংশ সভায় সভাপতি বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের সাংসদ উপমন্ত্রী তালুকদার হাবিবুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির গত দুই বছরে মাত্র দুটি সভা হয়েছে। দুটিতেই উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

নড়াইল সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা আগের সভাগুলোতে নিয়মিত অংশ নেন। তবে করোনার কারণে এ বছর এখন পর্যন্ত দুটি সভা হয়েছে।

যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাংসদ শাহীন চাকলাদার। গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন।

ভোলার মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ২০২০ সালের জুলাই মাসে হয়েছে। এর মধ্যে করোনার কারণে স্থানীয় সাংসদ এলাকায় আসতে পারেননি বলে বৈঠক হয়নি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা কবে হয়েছে, তা জানে না স্বয়ং কর্তৃপক্ষ। এই কমিটির সভাপতি বেগম রওশন এরশাদ অসুস্থ থাকায় সভা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসক) ডা. জাকিউল ইসলাম।

দেশের সব সরকারি হাসপাতাল কমিটির সভা নিয়মিত হয় কি না, তা তদারকির দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোয় মাসে কিংবা বছরে কতটা সভা হয় তার হিসাব নেই প্রতিষ্ঠানটির কাছে। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশীদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

তবে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সভা না হওয়ার পেছনে কমিটির সভাপতি বড় একটা বিষয়। অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে সমন্বয় না হওয়ায় সভা করা সম্ভব হয় না।

জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. ইকবাল আর্সলান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংসদেরা ভোটের সময় ছাড়া এলাকায় তেমন যান না, বেশির ভাগ সময় তাঁরা ঢাকায় থাকেন। ফলে যে উদ্দেশ্যে কমিটি করা, সেই কাজ তো হয়ই না; বরং বেশি করে বাধা তৈরি করে। আসলে সাংসদদের বদলে মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের এসব কমিটির প্রধান করা উচিত। সাংসদদের তুলনায় তাঁদের দায়বদ্ধতা ও জনসম্পৃক্ততা অনেক বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুমের মামলায় হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।

তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।

পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৩
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’

এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০২
সুদানে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী। ছবি: আইএসপিআর
সুদানে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী। ছবি: আইএসপিআর

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।

ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।

আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত