নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই কমিটি বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। বিষয়গুলো হচ্ছে—
ক. ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশে গেলেন।
খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।
গ. কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
এসব কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনবোধে প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ারও এখতিয়ার থাকবে। প্রয়োজন হলে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতেও পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই কমিটি বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। বিষয়গুলো হচ্ছে—
ক. ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশে গেলেন।
খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।
গ. কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
এসব কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনবোধে প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ারও এখতিয়ার থাকবে। প্রয়োজন হলে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতেও পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই কমিটি বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। বিষয়গুলো হচ্ছে—
ক. ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশে গেলেন।
খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।
গ. কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
এসব কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনবোধে প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ারও এখতিয়ার থাকবে। প্রয়োজন হলে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতেও পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
এই কমিটি বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। বিষয়গুলো হচ্ছে—
ক. ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশে গেলেন।
খ. এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্বে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না।
গ. কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তা নির্ধারণ করা এবং সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করা।
এসব কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনবোধে প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার সহযোগিতা নেওয়ারও এখতিয়ার থাকবে। প্রয়োজন হলে কমিটি নতুন সদস্য কো-অপ্ট করতেও পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
১১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গত ২৭ আগস্ট করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
এরপর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর। গত ২২,২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন।
আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩ জুলাই এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর একই আবেদন দাখিল করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এর পর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর একটি আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গত ২৭ আগস্ট করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
এরপর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর। গত ২২,২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন।
আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩ জুলাই এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর একই আবেদন দাখিল করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এর পর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর একটি আবেদন করেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে ২০২৫
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
১১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
১২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের নিরাপত্তা
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। বাহিনীর বিরাট একটি অংশকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে বিশেষ করে ‘মব’ ঠেকানোর কৌশলও শিখছেন তাঁরা।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সহিংসতাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’ এ সময় প্রশিক্ষণের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত যুগোপযোগী, আধুনিক। অডিও-ভিডিও ধারণ, ‘মব’ নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন, নির্বাচনী বিধিবিধান —সবকিছুই প্রশিক্ষণে থাকছে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য গত জুনে মডিউল তৈরি করে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেয় পুলিশ। মডিউলে নির্বাচনের চার ধাপ—তফসিল ঘোষণার আগের সময়, তফসিল ঘোষণার পরের সময়, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইনবিধি অবহিতকরণ, জনতার ভিড় বা ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, চার ধাপে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তাঁরা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গিয়ে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনটি ধাপের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে চতুর্থ ধাপে সারা দেশে ১৩০টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে একযোগে এ প্রশিক্ষণ চলছে। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও মানসিক প্রস্তুতি বাড়াতে প্রশিক্ষণে রাখা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ছোট ফিল্ম ও তথ্যবহুল বুকলেট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এই ধাপে মাঠপর্যায়ের সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ পাবেন। চার ধাপে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নেবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ নেওয়া একাধিক পুলিশ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, জনতার বিক্ষোভ বা ‘মব’ সামাল দেওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি বা কৌশল গ্রহণের ওপর প্রশিক্ষণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব ও ক্ষমতা কতটুকু, তা প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে ‘মব’ ও সহিংসতা ঠেকাতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে। ফলে উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগেই তা প্রশমিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সহিংস এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে আগেই স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব কী, আইন অনুযায়ী কী করতে পারবে—এসব বিষয় প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে। তাঁরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং ‘মব’ সৃষ্টি হলে আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণের বিধান আছে, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহযোগিতা নেবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশে ২ লাখ ৩ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ সদস্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটেও তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। মাঠপর্যায়ে উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে চারজন পুলিশ সদস্য থাকবেন।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ‘গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশিক্ষণে তাঁরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। কিছু নতুন সদস্য রয়েছেন। প্রশিক্ষণে কোন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সে বিষয়ে ক্লাসের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) শাহাদাত হোসাইন বলেন, এবারের নির্বাচনের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাই আগে থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখা থেকে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বাজেটের পর তা সমন্বয় করা হতে পারে। পুলিশ সদস্যরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, প্রশিক্ষণে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। বাহিনীর বিরাট একটি অংশকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে বিশেষ করে ‘মব’ ঠেকানোর কৌশলও শিখছেন তাঁরা।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সহিংসতাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’ এ সময় প্রশিক্ষণের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত যুগোপযোগী, আধুনিক। অডিও-ভিডিও ধারণ, ‘মব’ নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন, নির্বাচনী বিধিবিধান —সবকিছুই প্রশিক্ষণে থাকছে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য গত জুনে মডিউল তৈরি করে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেয় পুলিশ। মডিউলে নির্বাচনের চার ধাপ—তফসিল ঘোষণার আগের সময়, তফসিল ঘোষণার পরের সময়, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইনবিধি অবহিতকরণ, জনতার ভিড় বা ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, চার ধাপে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তাঁরা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গিয়ে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনটি ধাপের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে চতুর্থ ধাপে সারা দেশে ১৩০টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে একযোগে এ প্রশিক্ষণ চলছে। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও মানসিক প্রস্তুতি বাড়াতে প্রশিক্ষণে রাখা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ছোট ফিল্ম ও তথ্যবহুল বুকলেট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এই ধাপে মাঠপর্যায়ের সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ পাবেন। চার ধাপে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নেবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ নেওয়া একাধিক পুলিশ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, জনতার বিক্ষোভ বা ‘মব’ সামাল দেওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি বা কৌশল গ্রহণের ওপর প্রশিক্ষণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব ও ক্ষমতা কতটুকু, তা প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে ‘মব’ ও সহিংসতা ঠেকাতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে। ফলে উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগেই তা প্রশমিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সহিংস এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে আগেই স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব কী, আইন অনুযায়ী কী করতে পারবে—এসব বিষয় প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে। তাঁরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং ‘মব’ সৃষ্টি হলে আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণের বিধান আছে, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহযোগিতা নেবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশে ২ লাখ ৩ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ সদস্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটেও তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। মাঠপর্যায়ে উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে চারজন পুলিশ সদস্য থাকবেন।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ‘গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশিক্ষণে তাঁরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। কিছু নতুন সদস্য রয়েছেন। প্রশিক্ষণে কোন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সে বিষয়ে ক্লাসের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) শাহাদাত হোসাইন বলেন, এবারের নির্বাচনের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাই আগে থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখা থেকে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বাজেটের পর তা সমন্বয় করা হতে পারে। পুলিশ সদস্যরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, প্রশিক্ষণে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে ২০২৫
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
১১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তার আগে সার্বিক বিষয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কয়েকজন উপদেষ্টা একবার বৈঠকে বসবেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটো সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই গণভোট, নোট অব ডিসেন্ট, পিআর পদ্ধতিসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে চলে যায় বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়; কিন্তু দলগুলো সমঝোতায় আসেনি। জামায়াতে ইসলামী আলোচনার ডাক দিলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোনো দল নয়, সরকার ডাকলে আলোচনায় অংশ নেবে তারা।
দলগুলোকে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ বৈঠকে বসছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র দাবি করেছে, বৈঠকটি বিশেষ নয়। নির্বাচনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে যমুনায় আলোচনা করেন। এই বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকের অ্যাজেন্ডা চূড়ান্তকরণসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, আজকের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও সাধারণত অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পরিষদের অন্যান্য উপদেষ্টাকে ডাকেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আলোচনার জন্য সরকারের বরাদ্দ করা সাত দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই। জুলাই সনদ ও গণভোট বিষয়ে সরকার শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে।
জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করা বা আগে করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সরকার একসঙ্গে বসে সামষ্টিকভাবে এ সিদ্ধান্তটা নেবে। আপনাদের খুব দ্রুতই এটা আমরা জানিয়ে দেব।’ নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগই আমার নেই। সরকারের অংশ হিসেবে আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। সরকার যখন বসবে, এ বিষয়ে আলোচনা করবে। আলোচনা করে যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখন সেটা আপনারা জানবেন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেয় সরকারকে। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন; নির্ধারিত সময় পার হলে বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়। সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। দুটি প্রস্তাবেই সংস্কার পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তার আগে সার্বিক বিষয় নিয়ে আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কয়েকজন উপদেষ্টা একবার বৈঠকে বসবেন।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটো সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপরই গণভোট, নোট অব ডিসেন্ট, পিআর পদ্ধতিসহ কয়েকটি বিষয়ে বিপরীতমুখী অবস্থানে চলে যায় বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়; কিন্তু দলগুলো সমঝোতায় আসেনি। জামায়াতে ইসলামী আলোচনার ডাক দিলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোনো দল নয়, সরকার ডাকলে আলোচনায় অংশ নেবে তারা।
দলগুলোকে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আজ বৈঠকে বসছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র দাবি করেছে, বৈঠকটি বিশেষ নয়। নির্বাচনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে যমুনায় আলোচনা করেন। এই বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকের অ্যাজেন্ডা চূড়ান্তকরণসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। তারই অংশ হিসেবে আজকের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। অনানুষ্ঠানিকভাবে সনদ বাস্তবায়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, আজকের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও সাধারণত অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পরিষদের অন্যান্য উপদেষ্টাকে ডাকেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আলোচনার জন্য সরকারের বরাদ্দ করা সাত দিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নেই। জুলাই সনদ ও গণভোট বিষয়ে সরকার শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানাবে।
জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করা বা আগে করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সরকার একসঙ্গে বসে সামষ্টিকভাবে এ সিদ্ধান্তটা নেবে। আপনাদের খুব দ্রুতই এটা আমরা জানিয়ে দেব।’ নির্বাচনের আগে গণভোট করার কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগই আমার নেই। সরকারের অংশ হিসেবে আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। সরকার যখন বসবে, এ বিষয়ে আলোচনা করবে। আলোচনা করে যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখন সেটা আপনারা জানবেন।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নে দুটো বিকল্প প্রস্তাব দেয় সরকারকে। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন; নির্ধারিত সময় পার হলে বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়। সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। দুটি প্রস্তাবেই সংস্কার পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে ২০২৫
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে।
১২ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হবে। ওই দিন আবার ঢাকা লকডাউনের হুমকি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ককটেল-আগুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক আরও বাড়ল।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগের, তা মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমও। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।’
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরিস্থিতি একটু উন্নত হতো মন্তব্য করে আইজিপি আরও বলেন, ‘কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নেই। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে, যেসব জায়গায় ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করার। আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাব। কারণ, জনপ্রতিনিধি ও জনগণই বড় শক্তি।’
ককটেল বিস্ফোরণ
গতকাল ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং বাংলামোটর এলাকায় ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সব জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে আসা ব্যক্তিরা ককটেল ছোড়ে এবং বাসে আগুন দেয়। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেটগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশমুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগের নমুনা এবং বিস্ফোরিত অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে। এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুরে মেরে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর আরেকটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যায়। ঘটনার পর আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা এবং বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গতকাল ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ৯/এ সড়কে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুটি জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসে ককটেল ছোড়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি মোটরসাইকেলে করে দু-তিনজন এসে দুটি ককটেল ছোড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাতটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও একইভাবে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভারব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনটি বাসে আগুন
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও গতকাল ভোরে রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ বলেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী ভিক্টর পরিবহনে এবং মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর সড়কে ল্যাবএইডের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে বের হয়ে যায় তারা।
রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রাতদিন পুলিশের টহলে থাকে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে একযোগে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি তারা।
ঢাকার বাইরে দুই জায়গায় আগুন
রাজধানীর বাইরে দুই জায়গায় নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশের নজরদারি জোরদার
এসব নাশকতার ঘটনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের সব ইউনিটকে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারি জোরদারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সরকারি স্থাপনা, পরিবহন টার্মিনাল, দলীয় কার্যালয় ও কৌশলগত মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে নতুন চেকপোস্ট। সাইবার ইউনিটকেও সক্রিয় করা হয়েছে; যাতে সামাজিক মাধ্যমে গুজব, উসকানি বা অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের হোস্টেল, মেস, বাসাবাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হবে। ঝটিকা মিছিল কিংবা আকস্মিক সমাবেশ দেখলে তাৎক্ষণিক ছত্রভঙ্গ এবং অংশগ্রহণকারীদের আটক করার নির্দেশনা রয়েছে। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরেও এই সময়ে ঘটেছে নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর রশি-টানাটানি, অস্থিরতা চলছে। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ঘোষণা করা হবে। ওই দিন আবার ঢাকা লকডাউনের হুমকি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। সব মিলিয়ে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ককটেল-আগুনের ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক আরও বাড়ল।
পরিস্থিতি যে উদ্বেগের, তা মনে করছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমও। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকে।’
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে পরিস্থিতি একটু উন্নত হতো মন্তব্য করে আইজিপি আরও বলেন, ‘কিন্তু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য নেই। তারপরও পুলিশ চেষ্টা করছে, যেসব জায়গায় ত্রুটি রয়েছে সেগুলো ঠিক করার। আগামী আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানাব। কারণ, জনপ্রতিনিধি ও জনগণই বড় শক্তি।’
ককটেল বিস্ফোরণ
গতকাল ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং বাংলামোটর এলাকায় ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ছাড়া ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সব জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে আসা ব্যক্তিরা ককটেল ছোড়ে এবং বাসে আগুন দেয়। তাদের মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেটগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনাকেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, তিনজন নিরাপত্তাকর্মী এবং একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশমুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগের নমুনা এবং বিস্ফোরিত অংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে। এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুরে মেরে মিরপুর ১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর আরেকটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যায়। ঘটনার পর আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা এবং বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গতকাল ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ৯/এ সড়কে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল পৌনে সাতটা থেকে সাতটার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুটি জায়গাতেই মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসে ককটেল ছোড়া হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা বলেন, সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাইডাস সেন্টারের সামনে একটি মোটরসাইকেলে করে দু-তিনজন এসে দুটি ককটেল ছোড়ে এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাতটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও একইভাবে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভারব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনটি বাসে আগুন
ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ছাড়াও গতকাল ভোরে রাজধানীর বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ বলেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী ভিক্টর পরিবহনে এবং মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিরপুর সড়কে ল্যাবএইডের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে বের হয়ে যায় তারা।
রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রাতদিন পুলিশের টহলে থাকে বলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তবে একযোগে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি তারা।
ঢাকার বাইরে দুই জায়গায় আগুন
রাজধানীর বাইরে দুই জায়গায় নাশকতামূলক আগুনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশের নজরদারি জোরদার
এসব নাশকতার ঘটনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মাঠপর্যায়ের সব ইউনিটকে বাড়তি নিরাপত্তা, টহল ও নজরদারি জোরদারের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সরকারি স্থাপনা, পরিবহন টার্মিনাল, দলীয় কার্যালয় ও কৌশলগত মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয়েছে নতুন চেকপোস্ট। সাইবার ইউনিটকেও সক্রিয় করা হয়েছে; যাতে সামাজিক মাধ্যমে গুজব, উসকানি বা অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের হোস্টেল, মেস, বাসাবাড়ি এবং আবাসিক হোটেলে তল্লাশি চালানো হবে। ঝটিকা মিছিল কিংবা আকস্মিক সমাবেশ দেখলে তাৎক্ষণিক ছত্রভঙ্গ এবং অংশগ্রহণকারীদের আটক করার নির্দেশনা রয়েছে। গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেওয়া হবে না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে গেছেন। এ ঘটনা তদন্তের জন্য আজ রোববার (১১ মে) উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মে ২০২৫
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসেনি; এমনকি কোনো আলোচনায়ও বসেনি। এ অবস্থায় সরকার এখন নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের
১১ ঘণ্টা আগে