Ajker Patrika

সামান্যতম অপরাধীদের ক্ষেত্রেও ক্ষমাশীল হবেন না, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ইসি রাশেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৩৬
সামান্যতম অপরাধীদের ক্ষেত্রেও ক্ষমাশীল হবেন না, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ইসি রাশেদা

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দৃশ্যমান একটা শাস্তি দেখাবেন, যাতে জনগণ জানে বোঝে এটা করলে শাস্তি হয়। আপনারা মাঠে থাকবেন। প্লিজ আপনারা দয়া করে কোথাও কোনো জায়গায় বসে থাকবেন না। আপনারা অবশ্যই ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকবেন। 

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। 

ইসি রাশেদা বলেন, ‘সামান্যতম অপরাধ যাঁরা করবেন, তাঁদের প্রতি আপনারা কখনোই ক্ষমাশীল হবেন না। কখনোই কর্তব্যের প্রতি অবহেলা করবেন না। আপনি সাহসিকতা, নির্ভীকতার সঙ্গে করবেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে আসার পর এ পর্যন্ত স্থানীয় বিভিন্ন নির্বাচন, উপনির্বাচন থেকে শুরু করে প্রায় ১২০০ নির্বাচন করেছি। প্রত্যেকটাতেই ছোট-ছোট ঘটনা ছাড়া, বড় ধরনের কোনো সহিংসতা, রক্তপাত কোনো কিছুই ঘটেনি।’ 

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা চাই বা না চাই এখানে অনেকগুলো অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকে প্রার্থীর দ্বারা, পোলিং পারসোনালদের দ্বারা। অনেক সময় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমরা যাঁরা থাকি, তাঁদের উদাসীনতার কারণেও ব্যত্যয় হয়ে থাকে। এ ব্যত্যয়গুলো যদি ঘটতে থাকে, তাহলে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকে না।’ 

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের একজন বড় বোন হিসেবে বলতে-জানাতে চাই, আপনারা কিন্তু আপনাদের দায়িত্বটা খুব সুচারুভাবে পালন করবেন। সমন্বয় হয়নি, ভালোমতো কাজ করা হয়নি, এই বিষয়টি শুনলে আমি খুবই দুঃখ পাব। কারণ আমি আপনাদের বিচার বিভাগেরই একজন বড় বোন। আমি খুব লজ্জাও পাব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ যাঁকে পছন্দ করবে, তাঁকেই তাঁরা নির্বাচিত করবেন। তাঁদের দিয়েই দেশ পরিচালিত হবে। তাঁরাই জনগণের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইম রহমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে তাঁকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছিল।

মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে। মাদারীপুরে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে গত রোববার সকালে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন নাইম রহমান। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর মিরপুরের উত্তর পীরেরবাগ এলাকায় থাকেন। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা সাজ্জাদ রহমান জলি থানায় জিডি করেন।

জিডিতে সাজ্জাদ রহমান উল্লেখ করেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে ছেলে বাসা থেকে মতিঝিল শাখায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু অফিস শেষে আর বাসায় ফেরেননি। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন তিনি অফিসে উপস্থিত হন। তবে দুপুর ১২টার পর নিজের ব্যাগ ও অফিসের পরিচয়পত্র কর্মস্থলে রেখে কোথাও বের হন এবং আর ফিরে আসেননি।

উদ্ধারের আগে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত হয় সায়েদাবাদ এলাকায়। সেদিন দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটে তিনি নিজের ব্যাচের এক সহকর্মীকে বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় মানসিক অস্থিরতা বা হতাশার আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ঘটনার রহস্য ও নিখোঁজের কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিল্লি বিস্ফোরণে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সংবাদ উড়িয়ে দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, সেগুলো ‘বিশ্বাসের কোনো কারণ’ নেই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাই কিছু ঘটুক না কেন, (ভারতীয়) মিডিয়া আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবেই। কিন্তু কোনো কারণ নাই এটা বিশ্বাস করার, কোনো সেন্সিবল লোক তো এটা বিশ্বাস করবে না। কাজেই এটা নিয়ে আমরা বদার্ড না।’

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। ভারতীয় সরকার একে ‘নাশকতা’ বললেও কে বা কারা এর জন্য দায়ী, তা নিশ্চিত করেনি। এবিষয়ে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ঘটনার তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি।

তবে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই তৈয়বাকে দায়ী করা হচ্ছে এই হামলার জন্য। সেই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে এই গোষ্ঠী ভারতে হামলা চালাচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের জাতিসংঘে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কেউ জাতিসংঘে যেকোনো কিছু নিয়ে আবেদন করতে পারে। ‘জাতিসংঘ যদি বাংলাদেশকে কিছু বলে, তখন আমরা দেখব। জাতিসংঘ আমাদের কিছু বলেনি।’

মার্কিন সিনেটে কণ্ঠভোটে পাস হওয়া ‘থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট’ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতি বজায় রেখেছে এবং রাখবে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা নেই।

বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা খাতে চীনের আধিপত্য রোধ করতে থিঙ্ক টোয়াইস অ্যাক্ট-২০২৫ নামে নতুন একটি আইন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ চীন থেকে সমরাস্ত্র কিনলে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাসহ অর্থনৈতিক বিধিনিষেধে পড়তে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনসিসি সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাসস, ঢাকা  
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং
যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেন। ছবি : সিএ প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) কার্যক্রমের গুণগত মান ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বিএনসিসির মাধ্যমে জাতীয় রূপান্তর’ শীর্ষক উপস্থাপনার পরে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। উপস্থাপনাটি পেশ করেন বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ।

সভায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সঈদ আল মসউদ বিএনসিসির বর্তমান কাঠামো, তরুণ কর্মশক্তি উন্নয়ন কাঠামো, জাতীয় যুব কর্মপরিকল্পনা, জনবল নিয়োগ, বাজেট, চ্যালেঞ্জ এবং সুপারিশের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

তিনি জানান, বর্তমানে বিএনসিসির আওতায় ৫৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর শাখা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আল মসউদ বলেন, ‘বিএনসিসিতে যোগদানের বয়সসীমা ১৭ থেকে ১৮ বছর। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ লাখ দক্ষ ক্যাডেট প্রশিক্ষণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনসিসির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে বলেন, গুণগত প্রশিক্ষণ ও ভবিষ্যতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বিএনসিসির পক্ষে, কিন্তু আমাদের নজর দিতে হবে গুণগত মানে—বিশ্বাসযোগ্য ও যোগ্য প্রশিক্ষক থাকতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের মনোযোগী হতে হবে এবং ভবিষ্যতমুখী ভাবনা নিতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনুস আত্মমর্যাদা, শৃঙ্খলা ও অন্তর্ভুক্তিকে বিএনসিসির মূল মূল্যবোধ হিসেবে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনসিসি মানে আত্মমর্যাদা ও শৃঙ্খলা। ক্যাডেটদের জন্য এমন একটি সনদপ্রদান ব্যবস্থা থাকতে হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগও তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনসিসি শুধু ছেলেদের জন্য নয়; মেয়েদের সমান অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনসিসিকে আরও কার্যকর ও কর্মমুখী করে তুলতে হবে। ‘কোন পরিস্থিতিতে আমরা এই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগাতে পারি, তা বিবেচনা করতে হবে।’ 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান সাম্প্রতিক জাতীয় ঘটনাগুলোতে বিএনসিসির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘যোগ্য প্রশিক্ষক নিয়োগকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিএনসিসি ক্যাডেটরা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছিল—এটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’

প্রধান উপদেষ্টা বিএনসিসি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে তরুণদের উন্নয়নকে জাতীয় রূপান্তরের মূলধারায় একীভূত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন ২২ বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

হাইকোর্ট বিভাগে ২২ জন বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ জন অতিরিক্ত বিচারককে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ নেওয়ার তারিখ হতে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে ২২ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন।

২২ বিচারপতি হলেন—

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন, বিচারপতি মো. মনসুর আলম, বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর, বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেন, বিচারপতি মুবিনা আসাফ, বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকা, বিচারপতি মো. আবদুল মান্নান, বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদী, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ, বিচারপতি মো. হামিদুর রহমান, বিচারপতি নাসরিন আক্তার, বিচারপতি সাথীকা হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, বিচারপতি মো. তৌফিক ইনাম, বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী, বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ, বিচারপতি মো. সগীর হোসেন ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২৩ জনের মধ্যে বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী ছিলেন। তাঁর বয়স এখনো ৪৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় তাঁকে এবার স্থায়ী করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত