Ajker Patrika

বিপিএম-পিপিএম পাচ্ছেন পুলিশের ১১৫ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১০: ২৪
বিপিএম-পিপিএম পাচ্ছেন পুলিশের ১১৫ সদস্য

আগামী ৩ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ শুরু হচ্ছে। এবারের আয়োজনে ১১৫ জন পুলিশ সদস্য পাবেন বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)। আজ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

ওই দিন সকালে রাজধানীর রাজারবাগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ষিক পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। দুপুরে তিনি পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ প্যারেডে অংশ নেবেন। এরপর ২০২২ সালে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ১১৫ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রদান করা হবে। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি শেষ হবে এবারের পুলিশ সপ্তাহ। 

এবারের বিপিএম ও পিপিএম পদক পাবেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মও. মাহাবুবর রহমান, খুলনা মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ, রাজারবাগরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ও ডিআইজি সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি মনির হোসেন, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (এইচআর) কাজী জিয়া উদ্দীন, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআিইজি (হেডকোয়ার্টার) মিয়া মাসুদ করীম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সঞ্চিত কুমার রায়, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (অডিট-২) মোছা. শেহেলা পারভীন, র‍্যাব-১ এর লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন, র‍্যাবের এয়ার উইংয়ের লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, র‍্যাবের অপারেশনস উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান তালুকদার, র‍্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ, র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ, র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ, র‍্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) লে. কর্নেল আবু নাঈম মও. তালাত, র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, ৮ এপিবিএনর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান, নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (এমপি অ্যান্ড ওয়ার্কস) আবু হাসান, পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদ, ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপপুলিশ কমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া, ডিএমপির উত্তরা বিভাগরে উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।

এছাড়া, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, সিআইডির সিরিয়ার ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম, ডিএমপির রমনা বিভাগরে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, এপিবিএন-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মির্জা আহমদ সাইফুর রহমান, র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার মেজর সৌরভ মো. অসীম শাতিল, র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার স্কোয়াড্রন লিডার আলী আশরাফ তুষার, র‍্যাব গোয়েন্দা শাখার লে. কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ, পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের পুলিশ লিয়াজো অফিসার এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন, পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইসতিয়াক উর রশিদ, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ ত ম আব্দুল্লাহেল হাদী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসমা আখতার, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস রহমান, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহান, আইজিপির স্টাফ অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন সরকার, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাসমিন আক্তার, ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মির্জা সালাহউদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ, ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল, ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহিদুর রহমান, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর মোহাম্মদ আলী চিশতী, ডিএমপির ডিবিরি অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল পাটওয়ারী, ডিএমপির আইএডি বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আবু নোমান, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারভীর হোসেন।

ঢাকা সিটি এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শেখ রাসেল, এপিবিএন ১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম, ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীমা আক্তার সুমী, এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক আহমেদ আস সাদিক, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান হোসেন মো. জুয়েল আমিন, রাজশাহী সারদার বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনজুর এ খোদা, ডিএমপির এসি মো. হুমায়ুন কবির, ডিএমপির এসি মো. সাইফুল ইসলাম, ডিএমপির এসি মো. মাহমুদ খান, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয় সার্কেলের এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সহকারী পরিচালক ইমরানুল ইসলাম, র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এএসপি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, র‍্যাব-৭ এর এএসপি মো. রায়হান উদ্দিন মোরাদ, পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার এম সাইফুল ইসলাম খালিদ, টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা জেলা নৌপুলিশের পরিদর্শক মো. মোমেনুর রহমান, এসবির পুলিশ পরিদর্শক আবু শহীদ মো. কামরুল আহসান, এসবির পুলিশ পরিদর্শক জুবায়ের আহমেদ খান, ডিএমপির তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসা, ডিএমপির পল্টনের ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়া, পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, এসবির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

আরও আছেন, চট্টগ্রামের বাশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন, ভোলার মনপুরা থানার ওসি সাঈদ আহমেদ, যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার, পুলিশ সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার এসআই আবুল কালাম আসাদ, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের নিহত এসআই জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা জেলা পুলিশের এসাআই মো. হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩ এর কামরুল হাসান, ঢাকা জেলার পিবিআইর এসআই সালেহ ইমরান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট রেকসানা খাতুন, ডিএমপির পরিবহন বিভাগরে এএসআই মো. শফিক উদ্দিন, এসবির এএসআই মো. রাজ্জাক, নরসিংদী ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. হারুন অর রশিদ, সিআইডির এএসআই মো. জুয়েল রানা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এএসআই মো. ইয়াছিন, সিরাজগঞ্জ ডিএসবির এএসআই কৃষ্ণ কান্ত রায়, র‍্যাব-৯ এর নিহত ল্যান্স কর্পোরাল মো. মাহমুদুল হাসান, হবিগঞ্জ জেলার কনস্টেবল মো. আলিম খান, র‍্যাব-১৫ এর কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলার ড্রাইভার কনস্টেবল মো. তুহিন হোসেন, ডিএমপির সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল টিমের কনস্টেবল জয়নন্দ বড়ুয়া এবং হাইওয়ে পুলিশের নিহত কনস্টেবল মোতাহের বিল্লাহ লিগন।

এরই মধ্যে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ৪ জানুয়ারি সকালে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ওই অনুষ্ঠান হবে। একই দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিন অন্যান্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নেবেন। ৬ জানুয়ারি আইন শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করবেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরের দিন আইজিপি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ দিন পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি, পুলিশ অফিসার্স মেস এবং পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা হবে। 

পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এবারের পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিন ৮ জানুয়ারি সকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে, বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে এবং সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম করে নির্যাতন: হাসিনাসহ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।

তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।

পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৩
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’

এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০২
সুদানে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী। ছবি: আইএসপিআর
সুদানে নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী। ছবি: আইএসপিআর

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।

ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।

আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৬
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’

তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত