নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অতীতের দুর্গাপূজার মতো এবারও পূজার প্রতিমায় নানা অবয়ব ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এতে কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না বলে মনে করছে সংগঠনটি। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি বাসুদেব ধর।
তিনি বলেন, ‘একটা বেদনাদায়ক অধ্যায় তুলে ধরতে চাই। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হলেও কোনো কোনো প্রতিমায় অবয়বে অশুভ শক্তির প্রকাশে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গী বা অসচেতনতাকে কেন্দ্র করে সরকারের পদক্ষেপে কোনো কোনো জেলায় উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবার পর মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গত ৫ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অজুহাতে শিল্পী, পূজারী ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করার পর কিছু কিছু পদক্ষেপের কথা জানা যাচ্ছে।’
বাসুদেব ধর বলেন, ‘প্রতিমায় যে অবয়ব প্রকাশের কথা বলা হচ্ছে, তা নতুন বা হঠাৎ করে এ বছরই হয়েছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। অতীতে অনেক প্রতিমায় তা শিল্পী বা অয়োজকরা নানাভাবে প্রকাশ করেছেন। এবার কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। থানায় ডায়েরি দায়ের ও সরকারি তদন্তের কথা বলা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশেষ করে পূজোর আয়োজক ও প্রতিমা শিল্পীদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পূজা-পার্বনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার, সেনাবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি একযোগে দাঁড়িয়ে এক রাতের মধ্যেই সমস্যাটির সমাধান করি। একসঙ্গে কাজ করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সংকট উত্তরণের এক নজির স্থাপিত হয়, পুজোর উৎসবে ভাটা পড়েনি। অথচ পুজো শেষ হওয়ার পর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎসাহিত করতে পারে।’
এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে ‘সারা দেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে’ তথ্য দিয়ে সম্প্রতি এক বৈঠকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করাসহ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। উপদেষ্টার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাসুদেব ধর বলেন, ‘বাংলাদেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই উৎসব আয়োজনে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের পাশে ছিল। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছি।’
দুর্গোৎসব শুরুর আগে অন্তত ১৪টি জেলায় প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে কয়েকটি স্থানে দুর্বৃত্তরা ধরা পড়েছে। পুজোর পাঁচদিন দেশের কোথাও বড় মাত্রায় অঘটনের কোনো খবর আমরা পাইনি। পুজোর পরেও অদ্যাবধি সেরকম কোনো খবর আসেনি।’
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও সাম্প্রদায়িক ঘটনা, ‘অস্বীকারের রাজনীতি’ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছর ধরে আমরা দেখে এসেছি, অস্বীকারের রাজনীতি। বাস্তবতা এড়িয়ে সমস্যা-সংকটের অবসান হবে না। পরিসংখ্যান অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এই ৫৪ বছরে হিন্দু সংখ্যালঘু জনসংখ্যা প্রায় ১৮ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা বাস্তবতা অনুসন্ধানে সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সহসভাপতি গোপাল চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
অতীতের দুর্গাপূজার মতো এবারও পূজার প্রতিমায় নানা অবয়ব ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। এতে কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না বলে মনে করছে সংগঠনটি। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি বাসুদেব ধর।
তিনি বলেন, ‘একটা বেদনাদায়ক অধ্যায় তুলে ধরতে চাই। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত সুন্দরভাবে উদ্যাপিত হলেও কোনো কোনো প্রতিমায় অবয়বে অশুভ শক্তির প্রকাশে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গী বা অসচেতনতাকে কেন্দ্র করে সরকারের পদক্ষেপে কোনো কোনো জেলায় উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবার পর মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গত ৫ অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অজুহাতে শিল্পী, পূজারী ও আয়োজকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করার পর কিছু কিছু পদক্ষেপের কথা জানা যাচ্ছে।’
বাসুদেব ধর বলেন, ‘প্রতিমায় যে অবয়ব প্রকাশের কথা বলা হচ্ছে, তা নতুন বা হঠাৎ করে এ বছরই হয়েছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। অতীতে অনেক প্রতিমায় তা শিল্পী বা অয়োজকরা নানাভাবে প্রকাশ করেছেন। এবার কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি না। থানায় ডায়েরি দায়ের ও সরকারি তদন্তের কথা বলা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশেষ করে পূজোর আয়োজক ও প্রতিমা শিল্পীদের মাঝে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে যেকোনো পূজা-পার্বনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’
বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার, সেনাবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি একযোগে দাঁড়িয়ে এক রাতের মধ্যেই সমস্যাটির সমাধান করি। একসঙ্গে কাজ করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সংকট উত্তরণের এক নজির স্থাপিত হয়, পুজোর উৎসবে ভাটা পড়েনি। অথচ পুজো শেষ হওয়ার পর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎসাহিত করতে পারে।’
এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে ‘সারা দেশে ৭৯৩টি পূজামণ্ডপে অসুরের মুখে দাড়ি লাগানো হয়েছে’ তথ্য দিয়ে সম্প্রতি এক বৈঠকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করাসহ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। উপদেষ্টার এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাসুদেব ধর বলেন, ‘বাংলাদেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই উৎসব আয়োজনে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের পাশে ছিল। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোরও সক্রিয় সহযোগিতা পেয়েছি।’
দুর্গোৎসব শুরুর আগে অন্তত ১৪টি জেলায় প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে কয়েকটি স্থানে দুর্বৃত্তরা ধরা পড়েছে। পুজোর পাঁচদিন দেশের কোথাও বড় মাত্রায় অঘটনের কোনো খবর আমরা পাইনি। পুজোর পরেও অদ্যাবধি সেরকম কোনো খবর আসেনি।’
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও সাম্প্রদায়িক ঘটনা, ‘অস্বীকারের রাজনীতি’ অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছর ধরে আমরা দেখে এসেছি, অস্বীকারের রাজনীতি। বাস্তবতা এড়িয়ে সমস্যা-সংকটের অবসান হবে না। পরিসংখ্যান অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এই ৫৪ বছরে হিন্দু সংখ্যালঘু জনসংখ্যা প্রায় ১৮ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা বাস্তবতা অনুসন্ধানে সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সহসভাপতি গোপাল চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৈশ্বিক পানি ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা, স্থায়িত্ব ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের টিকে থাকার জন্য আন্তসীমান্ত সহযোগিতা অপরিহার্য।
৪০ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। আমরা আয়তনে ইতালির অর্ধেক। তবুও আমরা ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিচ্ছি। পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছি।’
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের উজানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় ৭৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০৮টি বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিবেশী দেশটির বিদ্যুৎ পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষ (সিইএ)। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে...
২ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এরই মধ্যে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ দলগুলো দুজন করে প্রতিনিধির নাম ঐকমত্য কমিশনে পাঠিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে রাজনৈতিক...
৩ ঘণ্টা আগে