Ajker Patrika

নৌ মন্ত্রণালয়ের পাঁচ প্রকল্প থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ৪৮
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ফাইল ছবি

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি প্রকল্প থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের অর্জন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, গত এক বছরে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প থেকে ২১৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মিঠামইন প্রকল্প থেকে ২৭০ কোটি টাকা, বিআইডব্লিউটিএর ৩৫ ড্রেজার প্রকল্প থেকে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, মেরিন একাডেমির সিমুলেটর প্রকল্প থেকে ১৩৩ কোটি টাকা এবং পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেল ড্রেজিং প্রকল্প থেকে ৫৬৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। নদী-পরিবেশদূষণকারী হোটেলকে শুধু জরিমানা নয়, বন্ধও করে দেওয়া উচিত।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কারিগরি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আলাদা আলাদা কমিটির মাধ্যমে প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিকতা নিরূপণপূর্বক অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।

মিঠামইন প্রকল্পসহ বেশ কিছু ইউসলেস প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল৷ এমন উদাহরণ সব মন্ত্রণালয়ে রয়েছে৷ কোনো ফিজিবিলিটি স্টাডি না হয়েই কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ ধরুন কেউ ওপরের চেয়ারে বসে আছেন, তাঁর ইচ্ছায় বাড়ির কাছে বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ এটা ’কুন ওয়া ফাওয়াকুন’ টাইপ।

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে অপারেটর হিসেবে নেওয়া হলে আমাদের আয় বাড়বে৷ পোর্ট বিদেশিদের হাতে যাচ্ছে না। যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে এটা অপারেট করতে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ইকুইপমেন্টসহ যাবতীয় সাপোর্ট পাওয়া যাবে৷ এটি হবে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর।’

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি আমরা। পরবর্তী যে সরকার আসবে, তারা আরও ভালো এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।’

অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম নিয়ে কাজ করছি৷ তাদের বিরুদ্ধে ডিপি হচ্ছে৷ অনেকে এখনো পাইপলাইনে আছে৷ যারাই অনিয়ম করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত