মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ভোট গ্রহণের জন্য কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউস ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু প্রকল্পের ডিপিপিতে ইভিএম সংরক্ষণের বিষয়টি না থাকায় এখন ওয়্যারহাউসের ভাড়া পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় পড়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, বিএমটিএফের ওয়্যারহাউসে ইভিএম রাখার ভাড়া বাবদ প্রায় ৫২ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে ইসির। এ ছাড়া ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৬০ কোটি এবং র্যাকের বকেয়া বাবদ ৩১ কোটিসহ মোট প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে বিএমটিএফ। কিন্তু জটিলতার কারণে এই অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না ইসি।
ইভিএমের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ লাখ ১০ হাজারের মধ্যে ৫০ হাজার ব্যবহারযোগ্য ইভিএম রয়েছে। বাকি ৬০ হাজারের কিউসি সমস্যা রয়েছে। তাই ভালো থাকা ৫০ হাজার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি।
বিএমটিএফের বকেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ওয়্যারহাউসের ভাড়া প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নয়। এটি প্রকল্পের ডিপিপিতে ছিল না। ভাড়ার টাকা কীভাবে দ্রুত পরিশোধ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে গত কমিশন সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্থের সংকট দেখিয়ে ইভিএম ব্যবহার করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে চায়। জানা যায়, বর্তমানে জেলা পর্যায়ে প্রায় ৪৬ হাজার এবং বিএমটিএফে ১ লাখ ২ হাজারের মতো ইভিএম রয়েছে।
বিএমটিএফের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সাপেক্ষে তাদের পাওনা ধাপে ধাপে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিশোধ করার জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটিও (বিএমটিএফ) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আমাদেরটাও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। আলোচনা করে তাদের যে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে, সেই টাকা পরিশোধ করা হবে।’
২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বুয়েটের তৈরি ইভিএম প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ছোট্ট আকারে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি ইভিএমের সমস্যার কারণে পরবর্তীকালে আর সেটি ব্যবহার করা হয়নি। এরপর কে এম নূরুল হুদা কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিএমটিএফ কমিশনের জন্য ইভিএম তৈরি করে। সেই ইভিএম ২০১৭ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ছয়টি কক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়। এরপর দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাস হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। আগামী জনু মাসে তা শেষ হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হলেও মাত্র ছয়টি আসনে এই যন্ত্র দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ জন্য ২ হাজার ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পও হাতে নিয়েছিল ইসি। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাতে সায় দেয়নি সরকার। পরে সংরক্ষণে থাকা দেড় লাখ ইভিএমের ওপর ভরসা রাখে ইসি। কিন্তু তখন দেখা যায়, ৪০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই টাকা দিতেও সরকার অপারগতা প্রকাশ করলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করে ইসি।
ভোট গ্রহণের জন্য কেনা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) ওয়্যারহাউস ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু প্রকল্পের ডিপিপিতে ইভিএম সংরক্ষণের বিষয়টি না থাকায় এখন ওয়্যারহাউসের ভাড়া পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় পড়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, বিএমটিএফের ওয়্যারহাউসে ইভিএম রাখার ভাড়া বাবদ প্রায় ৫২ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে ইসির। এ ছাড়া ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৬০ কোটি এবং র্যাকের বকেয়া বাবদ ৩১ কোটিসহ মোট প্রায় ১৪৩ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে বিএমটিএফ। কিন্তু জটিলতার কারণে এই অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না ইসি।
ইভিএমের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১ লাখ ১০ হাজারের মধ্যে ৫০ হাজার ব্যবহারযোগ্য ইভিএম রয়েছে। বাকি ৬০ হাজারের কিউসি সমস্যা রয়েছে। তাই ভালো থাকা ৫০ হাজার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি।
বিএমটিএফের বকেয়া বিষয়ে জানতে চাইলে রাকিবুল হাসান বলেন, ওয়্যারহাউসের ভাড়া প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নয়। এটি প্রকল্পের ডিপিপিতে ছিল না। ভাড়ার টাকা কীভাবে দ্রুত পরিশোধ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নিতে গত কমিশন সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্থের সংকট দেখিয়ে ইভিএম ব্যবহার করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে চায়। জানা যায়, বর্তমানে জেলা পর্যায়ে প্রায় ৪৬ হাজার এবং বিএমটিএফে ১ লাখ ২ হাজারের মতো ইভিএম রয়েছে।
বিএমটিএফের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সাপেক্ষে তাদের পাওনা ধাপে ধাপে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিশোধ করার জন্য কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটিও (বিএমটিএফ) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আমাদেরটাও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। আলোচনা করে তাদের যে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে, সেই টাকা পরিশোধ করা হবে।’
২০১১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে বুয়েটের তৈরি ইভিএম প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী সময়ে ছোট্ট আকারে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি ইভিএমের সমস্যার কারণে পরবর্তীকালে আর সেটি ব্যবহার করা হয়নি। এরপর কে এম নূরুল হুদা কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে বিএমটিএফ কমিশনের জন্য ইভিএম তৈরি করে। সেই ইভিএম ২০১৭ সালে রংপুর সিটি নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডের ছয়টি কক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়। এরপর দেড় লাখ ইভিএম কিনতে ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্পটি পাস হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। পরে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। আগামী জনু মাসে তা শেষ হচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেড় লাখ ইভিএম কেনা হলেও মাত্র ছয়টি আসনে এই যন্ত্র দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চেয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ জন্য ২ হাজার ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পও হাতে নিয়েছিল ইসি। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাতে সায় দেয়নি সরকার। পরে সংরক্ষণে থাকা দেড় লাখ ইভিএমের ওপর ভরসা রাখে ইসি। কিন্তু তখন দেখা যায়, ৪০ হাজার ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতে ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই টাকা দিতেও সরকার অপারগতা প্রকাশ করলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করে ইসি।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে