রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
সারা দেশে নিবন্ধন নেই এমন ১ হাজার ২০৫টি হাসপাতাল খুঁজে পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে ৭৩১টি হাসপাতালের কার্যক্রম এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার বিকেলে এসংক্রান্ত কাগজপত্র অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর জানা যায়, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় ওই হাসপাতালের নিবন্ধন ছিল না। এমনকি তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসংক্রান্ত কোনো আবেদন না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিষয়টি জানাজানির পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা করতে নির্দেশ দেন। এরপর ১৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এক চিঠি দেন। দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের কাছে লেখা ওই চিঠিতে নিজ নিজ এলাকার নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়।
সূত্র বলেছে, ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় লাইসেন্সবিহীন/অবৈধ সব বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বন্ধের তালিকা বিভাগীয় পরিচালকের মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকই নিবন্ধনহীন। সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই সিভিল সার্জন অফিসে কেউ আবেদন না করলে কোথায় কোন ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, সেটি অজানাই থেকে যায়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘এর আগে আমি একবার সারা দেশের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তারপর সবাই লাইসেন্স নিতে বাধ্য হয়। আবার এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক, হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন মেডিকেল, ক্লিনিক এবং হাতুড়ে ডাক্তারসহ দেশব্যাপী চিকিৎসাব্যবস্থায় ডাক্তার, নার্স, স্টাফদের অবহেলাজনিত ক্ষতিগ্রস্ত, আহত, মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এই নোটিশ পাঠানো হয়। অ্যাডভোকেট রায়হান গাজী গতকাল সোমবার এই নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা শহরসহ সারা দেশের জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা বিষয়ের সনদ ছাড়া অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন নামধারী ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফসহ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভুয়া চেম্বারে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশী মধ্যবিত্ত, দরিদ্র অসহায় সহজ, সরল, ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ব্যাপক শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সবিহীন ভুয়া ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফ, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ এবং আদালত ও অন্যান্য প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
সারা দেশে নিবন্ধন নেই এমন ১ হাজার ২০৫টি হাসপাতাল খুঁজে পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে ৭৩১টি হাসপাতালের কার্যক্রম এরই মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার বিকেলে এসংক্রান্ত কাগজপত্র অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর জানা যায়, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় ওই হাসপাতালের নিবন্ধন ছিল না। এমনকি তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসংক্রান্ত কোনো আবেদন না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিষয়টি জানাজানির পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা করতে নির্দেশ দেন। এরপর ১৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এক চিঠি দেন। দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের কাছে লেখা ওই চিঠিতে নিজ নিজ এলাকার নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়।
সূত্র বলেছে, ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় লাইসেন্সবিহীন/অবৈধ সব বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বন্ধের তালিকা বিভাগীয় পরিচালকের মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকই নিবন্ধনহীন। সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই সিভিল সার্জন অফিসে কেউ আবেদন না করলে কোথায় কোন ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, সেটি অজানাই থেকে যায়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘এর আগে আমি একবার সারা দেশের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তারপর সবাই লাইসেন্স নিতে বাধ্য হয়। আবার এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-হাসপাতাল বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক, হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন মেডিকেল, ক্লিনিক এবং হাতুড়ে ডাক্তারসহ দেশব্যাপী চিকিৎসাব্যবস্থায় ডাক্তার, নার্স, স্টাফদের অবহেলাজনিত ক্ষতিগ্রস্ত, আহত, মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এই নোটিশ পাঠানো হয়। অ্যাডভোকেট রায়হান গাজী গতকাল সোমবার এই নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা শহরসহ সারা দেশের জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর, ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা বিষয়ের সনদ ছাড়া অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন নামধারী ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফসহ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভুয়া চেম্বারে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশী মধ্যবিত্ত, দরিদ্র অসহায় সহজ, সরল, ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ব্যাপক শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সবিহীন ভুয়া ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফ, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ এবং আদালত ও অন্যান্য প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
৯ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১৭ ঘণ্টা আগে